বেগম জিয়ার নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব একটা অবাস্তব, কাল্পনিক ফ্যান্টাসি। এই প্রস্তাবে বাকশালীদের ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে এবং আজীবন জমিদারি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোন সুস্পস্ট দিক দিক নির্দেশনা নেই। এই প্রস্তাব হাম্বারা ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করবে।
এই প্রস্তাবে, রক্ষীবাহিনীর পূনর্গঠন, যাকে তাকে যখন তখন খুন করা, লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি, মানুষের বউ তুলে নিয়ে যাওয়ার মত নানাবিধ অপকর্মে করার লাইস্যান্স দেয়ার ব্যাপারে কোন কথার উল্লেখ নেই।
এই প্রস্তাবে সব চাইতে বড় হাস্যকর বিষয় ছিল, সর্বজন স্বীকৃত একজন সম্মানিত ব্যাক্তি নির্বাচিত করার ব্যাপারটি। হারামী লীগের কাছে [আবার কোন মানুষ সম্মানিত আছে নাকি? ]
আশংকার বিষয় হলো এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, একটি গনতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় চলে আসতে পারে, যা উনাদের অসমাপ্ত বিপ্লব, কয়দিন আগে নাতি যেটা সম্পূর্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
ফলে, এই এই দেশ পিছিয়ে ২০৫০ সালে চলে যেতে পারে।
তালিবান স্টাইলে এবং সোমালিয়ার স্টাইলে আধুনিক জমিদারী রাস্ট্র গঠনের উদ্দেশ্য বাকশাল, রক্ষীবাহিনী, লাল বাহিনী ইত্যাদি গঠন করা হয়েছিল। সেই অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ন করার উদ্দেশ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গনতন্ত্রকে কোরবানী করে একটা সর্বদলীয় সরকারের রুপরেখা প্রস্তাব করেন, এই সরকারের প্রধান হবেন আবার শেখ হাসিনা, যিনি অত্যান্ত দক্ষতার সাথে একটি সুস্টু, নিরপেক্ষ, পাতানো নির্বাচন আয়োজন করবেন।
বিপ্লব বাস্তবায়নের পক্ষে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব একটি বড় বাধা, অতএব হাম্বারা এই প্রস্তাব ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৪