somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ম্যাচ ফিক্সিং--- কি চায় প্রথম আলো???

০২ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[আশরাফুল কে আমি গালও দিবনা, ডিফেন্ডও করবনা। ফিক্সিং করে থাকলে শাস্তি তার প্রাপ্য কিন্তু তার আগে কেন মিডিয়া ট্রায়াল?]

সাংবাদিকের কাজ সত্য উদঘাটন করা এবং সেটি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া। দায়িত্ব পালনের স্বার্থকতা বোধ ছাড়াও এতে আনন্দ আছে, পেশাদারি তৃপ্তি আছে। --- উৎপল শুভ্র।

বিভিন্ন রিপোর্টে একাধিকবার একটা কথা প্রথম আলো উল্লেখ করেছে। সেটা হলো, ৩১ মে সকালে যখন কেউ প্রথম আলো পত্রিকা হাতে নেবে, রীতিমত একটা বড়সড় ধাক্কা খাবে, বিস্মিত হবে।

বোঝা গেল, একটা স্টান্টবাজি আর বোমা ফাটানোর উদ্দেশ্যে প্রথম আলোর ৭ কলামের এই বিশাল শিরোনাম।

[উৎপল শুভ্রঃ এই লোক কিছুদিন আগে মুশফিকুর রহিম কে নিয়ে শ্রীলংকা সফরের সময় অকারনে একটা কুৎসিত নেতিবাচক আর্টিকেল লিখেন। মুশফিক এর দোষ ছিল, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন এ না আসা। সেই লেখা লিখে শুভ্র সাহেব কোন বাহবা কুড়াতে পারেননি, মুশফিককেও বদনাম করতে পারেননি। বরং লিখাটা অনলাইনে আসার পর নিজেই ক্রিকেট ভক্তদের কাছে অনেক গালাগাল খেয়েছিলেন।]

আইসিসির তদন্ত চলমান প্রক্রিয়ায় আমরা জানতে পারি, আশরাফুল বিপিএল এ ম্যাচ ফিক্সিং এর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। যে ম্যাচ নিয়ে আগে থেকেই অনেক সন্দেহ ছিল। কিন্তু, এই আকসুর তদন্ত শেষ হবার আগেই এবং কোন প্রকার রিপোর্ট বের হবার আগে এই ধরনের সংবাদ ছাপানোর জন্য যেসব প্রমান থাকা উচিত তার সোর্স কি?? কেনইবা কয়েকদিন ধরে প্রধান শিরোনাম গরম করে রাখা? আশরাফুল এর স্বীকারোক্তি বাদ দিলে অভিযোগগুলো কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রমানসাপেক্ষ??

যথারীতি "নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক", "বিশেষ সূত্র", “নানা সূত্র থেকে খবর”, “প্রথম আলোর কাছে থাকা তথ্য”, “অনুসন্ধান”র বরাত দিয়ে খবর উপস্থাপন। প্রথম আলোর এইসব সূত্র যে আসলে কি আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারল না।

আকসু এসেছিল বিপিএল এর ম্যাচ ফিক্সিং এর তদন্ত করতে। সেখান থেকে অপ্রাসংগিকভাবে অতীতের স্পট ফিক্সিং এর বিষয়টা কিভাবে এসে পড়ল? এটা কি আকসু নিজেই তথ্য নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, নাকি আশরাফুল নিজ উদ্যোগেই গায়ে পড়েই এই তথ্য দিয়েছিলেন? যদি নিজেই দিয়ে থাকেন তবে কেনইবা দিয়েছিলেন?

বিপিএল এর ম্যাচ ফিক্সিং এর বিষয়টা আলাদা করে রাখি। এর বাইরে স্পট ফিক্সিং এর কয়টা অভিযোগ আকসু বা প্রথম আলো নিজে প্রমান করতে পারবে???


সন্দেহের কারনগুলোঃ

ফিক্সিং এর প্রথম অভিযোগ, ২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শততম ম্যাচ এ স্পট ফিক্সিং। সে ম্যাচে প্রথম ১৫ ওভারে ৬০ রান করার জন্য টাকা পেয়েছিলেন আশরাফুল।

[ম্যাচ কিন্তু, ভারতের সাথে, একটা গৌরবজ্জল ম্যাচ, বাংলাদেশের জয়ের ম্যাচ, খেয়াল রাখবেন]

স্পট ফিক্সং এর বিষয়টা প্রথম সবার নজরে আসে ২০১০ সালে, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে।

টাকার বিনিময়ে নো বল করেছিলেন, আমির-আসিফ এবং পুরো নাটক পরিচালনা করেছিলেন অধিনায়ক সালমান বাট।

খেয়াল করবেন, অধিনায়কের পরিচালনা।

২০১০ সালের আগে স্পট ফিক্সিং কি জিনিস তা ক্রিকেট দুনিয়ার তাবৎ মানুষের জানা ছিলনা। স্পট ফিক্সং হল মূলত, খেলার মধ্যে খুব ছোট একটা অংশ পরিকল্পিত ভাবে বাস্তবায়ন করা। এর আগে, নো বল করার মত একটা তুচ্ছ ঘটনায় কেউ লাখ ডলার ঘুষ পেতে পারে তা কারো কল্পনাতেও ছিলনা।

ফিক্সিং এর আরেকটা বিষয় কিন্তু টাকার বিনিময়ে খারাপ খেলা

[প্রথম অভিযোগে, কিন্তু টাকার বিনিময়ে মোটামুটি ভালো খেলার কথা বলা হয়েছে।]

কয়েকটা প্রশ্নঃ

আশরাফুল এর একার পক্ষে কিভাবে ১৫ ওভারে ৬০ রান করা সম্ভব?

সে তো প্রথম বলে আউটও হয়ে যেতে পারতো। এখানে, অধিনায়কসহ টপ অর্ডারের অবদান ছাড়া এই নাটক কিভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব?

যে ছেলে ইনিংসের দ্বিতীয় বল টিকবে কিনা ভরসা নেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যার সর্বোচ্চ সংখ্যাক ০০ মারার রেকর্ড সে একা এই নাটক করতে পারবে?

স্পট ফিক্সিং ২০০৪ সালের ঘটনা? এর পরের অভিযোগ কোন সালের? ২০১০ সালের। মাঝখানের বছরগুলোতে আশরাফুল এর অপকর্ম গেল কই?

মাঝখানের ৬ বছর একেবারেই চুপ? যার মধ্যে তিন বছর আশরাফুল নিজেই অধিনায়ক ছিলেন। যখন তার পক্ষে ফিক্সিং করা আরো বেশি সহজ ছিল।

জুয়াড়িদের সাথে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপের মত বড় জুয়ার আসরে কোন ফিক্সিং হয়নি? [এ প্রশ্ন একারনেই আসবে কারন বিপিএল এর ফিক্সিং এর সাথে অপ্রাসংগিভাবে অতীতের ফিক্সিং এর ঘটনা চলে আসায়]

[এই অভিযোগ প্রমান করতে পারবেনা, আশরাফুল এর স্বীকারোক্তি ছাড়া]

দ্বিতীয় অভিযোগঃ এটাও কিন্তু ভারতের সাথে টেস্ট ম্যাচে।

এখানে, ইনিংসের তিনটা নির্দিস্ট ওভারে ৬ রান করে করতে হবে। ভালো কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো,

ক্রিকেটে একটা ব্যাটসম্যান আউট হতে লাগে এক বল, সেখানে লাঞ্চের পর পর্যন্ত আশরাফুল টিকে থাকবে, এই গ্যারান্টি ঐ জুয়াড়িকে কে দিয়েছিল??

যদি সে টিকেও থাকতো, তাহলে ঐ নির্দিষ্ট তিন ওভারে যে আশরাফুলই স্ট্রাইকে থাকতো, সে নিশ্চয়তা সে কেমনে পেল?

সে ওভার গুলোতে স্ট্রাইকে অন্য ব্যাটসম্যনও থাকতে পারে, এবং সবগুলো ওভারই মেডেনও খেলতে পারতো। তাই না?

স্পট ফিক্সিং এর তৃতীয় অভিযোগঃ

টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের ৫-৬ ওভার মিলিয়ে ১০ রান এর কম করতে হবে।

এই অভিযোগ কিছুটা হালে পানি দেয়া যায়।

তবে, এখানে ১২ বল এর মধ্যে আশরাফুল নিজে খেলেছেন ৭ বল। বাকী ৫ বল খেলেছেন অন্যরা। ক্রিকেটে ১০ রান করতে লাগে দুই বল। অন্যদের ইনভলবমেন্ট ছাড়া মোটামুটি রিস্কি ব্যাপার।

এবার বিপিএল এর ফিক্সিং এর ব্যাপার গুলো দেখিঃ

গত কিছুদিন ধরে মোটামুটি সবার কথা শুনে বোঝা যায়, ঢাকা-চিটাগং এর সেই ম্যাচ আগে থেকে ফলাফল ফিক্স করা ছিল। মোহাম্মদ রফিক সরাসরি বলে দিয়েছেন, খেলার আগে কর্মকর্তারা সানোয়ার হোসেন এর রুমে মিটিং করে সব ঠিকঠাক করে দিয়েছিলেন।

এখানে স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ গুলো দেখি ---

৫-৬-৭ এই তিন ওভারে ৩৫ রান দিতে হবে। কিন্তু চিটাগং ২৮ রান এর বেশি নিতে পারেনি। এই অভিযোগ বিশ্বাস করা যেতে পারে। তিন ওভারে বল করার কথা ছিল, রুবেল, মাহবুবুল, আর এক বিদেশি। এখানে আশরাফুল অধিনায়ক হিসেবে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। বলা হয়েছে, অন্য বোলারদের সাথে আগে থেকে কথা ছিল মালিক পক্ষের। এখানে তারা অসফল হয়েছিলেন।

তবে খেয়াল করবেন, অভিযুক্ত রুবেল কিন্তু, ম্যাচে মাত্র ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছিলেন। যথারীতি তিনি এবং অন্যরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন

স্পট ফিক্সং এর অন্যান অভিযোগ গুলোও কিছুটা হাস্যকর। যেমন, চার ওভারে ৬০ রান দেয়া,

খুলনা ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের তিন ওভারে ৩৯ রান করা। [আপনি খারাপ খেলার জন্য অর্থ দিতে পারেন, ভালো খেলার জন্য কিভাবে অর্থ দিবেন?]

শ্রীলংকা লীগে, ৭-৮-৯ এই তিন ওভারে ১৪ রান করা,

যেখানে আশরাফুল ৬ ওভারেই আউট হয়ে যান, আর যদি আউট নাও হতেন তাহলে সেই পুরোনো প্রশ্ন।

এই অভিযোগগুলো আমি কেন বিশ্লেষন করলাম? কারন, স্পট ফিক্সিং বলতে আমরা বুঝি খুবি ছোটোখাট ঘটনা ফিক্স করা। যেমন, কেউ রান আউট হওয়া অথবা কাউকে রান আউট করা, আউট হওয়ার ধরন, [ক্যাচ, বোল্ড], নির্দিষ্ট সঙ্খ্যার কমে আউট হওয়া, ইত্যাদি।

[এই অভিযোগগুলোতে ফিক্সিং অনেক বিশদ আকারে দেখানো হয়েছে।]

স্পট ফিক্সিং এর অন্যান্য সিম্পটম সরাসরি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সেগুলো কি?

গায়ের সাথে কোমরে তোয়ালে বেধে ইশারা দেয়া, হাতের ঘড়ি বার বার ঘোরান, স্ট্রেচিং সহ নানান রকমের অংগভংগি করা, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে সময় নস্ট করা, ইত্যাদি।

এখানে স্পট ফিক্সিং বলে দাবি করা হলেও, চিত্রনাট্যগুলো ছিল অনেক বড় এবং কারও একার পক্ষে অসম্ভব।

লক্ষ করার বিষয় ফিক্সিং এর বেশিরভাগ অভিযোগই বাস্তবায়নের ব্যার্থতা। যার ফলে জুয়াড়ির একটা আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা জড়িত।

সব চাইতে বড় ব্যাপার,

ফিক্সিং উদঘাটনে সিদ্ধহস্ত দিল্লী পুলিশের ব্যাপারটা উড়িয়ে দেয়া।

“কদিন আগে দিল্লি পুলিশের সূত্র দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলে, সুনীল ভাটিয়া বাংলাদেশের এক নামকরা ক্রিকেটারের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে বলে জানিয়েছিলেন। পরে পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে এটি উড়িয়ে দিলেও …………” [থিঙ্ক]

- দিল্লি পুলিশ অভিযোগ উড়িয়ে দেয়
- খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের
- সুনীল ভাটিয়া জানায় এক জনের সাথে তার যোগাযোগ আছে, প্রথম আলোতে চারজন এর নাম এসেছে।

এবার প্রথম আলোর রিপোর্টে কোন চারজনের নাম এসেছে একবার দেখিঃ

খালেদ মাসুদঃ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্কটল্যান্ডের সাথে ৭০ রানের সেই ইনিংসটি না খেললে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না।

খালেদ মাহমুদঃ বাংলাদেশ এর সবচেয়ে যোগ্য অধিনায়কদের একজন। পাকিস্তানের সাথে করাচীতে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচে কিভাবে কেদেছিলেন মনে আছে??

মোহাম্মদ রফিকঃ বাংলাদেশের এর কিংবদন্তী। তার একটা ঘটনা উল্লেখ করি;

“আইসিসি ট্রফি জেতার পড়ে প্রাইম মিনিস্টার সবাইকে একটা করে জমি আর একটা করে গাড়ি গিফট করছিলো। একজন ক্রিকেটার ঐ জমিটা দিয়ে দিছিলোএলাকায় স্কুলের জন্যে আর গাড়িটা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে স্কুল ঘর তুলে দিছিলো। ব্যাপারটা আমাদের মিডিয়াতে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। অল্প কয়েকটা পেপারে ছাপা হইছিলো। সেই ক্রিকেটার বলছিলো- ভাই আমি তো পড়া লেখা কিছু শিখিনাই। খুব গরীব ঘরের ছেলে। আমার মহল্লার ছেলে মেয়েরা যেন পড়াশুনাটা শিখে।
সেই ক্রিকেটারের নাম মোহাম্মদ রফিক। বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ।“ [ফেসবুক থেকে]

আরেকটা প্রশ্নঃ ২০০৪ সাল থেকেই যদি রফিক, মাসুদ, মাহমুদ এর সাথে জুয়াড়িদের সম্পর্ক থাকে তবে উনারা নিজেরা কেন ফিক্সং করেননি? রফিক খেলেছেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত, মাসুদ ২০০৭ পর্যন্ত। উনাদের ভূমিকা বলতে কি শুধু এই যে উনারা জুয়াড়ির সাথে আশরাফুল এর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন? আশরাফুলই নাটের গুরু, আর সিনিয়র দের কোন ভূমিকা নেই?

মোদ্দা কথা, এই অভিযোগ আসলে কেউ প্রমান করতে পারবে না। এটা প্রথম আলোও খুব ভালো ভাবে জানে।

বিপিএল এর সেই ম্যাচটা বাদ দিলে স্পট ফিক্সিং এর বেশিরভাগ অভিযোগই আইসিসিও প্রমান করতে পারবেনা। পারবেনা মাসুদ-রফিক দের লোম ছিড়তে। ফিক্সিং এর বেশিরভাগ নাটকই যেখানে ব্যার্থ সেখানে আইসিসি কি প্রমান করবে? আর যেসব নাটক ব্যার্থ সেগুলোর কথা আশরাফুল কেন নিজে স্বীকার করবে?

বিপিএল এর সেই ফিক্সং যে মালিক পক্ষের চাপে করা হয়েছিল সেটাও মোটামুটি প্রামানিত।

এখন কথা হচ্ছে; দিল্লি পুলিশ, যাদের কাছে ঘণ্টার পর ঘন্টা ফোন রেকর্ড সহ যাবতীয় প্রমান থাকে, যেখানে আকসু নিজে কাউকে মুখ না খোলার কথা বলে যায়, সেখানে প্রথম আলো কি কারনে এত উৎসুক???

[ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো ফলো করুন, বিপিএল এর ঢাকা-চিটাগন ম্যাচ ছাড়া অন্যান ফিক্সিং এলিগেশন গুলে খুজে পাবেন না।]

উত্তরটা উনারা নিজেরাই দিয়েছেন, “একটা বোমা ফাটানোর জন্য”

“কাল সকালে ঘুমঘুম চোখে প্রথম আলো হাতে নিয়ে নিশ্চয় হতম্ভব হয়ে গেছেন পাঠকরা” [১ জুন, প্রথম পাতা]

“সকালে ঘুম থেকে উঠে আকরাম খানের মনে হয়েছে আজ ৩১ মে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের গৌরবের দিনগুলোর একটি। ………………… তবে ভালো লাগা ভাবটা হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল প্রথম আলো হাতে নিয়ে”

“পত্রিকা হাতে নিয়ে চোখ কপালে উঠার জোগাড় রাজ্জাকের”

“জাতীয় দলের বাইরে চলে গেলে সবার সাথে যোগাযোগ আছে তুষার ইমরানের। বিস্ময়ে হতভম্ব তিনিও”।

“গতকাল প্রকাশিত অনুসন্ধানি রিপোর্টের প্রসংশা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান”

“তবে প্রশংসা করেছেন সত্য উদঘাটনে সংবাদ মাধ্যমের প্রচেস্টার (পাপন)”

[হুম, নিজের ঢোল নিজেই পিটাও এভাবে]

আরেকটা উক্তি কিন্তু লক্ষনীয়;

“জাতীয় দলের আরেক সাবে ক্রিকেটার মাসুদ-মাহমুদ-রফিকের নাম আসায় অবাক নয়। এদের দু-এক জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসতে পারে এটা আগে অনুমান ছিল”

বলেন তো সেই ক্রিকেটার কে??

“নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক”
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
৮টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×