১৯৭৩ সালে আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার তৎকালীন সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে চুক্তি করেন যে সৌদি আরব তার তেলসম্পদ একমাত্র আমেরিকান ডলারেই বিক্রি করবে। বিনিময়ে তারা সৌদি আরবকে আমেরিকান অস্ত্র, অর্থ, সেনাবাহিনী ও সৌদি রাজতন্ত্রের শত্রুপক্ষের হাত থেকে নিরাপত্তা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়। সৌদি আরব তেল রপ্তানিকারক সংগঠন OPEC ভুক্ত দেশগুলোকেও এই চুক্তির আওতায় নিয়ে আসে। যেহেতু তেল বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পণ্য, এই চুক্তি আমেরিকান ডলারের কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে এবং আমেরিকার ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংককে অগণিত নোট ইস্যু করার সক্ষমতা দান করে। এতদিন তাদের ডলারের বিপরীতে সমপরিমাণ স্বর্ণ রিজার্ভ রাখা বাধ্যতামূলক ছিল কিন্তু এখন আর তার প্রয়োজন নেই। ফলে তেল এখন স্বর্ণের ভূমিকা পালন করছে। ইংরেজিতেও পেট্রলিয়ামকে কালো সোনা বা Black Gold বলা হয়।
কিন্তু একে মেনে নিতে নারাজ রাশিয়া ও চায়না। এমন একটা অন্যায্য মুদ্রা ব্যবস্হা যা শুধু আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকেই সীমাহীন সুবিধা দেবে তা মেনে নেওয়া যায় না। ফলে তারা পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠন করল BRICS নামে একটি সংগঠন।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে তার একপাশে থাকবে আমেরিকা-ইউরোপ-ন্যাটো বলয় আর অন্যদিকে রাশিয়া-চায়না বলয়। আমেরিকা যদি তার পেট্রোডলার স্ট্যাটাস হারায় তাহলে তারা খুব বেশিদিন পৃথিবীর ১ নম্বর দেশ হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না, যা তারা কিছুতেই হতে দেবে না। রাশিয়া ও চায়না ইতিমধ্যে ডলারবিহীন আন্তর্জাতিক লেনদেন শুরু করেছে ও স্বর্ণের টাকা তৈরি করেছে। ফলে শুরু হবে মহাযুদ্ধ।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত
হবে না যতদিন না ফুরাত নদী থেকে
একটি স্বর্নের পাহাড় বের হবে।
মানুষেরা এটি দখল করার জন্য যুদ্ধে
লিপ্ত হবে।এ যুদ্ধে শতকরা নিরানব্বই
জনই নিহত হবে । তাদের প্রত্যেকেই
বলবে, আমিই এযুদ্ধে রেহাই পাব।”( বুখারী,অধ্যায় কিতাবুল ফিতান )
মধ্যপ্রাচ্যে আবিষ্কৃত সেই তেলই হল ফোরাত নদীস্থ স্বর্ণের পাহাড় যা আজ গোল্ড হিসেবে ফাংশন করছে। আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই হবে হাদিসে বর্ণিত মহাযুদ্ধ কারণ কারণ মানব ইতিহাসে এমন কোন যুদ্ধই হয়নি যেখানে ১০০ জনে ৯৯ জন মারা যায় যদি না পারমাণবিক বোমার মত গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। বাইবেলে এই যুদ্ধকে বলা হয়েছে আর্মাগেডন (Armageddon) ও হাদিসে বলা হয়েছে "মালহামা"। হাদিসে আছে এই যুদ্ধের পর ধোঁয়ায় পৃথিবী ঢেকে যাবে ও ৪০দিন সূর্যের আলো দেখা যাবে না এবং যুদ্ধের তেজে উড়ন্ত পাখিরা মরে গিয়ে আকাশ থেকে পরে যেতে থাকবে। এমন কোন অস্ত্র নেই যার ধোঁয়া পারমাণবিক বোমার মাশরুম ক্লাউডের মত আকাশকে ঢেকে ফেলে। কেয়ামতের ১০টি বড় নিদর্শনের একটি হল ধোঁয়া যা পৃথিবীকে ঢেকে ফেলবে। আর পারমাণবিক যুদ্ধের রেডিয়েশনেই সম্ভব পাখিদের এইরকম অদ্ভুত আকস্মিক মৃত্যু। এটাই মানবজাতির সর্বশেষ বড় যুদ্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫