আমাদের বাহ্যিক চখের পাশাপাশি আরো একটি চোখ আছে। বাহ্যিক চোখের চেয়ে ঐ চোখের গুরুত্ব মানব জিবনে আনেক বেশি। সে চোখের নাম আন্তচক্ষু । বাহ্যিক চোখের দৃস্টিশক্তি প্রকৃতির দান আর অন্তচক্ষুর দৃস্টিশক্তি আর্জনের বিষয়। অন্তচক্ষুর দৃষ্টিশক্তি হল জ্ঞা্ন/বুঝ (knowledge/understanding). তবে চোখে রঙ্গিন চশমা পড়লে যেমন চোখ থাকলেও যেমন সবকিছু চশমার রঙ্গে দেখায় ঠিক তেমনি জ্ঞান থাকলেও তা যদি পক্ষপাতের রঙ্গে রঙ্গিন থাকে তা হলে সে জ্ঞান দিয়েও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে না। সে কারনে জীবন ও জগত, ধর্ম ও সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিতে দেখতে হলে অন্তচক্ষু থেকেও পক্ষপাত নামক রঙ্গিন চশমা খুলে সবকিচু বিচার করতে হবে।
আমরা প্রত্যকেই পক্ষপাত নামক রঙ্গিন চশমা পরে আছি। এ চশমা আমাদেরকে আমাদের অবচেতনেই পরা হয়/পরিয়ে দেয়া হয় নিম্নক্ত উপায়েঃ
১। পরিবার থেকেঃ পরিবার থেকে কোন বিশেষ ধর্ম, কৃস্টি-কালচার ও অভ্যাসের প্রতি পক্ষপাত তৈরী করে দেয়া হয়।
২। মিডিয়া থেকে
৩। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে
৪। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলের বক্তৃতা থেকে
৫। সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন বাদ-মতবাদের সংস্পর্শে এসে
আর আনেক মাধ্যম আছে। আমি শুধু প্রধান মাধমগুল উল্লেখ করলাম। আপনি কি এই চশমার উর্ধে উঠে বুদ্ধিবৃত্তিক ও যুক্তির আলোকে জীবন ও জগতকে বিচার করতে পারবেন? আনেকেই দাবি করে যে সে এর উর্ধে ঊঠে সবকিছু বিচার করে। এমন কিছু লোককে তাদের বিশ্বাস এর যৌক্তিকতা ্বিশ্লেষন করতে বললে তারা কেও পক্ষপাতের উ্ধে উঠতে পারেনি। সত্য বলতে কি বিশ্বের ৫% এর বেশি লোক এ পক্ষপাতের বাইরে যেতে পারে না।( চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪