সকাল ৮.৩০ মিনিটে বাসা (খিলগাও) থেকে বের হয়েছি। যাত্রাবাড়ী হয়ে সানারপাড় যাবো। Business Statistics এর একটা ব্যাচ। জাস্ট ১ ঘণ্টার একটা ক্লাস নিবো। তার আগে যাত্রাবাড়ীতে একজনের সাথে দেখা করে যাবো।
তো খিলগাঁও থেকে সায়েদাবাদ ব্রীজ আগ পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় ১০.৩০ । সামনে রাস্তার অবস্থা আমার জানা ছিলো না। জ্যাম দেখে মনে করলাম এই জায়গাটুকু হেঁটেই যাই। তারপর আরেকটি বাসে করে না হয় সানারপাড় যাবো। যেই না বাস থেকে নামলাম শুরু হলো কাদার হোলি খেলা। কাদার ঘনত্ব টাখনুর উপর পর্যন্ত। আপনি না বাসে যেতে পারবেন, না হেঁটে। মাঝে মাঝে বিশাল খালের মত জায়গা। এগুলোকে আর ডোবা বলা যায় না, এগুলো এখন বিশাল বিশাল খাল। মাঝে মাঝে কোথাও ৫ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, একটু নড়াচড়ার জন্য। তখনই আশপাশ থেকে বিভিন্ন প্রকার গালির তুবড়ি শুনতে পাচ্ছিলাম। “কুত্তার বাচ্চারা” এই শব্দটি বেশ কয়েকজন ভদ্রলোকের মুখে শুনার পর আমি বেশ বিরক্ত। আহ! একটু না হয় সমস্যা হচ্ছে তাই বলে এভাবে গালিগালাজ করা কি ঠিক। আমাদের সরকার কি আমাদের এই কষ্ট দেখবেন না। নিশ্চয়ই দেখবেন! আমাদের দেখার জন্যই তো উনারা!
যাক ৩০ মিনিট বিভিন্ন কসরত করার পর যাত্রাবাড়ী মোড়ে পৌঁছতে পেরেছি। আমার টাখনু পর্যন্ত কাদায় ভরে গেলো্। ইতোমধ্যে সে বাসটিও এসে পড়েছে যেটিকে আমি ছেড়ে এসেছিলাম। দেখা করার প্রোগ্রাম বাতিল করে বাসে চড়লাম, সানারপাড় যেতে যেতে প্রায় ১১.৪০ বাজলো।
হাতমুখ ধুয়ে ছাত্রদেরকে বললাম, তোমরা একটু বসো, আমাকে ১০ মিনিট সময় দাও। একটু জিরিয়ে নেই।
তো, ক্লাস শেষ করার আগেই তুমুল বৃষ্টি। তাই সানাড়পাড় থেকে খিলগাঁও এর উদ্দেশ্যে রওনা হতে হতে ৩.৩০ বাজলো। খিলগাঁও এসে পৌঁছলাম ৬.৫০ মিনিটে। মধ্যে একজায়গায় নেমে আসরের নামাজ আদায় করেছি। উল্লেখ্য যাত্রাবাড়ী ক্রস করেছি ৬.৩২ মিনিটে।
জ্যামের মধ্যে বাসে বসে বসে মানুষ আবার সেই গালি “???”! সবার গালি-গালাজ শুনে আমারও ভেতর থেকে একটা “???”ধাক্কা দিয়ে বের হতে নিচ্ছিল। নিজের গলা নিজে টিপে ধরেছি।
ছি: ছি:! বড়রা না বলেছেন, “কুত্তার বাচ্চা বলে কাউকে গালি দিতে নেই।”
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৯