দাজ্জালের অন্যতম কাজ হল আল্লাহর দেওয়া সমস্ত বিধানকে পরিবর্তন করে ফেলা। সমস্ত হারামকে হালাল ও সমস্ত হালালকে হারাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ইসলাম যে সত্য নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে তাকে চ্যালেঞ্জ করা ও তার বিপরীত ভাবাদর্শ তৈরি করা। এভাবে সে সমস্ত মানবজাতির ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা হবে দুঃসাধ্য ব্যাপার।
নারীবাদী আন্দোলন দাজ্জালের অন্যতম ভাবাদর্শ। নারীবাদী আন্দোলনে বলা হয় নারী ও পুরুষ একে অপরের সমান। ইসলামের মতে নারী ও পুরুষ একে অপরের সমানও নয় বা কেউ কারোর চেয়ে উত্তমও নয়। তারা একে অপরের পরিপূরক, অনেকটা একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠের মত। সূরা লাইলের ১ থেকে ৪ নং আয়াতে আল্লাহ কি বলেন দেখুন -
১। শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, ২। শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়
৩। এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন, ৪। নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।
মহান আল্লাহ নারী ও পুরুষের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাত ও দিনের সপথ নিয়েছেন। রাত ও দিন যেমন কার্যগতভাবে ভিন্ন, একে অপরের সমান নয় বা উত্তম নয় তেমনি নারী ও পুরুষ কার্যগতভাবে ভিন্ন, একে অপরের সমান নয় বা উত্তম নয়। সমস্ত মানুষ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে চিরুনির দাঁতের মত সমানভাবে দাঁড়াবে। শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তি হল তাকওয়া বা ধার্মিকতা, গায়ের রং বা লিঙ্গ নয়।
এই নারীবাদী ইডিওলজির উপর ভিত্তি করে এখন পৃথিবীতে একটি সেক্সুয়াল রেভলুশন চলছে। নারী পুরুষের মত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং পুরুষ নারীর মত হওয়ার চেষ্টা করছে। আর এভাবেই আখেরী জামানা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সঃ এর ভবিষৎবাণী সত্য প্রমাণিত হয়ে গেছে। তিনি (সঃ) বলেছেন, “পুরুষ নারীর পোশাক পরবে ও নারী পুরুষের পোশাক পরবে” (বুখারি)। তিনি (সঃ) বলেছেন, “নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে” (আবু দাউদ)। “দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচানোর জন্য পুরুষেরা তাদের স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা, ফুফু এবং অন্যান্য স্বজন মহিলাদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখবে” (আহমাদ)। এগুলো ইতোমধ্যে হয়ে গেছে এবং এগুলো নারীবাদী আন্দোলনের ফসল যা দাজ্জালের কাছ থেকে এসেছে। ব্যাপকহারে বিবাহবিচ্ছেদ, সমকামিতা, উভকামিতা, লিঙ্গ পরিবর্তনসহ আরো অনেক অশুভ বিষয়ের জন্ম দিচ্ছে দাজ্জালের এই নারীবাদী আন্দোলন। সোসাইটি ভেঙ্গে যাচ্ছে, মানবজাতি এগিয়ে যাচ্ছে অজানা ধ্বংসের পথে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫