গণজাগরণ মঞ্চের দুই দফার সরকারের প্রতি ২০ ঘন্টার আল্টিমেটাম।
* পাকিস্তান ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ২০ ঘন্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
* বিক্ষোভ মিছিলের উপর লাঠিচার্জকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশি বাঁধার মুখে পাকিস্তানি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচীঃ-
এই দুই দফা দাবি না মানলে আজকে আবারও গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হবে।
পাকিস্তানের আসল রূপ!
গতকাল গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং পাকিস্তানি ও তাদের দোসর রাজাকার-আল বদরদের হাতে নির্যাতিত নারীর নেতৃত্বে পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে পাকিস্তানি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন, এদের মধ্যে ইউনাইটেড ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ও ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশ চড়াও হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।তিনি এ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
“এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু আমরা এতে আশ্বস্ত হতে পারছি না। দ্রুত এ পুলিশ কর্মকর্তাদের অপরসারণ করে সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমরা আশা করি।”- ইমরান এইচ সরকার।
গতকাল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদেরের মৃত্যুদন্ডে বিরোধিতা করে পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদে পাকিস্তানি দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ।
কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভের পর ১৬ ডিসেম্বর দেশটির জাতীয় পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়, যাতে জামায়াত নেতার ফাঁসিতে উদ্বেগ জানানো হয়।
একে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে এনে কড়া প্রতিবাদ জানায়।
পাকিস্তানকে কড়া প্রতিবাদ-বিডিনিউজ২৪।
মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীর কাদের মোল্লার জন্য পাকিস্তানের সংসদে প্রস্তাব পাশের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা-প্রথম আলো।
পাকিস্তানের পদক্ষেপের নিন্দায় প্রধানমন্ত্রী-বিডিনিউজ২৪
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
* “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই এর সমালোচনা করার অধিকার পাকিস্তানের নেই। পাকিস্তানি দালালদের আর ঠাই বাংলাদেশের মাটিতে থাকবেনা”
* “আমার দেশের যুদ্ধের সময় যারা অপরাধী, তারা আমার দেশের নাগরিক। তারা জনবিরোধী কাজ করেছে। আমরা বিচার করেছি, এখানে পাকিস্তান পার্লামেন্ট নিন্দা প্রস্তাব নেয়ার কে?”
* “তারাও (পাকিস্তান) তো অপরাধী। তাদের সেনাবাহিনী এদেশের জনগণকে হত্যা করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে, নির্যাতন চালিয়েছে। আর তারা (জামায়াত নেতা) ছিল তাদের দোসর।”
* “পাকিস্তানের পার্লামেন্ট যে প্রস্তাব নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। তাদেরকে আমি বলব, বাংলাদেশ এখন স্বাধীন দেশ।”
* যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার জন্য হরতাল ডেকে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নামে জামায়াত। অন্যদিকে পাকিস্তানে প্রতিবাদ জানায় জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান।
* “তাদের (পাকিস্তান) নিন্দা প্রস্তাব নেয়া এটাই জানিয়ে দিল, এতদিন ধরে বিএনপির যে রাজনীতি এবং জামায়াতে সঙ্গে গাঁট বাধা, একই ধরনের রাজনীতি।
* “তাদের দোসর আছে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও গোলাম আযম গং জামায়াতে ইসলামীর জন্য তাদের মায়াকান্না।”
* কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব নেয়ায় খালেদা জিয়ার ‘মুখোশ উন্মোচন’ হয়ে গেছে।
* “এটা যে সেই কাদের মোল্লা, তা প্রমাণ হয়ে গেছে পাকিস্তানে। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান খান, ওই নিয়াজির ভাতিজা, প্রস্তাব তুলেছে। এনিয়ে তিনিই আলোচনার সূত্রপাত করেছেন।
”
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপের নিন্দা,
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের সংসদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তার জন্য সংসদের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল এবং গর্হিত ও অগণতান্ত্রিক কাজ।’-আব্দুস শহীদ।
আব্দুস শহীদ অভিযোগ করে বলেন, ‘পাকিস্তানের সংসদে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, সে বিষয়ে সংসদের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানোর জন্য বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু সাড়া পাইনি।’
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের সংসদে নেওয়া নিন্দা প্রস্তাব ও সে দেশের রাজনীতিকদের বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পাকিস্তানের ওই ভূমিকাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরোক্ষ যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে অভিহিত করে জনগণ ও সরকারকে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
*যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সংসদের প্রস্তাব ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এসব বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, পাকিস্তান এখনো শোধরায়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের নৈতিক, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। এ থেকে সরে আসার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।’-সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।
পাকিস্তানের অবস্থান পরোক্ষ যুদ্ধ ঘোষণার শামিল-প্রথম আলো।
* জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে সাহসী সৈনিক আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের সংসদে যে ‘নিন্দা প্রস্তাব’ করা হয়েছে তা বাতিল করা না হলে আন্তর্জাতিকভাবে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবে আওয়ামী লীগ- মাহবু্বউল আমল হানিফ, যুগ্ম
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: হানিফ- প্রথম আলো।
পাকিস্তানের খবর ‘লুকাচ্ছে’ জামায়াত-বিডিনিউজ২৪।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে-প্রথম আলো।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আল্টিমেটাম-বিডিনিউজ২৪।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি-বিডিনিউজ২৪।