আপনারা প্রায় সকলেই জানেন যে আমি গত ২৪/২/২০১৪ থেকে ২৬/২/২০১৪ পর্যন্ত বরিশাল ছিলাম সেথানে ইন্টারনেট লাইন কেমন হবে এ বিষয়ে সার্ভে করতে। ২৬/২/২০১৪ তাং সকালের দিকে আমাকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক এমদাদুল হক খান কাফি আমাকে বললো যে, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে ৪০১,৪০২ আর ৩০০ সিরিয়ালে কয়েকটা দোকান আছে ভারা হবে তুই দেখে আয়। আমাকে কয়েকটা ফোন নং দিলো যে এই নাং এ ফোন করিস। আমি আমাদের অফিসের স্টাফ রফিক কে নিয়ে গেলাম মুক্ত বাংলায়, মিরপুর ১ এ।
পরে আমি ৪০১ নং দোকানের সামনে থেকে মালিক কে ফোন করলাম উনি বলল যে উনি মিরপুর ১০ নং এ আছে, আপনি নিচ তলায় ২৬ নং দোকান জননি ইলেকট্রনিক্স এ যেয়ে আমাকে ফোনে ধরিয়ে দিন ওর কাছে দোকানের চাবি আছে। আপনি চাবি এনে দোকান টা দেখুন।পরে আমি ওই দোকানের পাশে আরেক দোকানের মালিকের সাথে আলাপ করলাম উনি আমাকে দোকানে সাইজ সম্পর্কে একটা আইডিয়া দিলো, পরে আমি আর চাবি এনে দোকান খুলে দেখিনি. এমনিতেই মার্কেটে ১০/১৫ মিনিট ঘোরা গুরি করলাম যে লাইন টাইন কেমন হবে। পরে একটা হিসাব করলাম এখানে অফিস নিলে মুক্ত বাংলাতেই অনেক গুলো কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আছে ওরা আমাদের কাছ থেকে লাইন নিবে, পাশে আছে জি-মার্ট এর অনেকগুলো এপান্টমেন্ট।
আমি ২ট কি ২.৩০ মিনিটের দিকে কল্যানপুর এসে কাফি ভাই( তালমুরির মালিক) কে বললাম যে ৪০১ নং দোকান টা পছন্দ হইছে, আপনি ওইটা কনফার্ম করেন।
পরে কাফি ভাই আমাদের পাইকপারার যে পার্টনার মিজান ভাই কে সাথে নিয়ে আবার ও মুক্ত বাংলায় গেল কনফার্ম করতে যে আমরা কাল পশুই ফাইনাল ডিড করব। আর এডভান্স এর টাকাটা কিছু কি কমানো যায় কিনা। রাত ৮.৩০ মিনিটে আমাকে ফোন করল রফিক, বলল যে, কাফি ভাই আর মিজান ভাই তো শাহ আলি থানায়। আমি সাথে সাথে কাফি ভাইকে ফোন করলাম, ফোন ধরে বলল যে আমি শা্হ আলি থানা থেকে বলছি, আপনি আসেন, আমি জানতে চাইলাম যে, কি হইছে উনি আর কিছু বলল না। ফোন টা বন্ধ করে দিলো। আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞাস করলাম যে শাহ আলি থানাটা কোথায়, কেউ বলতে পারলো না, পরে বাংলা কলেজের মিরন ভাই কে ফোন করলাম উনি আমাকে বলল যে গুদারাঘাট।
তারপর চোখের পলকে কয়েকটি ঘটনা ঘটে গেল, যেমন কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড এর মলিক সোহরাব হোসেন শুভ আমাকে বলল যে, "আমার মা মারা গেছে আমার বয়স যখন ৩ বছর, আমরা মা মারা গেছে আমার বয়স যখন সারে ৩ বছর, আমাকে আর হুমকি দিয়েননা আপনি আমাকে এখনি মেরে ফেলেন একটা গুলি খরচ করে। আমি কিছুই বুঝলাম না। পরে আস্তে আস্তে জানতে পারলাম যে ওনার কাছে আমরা কয়েকদিন আগে একটা খাম পাঠাইছি যাতে বুলেট ছিল, ওর কাছে আমরা ১০ লাখ টাকা চাদা দাবি করি। ওকে আমরা সকাল বিকাল প্রতিদিন ২ বার করে মেরে ফেলি, আমরা শাহাদত খোরশেদ অার আয়ুব আলির বন্ধু, অার বিকাশের ছোট ভাই বেরাদর।
২৬/২/২০১৪ রাত এগারটা আমরা সবাই থানায়। আমাদের স্হানিয় এমপি শাহ আলি থানার ওসি কে ২ বার ফোন করেছেন, উনি বলেছেন যে, আমি কাফি মিজান কে চিনি, কাফি তালমুরির মালিক আর মিজান ওর পার্টনার, ওরা চাদাবাজ হতে পারে না, প্রাইম মিনিস্টারের অফিস থেকেও ওসি কে বলেছেন যে, কোথা্ও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে, ওসি সাহেব ওনাকে বলেছেন যে, আপনি কাফি কে চিনেন না ওরা চাদাবাজ, আর এমপি কে বলেছেন, যে ডিএমপি কমিশনার বেনজির সাহেব মামলা নিতে বলেছেন। তাই আমার কিছুই করার ছিলনা। তার পর দিন পুলিম সি.এম.এম কোর্টে সাত দিনের রিমান্ড চাইলো, বাদি সোহরাব হোসেন শুভ ও তার ল-ইয়ার রাও কোর্টে উপস্থীত। বাদির চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে আর ম্যাজিস্টেসেটর কাছে আকুতি জানাচ্ছে যে জামিন হলে আমাকে কাফি আমাকে আজ ই মেরে ফেলবে। এখন ও নাকি আমারা ওকে হুমকি দিচ্ছি।
আর আমার এসব বিষয়ে দিনের অধিকাংশ সময় থানায় কোর্টে, আর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকতে হয়। সার্ভারে বসার সময় পাই না, অাপনাদের ফোন রিসিভ করতে পারি না, আর আমাদের স্টাফ দের নাম্বারে ফোন করলে ওরা কি আপনাদের কমপ্লেইন ঠিক করল কি না তাও খেয়াল রাখতে পারছিনা। আর এসব কারনেই আমি এর আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে, ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারি। তবে আমাকেও যদি ওরা ধরে নিয়ে যায় তাললে আমাদের তালমুরির সার্ভিস এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
আমি একটু আগে জেলখানা থেকে কাফি ভাইয়ের সাথে দেখা করে আসলাম, উনি আপনাদের সবার কথা জিজ্ঞাসা করলো যে আপনাদের কে আমরা কেমন সার্ভিস দিচ্ছি, লাইনে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, স্পিড কেমন পচ্ছেন। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আর আশা করি এই বিপদের দিনে সবাই আমাদের সাথেই থাকবেন।