এই দুনিয়াতে মানুষের ধর্ম বা জীবন যাপনের ধারা আছে প্রায় ১০ হাজারের মত (এটা গুগল তথ্য, এআই অনুসারে প্রায় ৭ হাজার), যা এখনো চলমান, অনেক গোষ্টি সংখ্যায় খুব কমে নেমে এলেও এখনো টিকে আছে, শহরে, গ্রামে বা জঙ্গলে! এখনও এই দুনিয়াতে এমন মানব গোষ্টি আছে, যারা দুনিয়ার এই বর্তমান সভ্যতা (সভ্যতা নিয়ে আরেক দিন আলোচনা হবে) তাদের কোন কাজেই লাগে না বা তারা এর মধ্যেই নেই, পুরাই বাইরে!
আমাকে যদি কেহ জিজ্ঞেস করেন, ধর্ম কি? আমি এক লাইনেই বলবো, ধর্ম হচ্ছে জীবন বিধান, ধর্ম আপনাকে সাহায্য করে সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন যাপন করে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে!
যাই হোক, কথা বলি, ইসলাম ধর্ম নিয়ে, মুলত ইসলাম কি এবং কেন, কিসের জন্য ইসলাম এত মানুষের মন জয় করছে, পাশাপাশি বিরুদ্ধের মধ্যেও পড়ছে! এক কথায় যদি বলি, ইসলাম ধর্ম প্রায় ধর্ম থেকে কিছুটা আলাদা জীবনমুখী, কঠোর ভাবে পরকালে বিশ্বাসী এবং এই লোকিক দুনিয়া দারীতে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না, সাথে এক আল্লাহর প্রতি ইমান এবং তার সামনে হাজিরের ব্যবস্থা এই ধর্মের অনুসারীদের ব্যস্ত করে রাখে এবং ইত্যাদি।
ইসলাম ধর্মের স্ট্রাগল পুরানো, যা শুরুতেও ছিল এখনো আছে। এই যে দুনিয়াতে এখনো প্রায় ইসলাম ছাড়া ৯৯৯৯ ধর্ম আছে, তাদের অভ্যন্তরে বা একে অপরের সাথে তেমন ধন্ধ নেই, তবে এরা সবাই মিলে ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা করেই বা ইসলামের বিরুদ্ধে এরা সবাই একই ভুমিকাতেই থাকে। মানে বিষয়টা দাঁড়ায়, ইসলামের বিপক্ষ ব্যপক এবং প্রায় অন্য সব ধর্মই, ইসলাম ধর্মের টিকে থাকার লড়াই অপেক্ষাকৃত কঠিন।
এছাড়া ইসলাম আরেকটা পক্ষকে সব সময় মোকাবেলা করে, এরা হচ্ছে ঘরের মানুষ, এই ঘরের মানুষেরা নিজ ঘরে থেকেই নিজদের বিপক্ষে কথা বলে, নিজ ধর্মের ভুল (!) গুলো অন্যদের জানিয়ে দিতে বা অন্য ধর্মকে সামনে নিয়ে এসে নিজদের মধ্যে একটা বিভাজন সৃষ্টি করে, এরা নামে মুসলিম হলেও কামে ভিন্ন, যদিও এদের নাস্তিক (আসলে তা নয়, এদের মরার পরে সেই ইসলামিক কায়দাতেই মাটিতে কবরস্থ করা হয়) বলা হয়!
ইসলাম শুরু থেকে আজো এমনি প্রতিকুলতা পার করেও এখনো এগিয়েই যাচ্ছে বা গ্রহনযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছেই, এর অনেক কারনের মধ্যে একটা হচ্ছে, ভাল জীবন বিধান, ইহকাল পরকাল দুইকালের সমাধান সুন্দর ও সবালীল।
মানুষ যেহেতু অসীম সময় বাঁচে না বা কখন মারা পড়বে জানে না, খুব চিন্তা করার কারন নেই এই জন্যই, যে যে ধর্মে থাকেন তাতেই থাকেন কিংবা খুঁজে যেটা ভাল পান সেটাতে মাইগ্রেট করেন তবে যে ধর্মে আছেন সেটা নিয়ে কটু কথা বলার অধিকার আপনার নেই, পাশাপাশি এই ধর্মে আপনি কিছুতেই সংশোধন, বিয়োজন ইত্যাদির কথা বলতে পারেন না, আপনার দাদার বাবা, দাদা, বাবা আপনাকে যেভাবে যে ধর্মের বিধি শিখিয়েছেন, সেভাবেই এগিয়ে চলুন। অহেতুক লম্ফজম্ফ করার আগে ভেবে দেখুন, এমন অনেকেই করেছিল, তাদের কেহ আর বেঁচে নেই, নেই তাদের নামটাও, আপনি নিজকে সেই তামাশা বানিয়ে শেষে পরাজিত হবেন!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮