আক্কাস ফেসবুক চালায় তার গোঁফ উঠাৱ আগেত্তেই। ফেসবুকে সে গরিব মাইয়া ‘Sumi Akther’ এর পেজে গিয়ে প্রতিটি ছবি শেয়ার দেয় ইমো নাম্বার পাওয়ার লাইগা....
আক্কাস শেয়ার দিতে দিতে দুঃখে বাইঞ্চোদ হয়ে যায়। তাও ইমো নাম্বার আর পাওয়া হয়নি! এভাবেই শেয়ার দিতে দিতে একদিন আক্কাস একটি নাম্বার পেয়ে যায়। হ্যা সুমি আক্তার নাম্বার দিয়েই আক্কাস কে বলেছে, আমি গরিব হতে পারি কিন্তু খানকি নাহ!!
আক্কাস নাম্বার পাইয়াই পকাত কইরাই চুইদ্দ দুগুনে আটাশ টা দাঁত বাহির কইরা হাসি দেয়। পৈশাচিক সে হাসি। সিনেমায় মিজু আহমেদ যেরকম ভাবে নাসরিন এর লগে বালু বালু খেলার আগে হাসি দেয়, ঠিক সেই হাসিটা দিয়ে দিলো!
নাম্বারটা সেভ করে আক্কাস তো ভক্সোদ হয়ে গেলো। এই নাম্বারে কোনো ইমো একাউন্ট নাই। তাইলে কি সুমি তারে নিয়া মজা নিলো। না সুমি তো গরিবের ছাও। সেটা এটা করতে পারেনা। কখনই না...। মাইন্দার আক্কাস অনেক ভাবলো। ভেবে চিন্তে উক্ত নাম্বারটিতে ফোন দিয়ে দিলো। অপর প্রান্তে পকপক পকপক পকপকাত করে রিং বাজতেছে....
প্রথম বার কেউ ফোন পিক করেনি। আক্কাস দুদুবার ফোন দিলো। ফোন ধরলো বাচ্চুর বউ জোলেখায়। জোলেখার সে কি মিষ্টি কন্ঠ। ফোন ধরেই জোলেখা জিজ্ঞেস করলো,
-- হ্যালো! কে বলছেন?
আক্কাস ডগি স্টাইলে দুই রাউন্ড ড্যান্স দিয়া দিলো এতোক্ষনে। এরপর জোলেখা কে সে বললো,
-- হ্যালো, আমি আক্কাস চোদারি। আপনি সুমি নাহ.?
জোলেখা ভদ্রঘরের মাইয়া। তাই সে আক্কাসকে সুন্দর করে রং নাম্বার বলে ফোন্টা কেটে দিলো। আক্কাসের আর বুঝতে বাকি রইলো না সুমি তার ধোন- মন নিয়া ফুটবল খেললো। অথচ খেলার কথা ছিলো লিটনের ফ্ল্যাটে বালু বালু। যাক আক্কাস ঐ মাইয়াকেই পটাবে সিদ্ধান্ত নিলো।
পরদিন আক্কাস আবার জোলেখাকে ফোন দিলো। জোলেখা অনেক বুঝিয়ে বললো, সে সুমি না। তার নাম জোলেখা। তার বর আছে, বাচ্চা আছে। আক্কাস ভাবলো এক গোলপোস্টে এতো কিপার মাইয়ার। সমস্যা নাই সে গোল দিবেই। তাই মনোযোগ দিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন সিম কিনে ফোন দিতে থাকলো। এরকম ভাবে চলতে চলতে জোলেখা একদিন পটে গেলো।
ইতিমধ্যে ইমোতে এসে জোলেখা তার ব্লাউজ পড়া পিক দেখাইসে। আক্কাস পুরোটা দেখতে চাইলো। জোলেখা বললো সামনাসামনি দেখাবে। আক্কাস অপেক্ষা করতে থাকলো কখন সে জোলেখার পাহার- নদী নালা দেখতে পারবে। কোনো কিছুতে তার মন বাসনা পুর্ন হচ্ছিলো।
হঠাৎ একদিন জোলেখা পুন্দিয়ে জানাইলো তার বাসা খালি। আক্কাস কে যেতে বললো। আক্লাস সারা শরীরে ফগ স্প্রে মেরে মোচে তা দিয়ে জোলেখাদের বাড়িতে হাজির!
জোলেখা আক্কাসকে দেখে দরজা খোলে ভেতরে আসতে বলে। আক্কাস ভেতরে আসতেই জোলেখা দরজা লাগিয়ে দেয়। আজ পাছা খেলবোরে শ্যাম গানটা গাইতে গাইতে বিছানায় লাফিয়ে উঠে। বিছানায় গান গাওয়ার সময় আক্কাসের চোখ বুজা ছিলো। আক্কাস চোখ দুটো মেলে তাকাতেই দেখে, বাচ্চু আর বাচ্চুর ছেলে জসিম লাঠি আর দড়ি নিয়ে খাড়া। জোলেখা আক্কাসের উদ্দেশ্যে করে বললো,
-- বাইঞ্চোদ তোরে অনেক বুঝাইসিলাম, তোর ..... দিয়া কথা হান্দায় নাই এবার বুঝ মজা।
আক্কাস চিড়িত চিড়িত করে ছেড়ে দিলো, চোখের পানি। বাচ্চু আর ছেলে জসিম আক্কাস্কে উপ্তা কইরা বাইন্ধা আচ্ছামতো মাইর দিলো। ঐতিহাসিক মাইর খেয়ে বাচ্চুর মানচিত্র পাল্টাই গেলো। অনেক কষ্টে সে নিজেকে রক্ষা করলো।
অতঃপর সে ওয়াদা করলো আর এমন বাইঞ্চোদ মার্কা কাজ সে কখনই করবে নাহ।
এভাবেই ইমোর খপ্পরে পড়ে নষ্ট হয় হাজারো নাদান আক্কাসরা। তাই আসুন শেয়ার দিয়ে ইমো নাম্বারের খপ্পরে আর না পড়ি। নিজেরা বালও থাকি!