somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুয়েটের ঝড় ডুয়েটেও আসিতেছে! হুশিয়ার!

০৩ রা মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্বপাঠের পুনরালোচনাঃ "ক্যান্টিনে শোরগোল!- বাই বুয়েটিয়ান ফর বুয়েটিয়ান অফ বুয়েটিয়ান" শীর্ষক প্রবন্ধে আপনারা জানিয়াছেন, কি করিয়া ছাত্রন্যাতাদের সবুজ ঘাস ও ইউরিয়া খাইবার দাবির মুখে বুয়েটের নজরুল হল ক্যান্টিন বন্ধ করিয়া দেয়া হোইয়াছে। এই ঘটনাকে পুজি করিয়া কিছু সংখ্যক হলুদ পাঞ্জাবি পরিহিত সাংবাদিক, ফলাও করিয়া প্রচার করিয়া দেয় যে "অমিত সম্ভাবনার প্রতিনিধিদের চাঁদাবাজির দরুন হল ক্যান্টিন বন্ধ হইয়াছে"। লোক মুখে শুনিয়াছি, আমার ডিবাংক প্রবন্ধ পড়িয়া অনেকেই জিব কাটিয়া উক্ত পত্রিকা পড়া পরিহার করিয়াছেন।

এরম অবস্থায় আবারো একটি হলুদ খবর পড়িয়া মেজাজ চটিয়া গেল। এবারে লেখিয়াছে "আলোচ্য জনপ্রিয় অমিত সম্ভাবনার প্রতিনিধি নাকি ডুয়েটের শিক্ষক পদ লাভ করিয়াছেন। এবং এই নিয়োগের পর হৈতে 'ডুয়েট শিক্ষক বিনিয়োগ বোর্ডের' পশ্চাতদেশ হৈতে দলীয় রাজনিতীর ধোয়া বাহির হইতে দেখা গেচে" । আরো শুনা গেচে, ডুয়েট ক্যান্টীন মালিকরা নাকি পূর্ব হৈতেই সবুজ ঘাস ও ইউরিয়া সার জোগাড়ে ব্যস্ত। ডুয়েটে প্রতিটি সবুজ মাঠে এখন ঘাস মাড়াই করা শুরু হোইয়াছে। চারিদিকে নবান্নের থুরি নব-ঘাসের উত্তসব। সকলেই তৈয়ার অমিত সম্ভাবনার প্রতিনিধিকে বরণ করিতে।

প্রথম না হৈয়াও, পরীক্ষালব্ধ ফল খারাপ হৈয়াও, কি করিয়া আমাদের অমিত সম্ভাবনার প্রতিনিধি সবাইকে ডিঙ্গাইয়া শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করিলেন?
ডুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ওই 'বি'নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ড. মো. শওকত ওসমান সাংবাদিকদের এরুপ ত্যাড়া প্রশ্নের জবাবে বলেন "মৌখিক পরীক্ষাটায় সে এত ভাল করেচে, যে উনাকে না নিয়ে পারা গেল না"। হুম! জীবনে এত মৌখিক পরীক্ষা দিয়াছি, কেহ "প" বলিলে আমি প্রশ্ন বুঝিয়া উত্তর দিয়া ফেলাই। ফলাফল "প্রশ্ন না বুঝিয়া উত্তর দেয়ার জন্য অকৃতকার্জ"। যা হোউক। এরুম জাহাবাজ মৌখিক পরীক্ষা দেনে ওয়ালার নিকট হৈতে কিছু টিপস নিবার জন্য প্রান উতলা হৈল। জিমেইল পায়রার পায়ে বাধিয়া প্রশ্ন পাঠাইলাম "কী করিয়া তুমি এমন মৌখিক পরীক্ষা দাও, গুনীন!"। জবাব আসিল "এ আর এমন কি! প্রশ্ন সোজা ছেল!"। বিনয় বিনয়, মহানরা এমনি হয়। বিলক্ষন বুঝিয়াছি। শুধাইলাম "প্রশ্নগুলো উত্তরসহ পাঠাইলে কৃতার্থ হৈ"। এইবার দীর্ঘ উত্তর আসিল, গলায় এটাচমেন্ট বাধা পায়রা। খুলিয়া পড়িলাম-
"জনাব, পদধুলি নিবেন। অনেক পরিশ্রম করিয়া মাথার পেশীগুলি পিশিয়া সেদিনের প্রশ্ন ও উত্তর মেমরী কুঠুরী হৈতে বাহির করিয়াছি। সারাজীবণ কৃতজ্ঞ থাকিবেন আশা করি"।

প্রশ্ন ১। বাবা তোমার নাম কি?
উত্তর। অমিত সম্ভাবনা
প্রশ্ন ২। বাহ বাহ। সুন্দর নাম। তোমার অপেক্ষাতেই আমরা ছিলাম। ভিসি সাহেব স কাল হৈতে ফোন করিয়া তোমার নাম স্মরণ করাইতেছেন প্রতি ঘন্টায়। হেহে(বিগলিত হাসি)। সকালের নাস্তা খেয়ে এসেচ, না গিয়ে খাবে?
উত্তর। আজ্ঞে না, নাস্তা হয়নি। নজরুলের ক্যান্টীন বন্ধ রৈয়াছে। জানেন নিশ্চয়?
প্রশ্ন ৩। হ্যা হ্যা, জানবনা ক্যানো। তো তুমি যাও তবে... তোমার পরীক্ষা শেষ।
উত্তর। এ কি করিয়া হয়। রাত জাগিয়া এত এত পড়িয়া আসিলাম। আপনারাতো কিছুই জিজ্ঞাসা করিলেন না।
প্রশ্ন ৪। তবে তো প্রশ্ন করিতেই হয়। একটা অংক ধরি, তুমি চাদা চাহিলে ৫০হাজার, পাইলে ১০ হাজার। এখন বলতো, ২০ হাজার টাকা চাদা লাভ করিতে হৈলে তোমাকে কত চাহিতে হৈত?

উত্তরঃ হেহে। দাদা পাগল আছেন নাকি? ভাবিয়াছেন দ্বিগুন চাহিলেই দ্বিগুন পাওয়া যাইবে? হেহে। ২০ হাজার পাইতে হৈলে ১ লক্ষ টাকা দাবি করিয়া কোন লাভ নাই। ব্যাটা কঞ্জুস ক্যান্টীন মালিক কিছুতেই ১০ হাজারের বেশী দিবে না। আমি চাহিয়াছি বলিয়া ১০ হাজার দিয়াছে। স্বয়ং শেখ কামাল কবর হৈতে উঠিয়া আসিলেও এর চাইতে বেশী চাদা আদায় করিতে পারিত না।হুহ! ২০ হাজার টাকা চাদা পাইতে হৈলে ৫০ হাজারই চাইতে হবে, তবে দুইজনের কাছে। নজরুলের ক্যান্টিন ও আউল্লার ক্যান্টিন।

আমার এই উত্তরে চমৎকৃত হৈয়া, তাৎক্ষনিক প্রশ্নকর্তা মূর্ছা যান।।"
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×