্সম্প্রতিক নতুন এক ধরনের ঠকবাজের আবির্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।বিভিন্ন বাস স্টান্ডে কিছু প্রতারক দাড়িয়ে থাকে; যখন বাস স্টান্ডে থামে এবং যাত্রিরা নামে থকন এ প্রতারক শ্রেনী সহজ সরল যাত্রিদেরকে বোকা বানিয়ে বিভিন্ন নামে (যেমন স্টান্ডের বিল ইত্যাদি- যাকে যা বলে বোঝান যায়) বিভিন্ন পরিমান চাদা (২০ থেকে ১০০/২০০ টাকা পর্যন্ত- যার থেকে যতটুকু সম্ভব) আদায় করে থাকে।
গত দু বছর আগে আমার শালক আমার ওয়াইফকে নিয়ে গাবতলি বাস স্টান্ডে নামলে তারা দুশত টাকা স্টান্ড বিল নামে দাবি করে। আমার শ্যালক এত চালু না। তাই সে বিষয়টি না বুঝতে পারায় আমাকে ফোন করে। আমি তাকে কিছু না দিতে বলি। কিন্তু সে তাদের ধমক ভাব ভঙ্গিতে ভয়ে ৫০ টাকা দিয়ে চলে আসে।
এবার ঈদে বাড়ি থেকে ফিরলে গাবতলি বাস স্টান্ডে নামার সাথেই প্যাসেঞ্জারদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমানে চাদা আদায় করতে থাকে। আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে নামার পরে দেখতে পাই তারা চাদা দাবি করছে। আমার কাছেও তারা ১০০ টাকা চাদা দাবি করে। আমি কোন কথা না বলে নিয়ারাপদ দুরুত্বে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর দেখি তারা আমাদের অনুসরন করে এসে পড়ে আবার একই দাবি করছে।আমি মুড নিয়ে ধমক দিলে তারা চলে যায়।
এদের সাথে বাস ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টার দের সাথে যোগসাযষ আছে। এর প্রমান পেলাম যে আমরা যে হানিফ বাসেএসেছি সেটা আমাদেরকে টেকনিকাল মোড়ে নামানোর কথা ছিল কিন্তু গাবতলি এসে তারা সবাইকে নামিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় তারা সাধারনত বাস যেখানে যাত্রিদেরকে নামায় তার থেকে অনেক আগে নামিয়ে দেয়। রাত্রিবেলা হওয়াই এবং আমরা পিছনের সিটে থাকায় বূঝতে পারিনি তারা এত আগে নামাছে। নতুবা আমি ড্রাইভারকে সামনে নামাতে বাধ্য করতাম।
শুধু এই নয়- যখন যাত্রিদের থেকে তথাকথিত চাদাবাজরা চাদা চাচ্ছিল তখন এক যাত্রি কন্ট্রাক্টরকে জিজ্ঞাসা করল যা তারা কিসের ফি দাবি করছে তখন উক্ত কন্ট্রাকটর তাকে সত্য না বলে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে বললো যে তারা স্টান্ড ফি চাচ্ছে।আমি একা থাকাই প্রতিবাদ করতে সাহস করিনি।
এদের সম্পর্কে মিডিয়া কর্মিদের এগিয়ে আসার আহবান করছি।