“আমার তীব্র অভিমান হয়
একি এক ধরনের বঞ্চনা নয়?
যদি কেউ না থাকবে, তবে দ্বার কেন বন্ধ ছিল?
কেন প্রতীক্ষায় ছিলাম এতদিন!”
আজকাল সারাদিন ছায়া পড়ে, যেখানেই যাই, যা-ই করি, উঠি-বসি, থেকে থেকে বাইরে ছুটে মন..উকিঁ-ঝুঁকি মারে খোলা ধূ ধূ তেপান্তর, হাতছানি দিয়ে ডাকে। বুকের মধ্যে ফরফর করে খারাপ লাগার ঘূর্ণি।
মনের এই আলো-আধাঁরী পরিমণ্ডল থেকে ফেরার খুব প্রয়োজন বোধকরি। পুরানো বন্ধুরা নেই, নেই সুস্থ অনুগত প্রেমের উপস্থিতি। শরীর থেকে ভবঘুরে সেসব ছাল-চামড়া তুলে ফেলেছিলাম, সেসব আবার ফিরে পাওয়া খুব জরুরী যেন। চেনাজানা মানুষের ভিড় থেকে অন্ততঃ দু’দণ্ড পালাতে চাই দূরে।
টিটোকে বলি, উপরে আকাশ আছে, নীচে অনন্ত সুন্দর জলরাশি, পেছনে পাহাড় অথবা সমুদ্রবেলার কড়ি-ঝিকিমিকি, এমন কোথাও নিয়ে চলো আমাকে। ঘরে বসে বসে শীতের দাপটে চামড়া কুচকে যাচ্ছে, কোথাও একটি যাওয়া খুব প্রয়োজন। বিশ্বকর্মার এই শহর থেকে, তোমাদের তথাকথিত সভ্যতা থেকে, ক্ষমতা লোভীদের বোমাবাজির যন্ত্রণা থেকে ...চলো, কোনো গহীন অরণ্যেও যাওয়া যেতে পারে, যেখানে মাননীয় কৃষক ডাকবে আমাদের বানডাকা রৌদ্রের বিভায়।
তাবু ফেলবো, পা ছড়িয়ে কিছুক্ষণ বসবো জলের কিনারায়। অজানা নামধারী বিস্ময় সুন্দর সব শীতের পাখি দেখবো, দেখবো পায়ের তলায়ে ক্রমশঃ হলুদ হয়ে আসা ঘাস। প্রাকৃতিক ওই অফুরন্ত নীলিমার নীচে একগ্লাস করে টাটকা রোদ খাবো, দেখবে তাহলে আমরা আবার সুস্থ হয়ে যাবো।
বসে বসে আকাশ-পাতাল তছনছ করি আর এ-সবই ভাবি। টিটোটা আজকাল বড্ড ব্যস্ত, সিলেট প্রবাসী রিয়াদ সদ্য চট্টগ্রামে আসলেও দেয়ার মতো ফুরসত তার নেই। মুঠোফোনে সিদ্দিক ভাইকে ধরি, উনি বলেন কাছে কোথাও ঘুরে আসি চলো, যেমন কর্ণফুলীর অভয়মিত্র ঘাট। নদীঘাটে বসে যৌবনের মতো জোয়ার ভাটার আসা যাওয়া দেখবো, দেখবো বেলাশেষে লাল রঙের পৃথিবীতে সূর্য রশ্মির স্বপ্ন হয়ে ঝরে পড়া ।
সত্যি কোথাও যাওয়া খুব জরুরি। এ ব্যস্ততা , এ রুক্ষতা আমার জন্যে নয়।আমার একটি অন্য পৃথিবী প্রয়োজন খুব।
রমেনকেও সেদিন বললাম, নিয়ে চলো তার “ঠিক আছে দাদা, নিয়ে যাবো-” কথার ঢংয়ে মনে পড়লো সুনীলের মামাবাড়ীর মাঝি নাদের আলীর কথা, যে তাঁকে তিনপ্রহরের বিল দেখাতে বলেও কথা রাখেনি।
শীতের পিঠা তো দূরে থাক, খেঁজুরের কাঁচা রসের সুঘ্রাণ নেয়া হয়নি অনেকবছর। আমার অসীম আগ্রহ দেখে এক পরিচিতা কথা দিয়েছিলো, শুধু গন্ধ নয়, মাটির হাড়িতে করে উপহার দিবে সদ্য পেড়ে আনা বিশুদ্ধ টলটলে রস। কথা রাখেনি সে আর আমার খেঁজুর রস পানের ইচ্ছেও স্বপ্ন হয়ে গেল..।
এইভাবেই সময় যায় আমার, দিন কাটে। এক ছন্দে ধীরর। অবসাধ, ক্লান্তি, উম্মাদের মতো দৌড়ে চলা, এক সময় বিছানায় মুখ থুবড়ে থাকা। হতাশা, ব্যথর্তা আর বিস্বাদে ভরা ভিতরটাকে নিয়ে কখনো কখনো বেড়িয়ে পড়ি। উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকি। আমার কিছুই থাকে না, সারাজীবনের নানা ব্যথর্তা আর অসফলতার স্মৃতি ছাড়া। কোথাও আজ যাবার নেই আমার। দু’চোখ জ্বালা করে উঠে। বুকজুড়ে কেন যে অভিমান আজো! যেখানে আমাকে কেউ বুঝলো না, চিনলো না, ভালোবাসলো না। জানি আমার জন্যে কেউ অপেক্ষা করে নেই, আমারও কারও জন্যে কোন প্রতীক্ষা নেই। তবুও জানালা খুলে রাখি; আসুক যত হাওয়া, রোদ, জ্যোৎস্না, বৃষ্টির ছাঁট, ঝিঁঝির ডাক বা জোনাকি।
tuhin@[email protected]
আলোচিত ব্লগ
তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???
তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???
আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।
১ম ধাপঃ
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি
গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
জানা আপুর আপডেট
জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।
বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন
বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।
এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন