somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কয়েকটি হিজিবিজি অনু

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সাথী(অনু গল্প)
সিঁড়ির পাশে মেয়েটিকে দেখলাম।খুব চেনা কেউ।ডাক্তার বলেছেন,আপনার স্মৃতিশক্তি দিন-দিন কমছে।তা-ই মেয়েটিকে
না চেনার ভান করলাম।বৌমা আমার জন্যে হরলিক্স গুলে রেখেছে।টেবিলে খবরের কাগজ।মন বসে না কিছুতেই।আচ্ছা
আমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম।পড়েছি নিশ্চয়।নইলে পেনশনের মোটা অংকের চেকে সই করি কেন?
আমার সাথে কে-কে পড়তো।কে কে ছিল সাথী?
আরে ওই মেয়েটা সাথীই তো?
বয়স বেড়েছে,হাসি তো মলিন হয়নি!
ছুটলাম।কাছে বললাম,সাথী এখানে?
সাথী হেসে বলল,আমি বুঝি ছেলের বাড়ি আসতে পাবো না?
না,আমাদের তো বৃদ্ধাশ্রমে থাকার কথা,ছেলেরা ভাল,তাই দেখা হলো।কি বলো?
সাথী হেসে উঠলো,আগের মতই।বুড়িয়ে গেলেও বয়স বাড়েনি ওর।
*

বই-বিষয়ক

. বইয়ের দালান,বইয়ের বাড়ি,বইয়ের চৌকাঠ
তবু বইয়ে মন ভরে না,ছুটছি বাজার-হাট।

শৈশবে বই খেলার ছিল,আজকে পড়ার সাথী
হারালে বই আজও কাঁদি এমন সমব্যথী।
.বাঁচতে গেলে বাছতে হবে বাঁচার মত বই
বই আমাদের জ্ঞাণের দুয়ার,বই আমাদের মই।
*



খুঁজে ফিরি যে রতন মানিক
কোথা পাই বলো তারে,
ভক্তিভরে ডুব দে-রে
পাবি হৃদয়-মাঝারে

*


পাহাড়ের হাতছানিতে
চলো যাই ঘুরে আসি;
সময় এবার সুসাথী হোক
অনুভবে বাজুক বাঁশী।
*



আমার চোখের জলে সেঁচা
গোলাপখানি তোমায় দিলাম,
হৃদয়-ব্যথা রুপকথা নয়
অনুভবে বুঝে নিলাম।
*

(১)মা,মা,হি-হি,হু-হু
(২) তোকে নিয়ে স্বপ্ন দোলায়
খেলার নাম,ঘু-ঘু-চু।
*

ছুটির বেলা সাঙ্গ হল
শুরু করো ছোটা,
সময়ের ছন্দে তাল মিলিয়ে
জীবনের নামা-ওঠা।
*


বুঝতে হলে খুঁজতে হবে
*


নাড়ু মোয়ার সাথে বাজে
কোজাগরির সুর,
লক্ষীমন্ত প্রাণ হোক সব
খুশিতে ভরপুর।
*

সবার মনে তোমার বাস
তোমার মনে কে,
ভক্তিভরে যে আমাকে
হৃদয় দিয়েছে।
*

ছোট বারণ ,বড় নিঃসরণ।
*
“ছন্দের যাদুকর”
ছন্দের দোলায় দোলে যার হৃদয়
ভোলে যে ব্যাঞ্জনায়,
ভাবের সাগরে মানিক খোঁজে-রে
যাদুকরী মহিমায়।
*
পুজোর গন্ধ চরাচর জুড়ে,বন্দনার মিঠে আশে
ভক্তি-সুবাসে পুষ্পিত হই,অর্চনার অভিলাষে।
*
আমার পরাণ যাহা চাই
(১)আমার মাথায় ঘিলু আছে
করছি কত কামাই,
সাত রাজার ধন আমি
বড়লোকের জামাই।
(২)
বিদ্যা আমার কাছে জেনো
বুদ্ধির চেয়ে বড়।
আগুনের পরশমণি
হৃদয় তোমার করো।
*

ধূপ ধূনো আর আলপনাতে
মায়ের বোধন আজ,
দূরের মানুষ কাছে এলে
হৃদয়ে এসরাজ।
মায়ের হাসিতে ঘুচলো আঁধার
এলো খুশির বন্যা,
সুখের আলোয় ভরিয়ে দে মা
সবার ঘরকন্না।
ঢাকের বাদ্যি আসছে ভেসে
খুশির হাওয়ায় মিশে,
বৃষ্টি তোমার সাথে আড়ি
আনন্দ করলে ক্লিশে।
ওই শোনা যায় ঢাকের আওয়াজ
এল ঢাকির দল,
সবাইকে তুই আশীষ দে মা
দে বুকে বল।
ঘরের মেয়ের আসছে ঘরে
একটি বছর পরে,
জনম জনম সাধনা করি
কেমনে রাখি ধরে।
হৃদয় মাঝি প্রেম সায়রে
ডুব দিয়েছে মন ,
উথালপাতাল ঢেউয়ের দোলায়
ভাটিয়ালীর ক্ষণ।
তোমার আগমনে সাজিছে ধরণী
জগজ্জননী দুর্গা ;
স্মরিবে,বরিবে আশার পুলকে
গাহিবে মনের সুর যা।
অর্চণার অভিঘাতে।
আলোর মালায় সাজছে শহর
সাজছে যত গ্রাম,
প্যান্ডেলে ভিড় জমিয়ে দেব
আরতি-প্রণাম।
ফুলের মত ছড়িয়ে দেব
গুণীকে প্রনাম।
*





মা সেই কাজে গেছে,ফেরেনি এখনও।ভাইটা কাঁদছে।পাড়ার লোকে বলছে,মা নাকি আর ফিরবে না।আমি বুকে বেঁধেছি ভাইকে।হাতে
শপথের লাঠি।আমাদের গল্প এভাবেই শুরু হয়।শেষও হয় একদিন।আমরা মায়ের জাত,মাথা উঁচু করতে না পারেলেও,এগিয়ে যাই।

.
*



আর দেরী নয় আসছে দুর্গা
এই শারদ প্রাতে,
আশীষ দে মা,ছাই দিস না
মোদের বাড়া ভাতে!

*

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×