যেমন ভাবনা তেমনি কাজ। তাহাদের সকলে চিন্তা করিতে লাগিল। চোখের ঘুম উবিয়া গেল। তাহাদের মাঝে সুদুর আমেরিকার অ্যারিজোনার একটি প্রাণীও ছিল। উহা অ্যারিজোনার মরুভুমিতে বসিয়া প্রতিদিনই দেশের সুস্বাধু কাঁঠাল পাতা মিস করিত। স্বদেশের অপরাপর বন্ধুদের সে বিশেষ মহব্বত করিত, কারন তাহারা তাকে মাঝে মাঝে দেশের সুস্বাদু কাঠাল পাতা উপহার হিসেবে পাঠাইত। তাই সে তাহাদের এই দুর্যোগকালে আগাইয়া আসিল। তাহার গুরু ভুইফোঁড়ের কাছে গিয়া কহিল, দাদা কি করিব বলিয়া দ্যান। আমরা তো আর পারি না। আমরা মহাবিরক্ত। এরুপ চলিতে থাকিলে আশংকা করিতেছি আমাদের এই ব্লগেই আসাই না বন্ধ হইয়া যায়। লোকজন তো আমাদের আসল চরিত্র বুঝিয়া ফেলিতেছে। কিছু একটা বুদ্ধি দ্যানগো দাদা।
ভুইফোঁড় কিছুক্ষন ভাবিয়া বলিল, আমাকে তো দাদা একটু অধ্যায়ন করিতে হইবে। দেখি বৈকালে জানাইবো। এই বলিয়া ভুইফোঁড় ভূমি ফুড়িয়া গেলেন তাহার উইপোকা বন্ধুর কাছে। গিয়া কহিলেন, বন্ধু উদ্ধার করো। শুনিয়াছি মানুষ্য জাতির বই পুস্তকে অনেক জ্ঞানের কথা লিপিবদ্ধ থাকে। তোমরাও নাকি সেইসব ভক্ষন করিতে খুব ভালবাস। আমাকে সেইরূপ কিছু দাও। একটু অধ্যায়ন করিয়া দেখি কিছু করিতে পারি কিনা। কোথা হতে মানুষেরা এত জ্ঞান পায় একটু খুঁজিয়া দেখি।
উইপোকা অনেকদিন পরে বন্ধুকে পাইয়া খুশিতে গদ গদ হইয়া গেল। তাহাকে নানারুপ খবরের কাগজ, টিসু্যপেপার, সদ্য ড্রেন থেকে তোলা কাঁদা দিয়া আপ্যায়ন করিতে লাগিল। খানিকখন পরে কহিল, বন্ধু কোন চিন্তা করিবে না। গত বর্ষায় প্রাইমারি স্কুলের খোকারা কিছু বই ফেলিয়া গিয়াছিল। সেইসব আমরা এখনো খাইয়া শেষ করিতে পারি নাই। তবে বন্ধু কোন জ্ঞানই কিন্তু সেখানে পুরোপুরি পাইবে না। মাঝে মাঝে বন্ধুরা আসে, তাদের আপ্যায়ন করিতে হয়।
ভুইফোড় খুশি হইয়া বলিলেন, না না পুরোটা লাগিবে না। ব্লগে কত প্রবন্ধ অর্ধেক পড়িয়াই সব বুঝিয়া ফেলিয়াছি। তারপর অতি জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব করিয়া মন্তব্য করিয়া স্বজাতির নিকট কত সন্মান পাইয়াছি। আর যখন বুঝিতে পারিনা কি করিব তখন গালাগালি, মুখ ভেংচি ইত্যাদি দিয়া পুষিয়ে নিয়েছি। তুমি যাহা রহিয়াছে তাহাই দাও। সময় খুব কম রহিয়াছে হাতে। ঐ তিনবাহু ব্যাটা আমাদের ব্লগ ঘাটিতেছে। শেষে কি না কি পেয়ে আমাদের মান সন্মান ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেয়।
(ক্রমশ...)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



