গুরুজি আসছে সেই সকাল বেলা, তখন থেকে ঘুমাচ্ছে, তো গুরুজি ঘুম থেকে উঠেছে দুপুর দেড় টায় নামাজের সময় সীমা তখন প্রবাহিত হয়ে গেছে। উঠেই আমাকে বলল একটা ভালো বুদ্ধি আসছে... আমি জিগাইলাম কি সেই বুদ্ধি?
- ইভা রহমান, মওদুদ আহমেদ আর ভারতের এ আর রহমানের মধ্যে একটা গান গাওয়া প্রতিজগিতার আয়োজন যদি আজকে করতে পারি তাহলে দারুন হয়।
- আমি বেশ কিছুক্ষন গুরুজির দিকে তাকিয়ে রইলাম হা করিয়া, তাহারপর জবানী হইতে বাহির করিলাম, কি প্রকারে ইহা সম্ভব? ইভা রহমান কি রাজি হইবে?
- ইভা রহমানকে বলিবো এ আর রহমান আসিবে, তাহা হইলেই সে রাজি হইবে।
- মনে মনে কহিলাম বেচারা মাহফুজুর রহমানের কফাল পুড়িল বলিয়া।
- কিন্তু মওদুদ কি রাজি হইবে?
- তাহাকেও বলিব এক আর রহমান আসিবে।
- মনে মনে কহিলাম মওদুদ বুঝি এইবার না কি কহিয়া বসে।
- কিন্তু এ আস রহমান কি রাজি হইবে?
- আরে পাগল এ আর রহমান কে বলিবো, বাংলাদেশে দুইটা প্রানী পাওয়া গেছে, একটা কাউয়া আর অন্যটা একটা ছাগল, সেই দুইটা গান গাওয়ার মতো করে সাউন্ড করতে পারে, এইটা শুনিলে এ আর রহমান সাহেব আর রাজি না হইয়া পারিবে না।
- বুঝিলাম, গুরুজি কে যতটা বেকুব মনে করিয়াছিলাম, ততটা বেকুব গুরুজি নহে। তবুও জিজ্ঞেস করিলাম, তাহারা যখন পরস্পরের মুখোমুখি হইবে তখন কি করিবে? এ আর রহমান তো বুঝিতে পারিবে যে আমরা তাহার সহিত ফ্লারট করিয়াছি।
- গুরুজি কহিলো, প্রথমেই আমরা ইভা রহমানের গান শুনিবো, উহা শুনিলেই এ আর রহমান বুঝিতে পারিবে আমরা মিথ্যে কিছু বলি নাই, তারপরেই শুনিবো মওদুদের গান, তাহা শুনিলেই উনি বুঝিতে পারিবে ছাগল কাহাকে বলিয়াছি। অতঃপর উনাকে এমন দুইখানা আশ্চর্য প্রানীর সহিত সাক্ষাতের ব্যবস্থা করায় উনি খুশি হইয়া অবশ্যই আমাদের একখানা গান শুনাইবেন। এবার যা এমন চমৎকার আইডিয়া দেয়ার জন্যে একটা সিগারেট বের কর।
- আমি আমুদিত।