বানানটা ভুল হয়েছে এবং সবাই এটা বুঝতে পারছে, এমন হতেই পারে! যারা এই কাজে জড়িত ছিল তারা এত শত ব্যাখ্যা না দিয়ে শুধু 'সরি' বললেই হয়ে যেত, অকাইম্যা ব্যাখ্যা দিয়ে এবং ভুল স্বীকার না করে আ_চোরারা আমাদের হাইকোর্ট দেখাচ্ছে, পুরাই জব্বারীয় ব্যাখ্যা বটে! অনুচিত এবং অভাবনীয়।
শপথের অনুষ্ঠানটা আমি একটি নিউজ টিভির রেকোর্ডেড ভিডিওতে দেখলাম, আমার মনে হয়েছে শপথ অনুষ্টান মুলত সেখানে অবস্থিত লোকজনের জন্যই আয়োজন করা হয়েছিল, সারা দেশবাসীর জন্য ছিলো না, দেশে যদি ধরা হয় ১৭ কোটি মানুষ বসবাস করে, তবে কতজন এই শপথ নিতে পারত, এই সময়ে, কারন সময় সঠিক ছিলো না বা এই সময়ে মানুষ এমন দিনে এক স্থানে বা ঘরে থাকার কথা না। যাই হোক, কতজন নিতে পারলো, তার একটা হিসাব দেয়া দরকার এখন।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষন যিনি লিখে দেন, তার শব্দ ও বাক্য ও ব্যাখ্যা নির্বাচনে আরো কৌশলী হওয়া দরকার, একজন প্রধানমন্ত্রী ভাষন যেন সাধারন মানুষের মন ছুঁয়ে যায় বা তিনি যেভাবে কোন ঘটনার ব্যাখ্যা দিবেন তাতে যেন সবাই বুঝতে পারে যে, ঘটনা কি এবং নিজের ইনভল্মেন্ট কি! আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদার ভাষন শুনতে চাই যা হবে জাতি গঠনে সহায়ক, চাই তিনি যা ব্যাখ্যা দিবেন সেটার চরম যুক্তিযুক্ত বা যা হবে আমাদের মনের কথা।
আমি বিশ্বাস করি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চরম মমতাময়ী, তিনি যখন তার ছোট বো্নকে ডায়াসে তুলতে বলেন, আয়, তখন চোখে পানি আসে, বোনের মত বোনতো এমনই হওয়া চাই, এভাবেই সারা দেশের মানুষকে প্রাণ খুলে বলুন, সবাই আসুন, নিশ্চয় আসবেই। 'আম্মা' নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের অন্তরে 'বড় আপা' হয়েই থাকুন, এই মমতাময়ী চরিত্রে আপনি সেরা হতে পারেন নিমিশেই।
সরকার বাহাদুর বড় বড় শহরে মোড়ে মোড়ে নানান বিজয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারত, ব্যান্ড পার্টি সহ, লাইভ গান নাচ বা এমন আনন্দের আয়োজনে সাধারন মানুষের মনে একটা বিজয় ফুর্তি ভাব আসত, সাথে রাষ্ট্রের পক্ষে থেকে কিছু খাবারের ব্যবস্থাও করা যেতে পারত রাস্তার ধারের দরিদ্র মানুষের জন্য, এই সব প্রশংসনীয় উদ্দোগ কি সরকারে থাকা কেহ চিন্তা করে না, বাস্তবতা কি কেহ বুঝতে পারছে না!
(১৭/১২/২০২১ইং দুপুর, একজন ব্লগারের ভাবনা)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৩