ধনীর জন্য আইনঃ এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ সহ অগুনিত প্রতিষ্ঠানের মালিক ড. মাহফুজুর রহমান সারাবিশ্ব জুরে প্রচারিত টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীকে বাচাল বলে কটাক্ষ করলো যা অসংখ্য টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারীত হলো অথচ অনেকেই বলছে, দুলাভাই এমন বলতেই পারে।তার বিরুদ্ধে মামলা করলেও দলীয় চাপেই তা তুলে নেয়া হয়।
গরীবের জন্য আইনঃ আর ঐ দিকে ১৫ মে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সোহেল রানা রাজ তার ফেসবুকের ওয়ালে ইলিয়াস গুম রহস্য নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি ‘প্রধানমন্ত্রীকে জঙ্গলের বাঘের চেয়ে হিংস্র এবং ক্ষুধার্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।এ ঘটনার জের ধরে গত ১৬ মে সকালে সোহেল রানা রাজকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে এনে মারধর করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রাজকে ধরে ত্রিশাল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।পরে রাজকে ময়মনসিংহের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করেন। সোহেল রানা রাজ আজও বর্তমানে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার এই বিষয়ে বলেন, আমরা আমাদের তদন্ত সম্পন্ন করেছি এবং নিশ্চিত হয়েছে যে তার ফেসবুক মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল৷সোহেল রানা রাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হচ্ছে।বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ফেসবুকের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন৷ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘‘এই ছাত্র যে অপরাধ করেছে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যে কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যারাই এ ধরনের অশোভন কটূক্তি করবে, তাদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷''
উল্লেখ্য, ফেসবুকে কটূক্তি করার অপরাধে বাংলাদেশে এর আগে অন্তত আরো দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ গত জানুয়ারি মাসে ফেসবুকে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় গ্রেপ্তার হন শিক্ষার্থী আল-নাইম জুবায়ের৷একইমাসে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষক রুহুল খন্দকারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার আদালত৷
সোহেল রানা রাজ কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী।তার বাড়ি ফরিদপুর উপজেলার রাজবাড়ি উপজেলায়। বাবা নওশের আলী মোল্লা পেশায় একজন দিনমজুর। মা সখিনা বেগম গৃহিণী। দু’জনেরই বয়স ষাটোর্ধ্ব।দারিদ্র্যের অন্ধকার ঘরে এক টুকরো আশার আলো হয়ে উঠেছিলেন রাজ। কিন্তু নিজ সন্তানের এমন কাণ্ডে হতবাক বাবা-মা। রাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রক্রিয়াধীন হওয়ার ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা। পাশাপাশি সন্তানের অনিশ্চিত জীবন নিয়েও তারা উৎকণ্ঠা আর অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি ক্ষণ পার করছেন।রাজের বাবা নওশের আলী মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলে না বুঝে এ কাজটি করেছে।
মূলপোষ্টঃ সহজ পৃথিবী'র বাংলাব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৮