[অস্ত্রোপচারের পর রোগীর শরীর থেকে নিডেল বের করতে ভূলে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চিকিৎসক সুরমান আলীকে কারাগারে পাঠায় আদালত। আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ বিএমএ'র ডাকে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসক মহল]
অভিযোগ কি?
২০১২ সালের মে মাসে আমিনুল ইসলাম নামের একজন ছাত্রের অপারেশন করার সময় শরীরের ভিতর নিডেল রেখে দেন দুই চিকিৎসক। চমেক হাসপাতালের সার্জন সুরমান আলী এবং বেসরকারি ল্যানসেটের চিকিৎসক জাকির হোসেন। অপারেশন এর পর থেকে আমিনুল প্রচন্ড ব্যাথায় ভুগতে থাকলে আরও দুই দফা অপারেশন এর নামে প্রতারন করেন। ফল হয় বিপরীত, ব্যাথা আরও তীব্রতর হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপারেশন এর মাধ্যমে নিডেল অপসারন করা হলে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকেন আমিনুল। বারবার অপারেশন এবং ভারতে আসা-যাওয়ার জন্য প্রচুর টাকা খরচ হলে চিকিৎসককে উকিল নোটিশ পাঠান আমিনুল এর পরিবার। নোটিশ এর কোন জবাব না দিলে পরবর্তীতে মামলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুই ডাক্তারের জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠান।
[তথ্যসূত্র দৈনিক আজাদী; ৬ জুন,২০১৩]
আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএমএর ডাকে ডাক্তার সাবেরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন, প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ রেখেছেন।
[ কথা হলো বিএমএ সহ এই যাবতীয় যত সংগঠন আছে এগুলার কাজ কি? নিজেদের সিন্ডিকেট বানিয়ে স্বজাতি রক্ষ করা? আইন-আদালত সবাইকে বুইড়া আংগুল দেখানো? ]
চিকিৎসায় ভূলের জন্য ডাক্তার সাবেরা কোন ক্ষমা চাননি, কেউ নিদাও জানাননি। তাগো যুক্তি, চিকিৎসায় নাকি ভূল হতেই পারে। তাই বলে কাউরে জেলে পাঠাবে? বুঝা গেল নিজেদের পিঠ বাচানোর লাইগা এই আন্দোলন।
এরেই কয়, চুরি কইরা শিনা জুরি করা।
এত এত টাকা খরচ কইরা রাস্ট্র ডাক্তার বানাচ্ছে কি কারনে? রোগীর শরীরের যন্ত্রপাতি রেখে দেয়ার জন্যে? মানলাম ভূল করছেন। কিন্তু, ভূল তো স্বীকার করবেন এবং এর দ্বায়িত্ব নেবেন। আপনার ভূলের জন্য ভুক্তভোগিকে আপনি ক্ষতিপূরন করবেন। এটা কিন্তু আপনার দ্বায়িত্ব ডাক্তার সাব। শুধু ডাক্তার হয়ে দুই হাতে কাচা পয়সা নিবেন অথচ ভূল করলে এর দায় নিবেন না তা হতে পারেনা।
আপনাদের সামাজ সেবাবোধ কতটুকু আমাদের জানা আছে। রিপোর্ট টেস্টিং আর কমিশন বিজনেজ এর খবর আমরা জানি। মহান দায়িত্ব নিয়ে মফস্বলে কেউ চিকিৎসা দিতে যান না। সরকার জোর করে পাঠাতে চাইলে কোমর বেধে প্রতিবাদে নেমে পড়েন।
কয়দিন আগে, এক চ্যানেলে নিউজ দেখেছিলাম, প্রাইভেট হাসপাতাল গুলাতে নাকি প্রেগনেন্ট মহিলাদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে সিজার করতে চাপ দেয়া হয়, কারন এতে লাভ বেশি। [জানিনা কতটুকু সত্যি]
চমেক এ এক ছাত্রলীগ এর নেতারে কোপানোয় চমেক এর সব গেটে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগ। ভাব এমন, যার যা মঞ্চায় করবো। রোগী মরলে কার কি?
[এইসব অকাম কুকাম করে পার পাওনের জন্য আপনারে সংগঠন বানিয়ে রেখেছেন?]
আফসোস, এই দেশে ম্যাংগো পাবলিকের কোন সংগঠন নাই। নইলে, সব জায়গায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যেত পারতো তারা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮