আমাদের দেশে নির্বাচনি বছরে অনেক প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়। সরকারি দল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। বর্তমান সরকারি দলও ব্যাতিক্রম নয়। নানান রকম ফন্দি-ফিকির করছেন উনারা। কেয়ার টেকার সিস্টেম বাতিল, দলীয়করন, দমন পীড়ন, কত কি?
এত কস্ট করার দরকার কি? আমি একটা সহজ সরল আইডিয়া দেই। ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে যতদিন ইচ্ছা ------
-
-
-
-
-
-
-
-
কিরে চুতিয়া? ক্ষমতায় টিকে থাকার এত শখ কেন?
এত গেঞ্জাম না কইরা, ঠিকঠাক মত দেশ চালা। তাইলেই তো পাবলিক ভোট দিব।
নিজেরা ট্যাক্স দেস না। পাবলিকের উপর ট্যাক্স চার্য করস। আমরা কিছু বলি?
বেহায়ার মত শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করস। আমরা কিছু বলি?
সরকারি জমি-প্লট-ফ্লাট সব ভাগাইয়া নেস। আমরা পাইনা, তাও কি কিছু বলি?
সব কয়টার বাড়ি গুলশান-বনানি-ধানমন্ডি। আমরা কিছু বলি?
পাওয়ার খাটাইয়া সব ব্যাবসা বানিজ্যে, টিভি চ্যানেল, পত্রিকার লাইসেন্স নেস। আমরা কিছু বলি?
বাড়ি-গাড়ি, তেল-ঢেল, আসবাবপত্র থেইকা বাজার পর্যন্ত সরকারি টাকায় করিস। আমরা কিছু বলি?
সরকারি টাকায় মাগনা বিদেশ ঘুরে বেড়াস। আমরা কিছু বলি?
সর্দি কাশির চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে দৌড় মারিস। আমরা কিছু বলি?
রাস্তা বন্ধ করে, জ্যামের শহরে ভি আই পি প্রটোকল নিয়ে চলস; সমাবেশ করিস। আমরা কিছু বলি?
তোদের ছেলে মেয়ে থাকে বিদেশে। আর আমাদের ছেলে-মেয়ের হাতে তুলে দেস চাপাতি-কোদাল। আমরা কিছু বলি?
এত এত সুযোগ-সুবিধা পাইয়াও এক একটা শুনি ঋনখেলাপী-বিল খেলাপী। বেহায়ার মত কালো টাকাও সাদা করে। আমরা কি তাও কিছু বলি???
এই পাবলিক কিছু বলেনা। তাও তাদের পেটে লাত্থি মারার দরকার কি?
এই সেই বেকুব পাবলিক যারা ১০ টাকার চাল খাওয়ানোর কথা বিশ্বাস করে, গ্রামের রাস্তা পাকা করে দেয়ার কথা বললে অথবা সাকোর জায়গায় একটা কংক্রিটের ব্রীজ বানানোর প্রতিশ্রুতি দলে গড়গড় করে গলে যায়।
চুরি-চামারীরও একটা সীমা থাকে। পার্সেন্টেজ খাইছ ভালা কথা, তাই বলে সেতু টা তো বানাবি?? পুরো ব্রীজটাই খেয়ে ফেলবি?
পাবলিক যে শেয়ার ব্যাবসা করে দুই-চার পয়সা কামাইবো, সেই পথও রাখলিনা। ডেস্টিনি-উইনিপে কইরা লাখ লাখ মানুষ রে পথে বসাইয়া দিলি।
পাবলিকের উপর পিপার স্প্রে-মেটাল বুলেট চালাবি?
এত অত্যাচার, নির্যাতন না করে, পাবলিকের পেটে লাত্থি না মেরে ঠিকঠাক দেশ চালাও। ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে, ইনশাআল্লাহ।