ঠেলিটক ও পাবলিক-যৌথ্য প্রযজনায় স্ট্যাটাসঃ প্রতি মিনিট দুই টাকা খরচ করে মোবাইলে দেখা যাবে টেলিভিশন, ৩০ মিনিটের খবর ৬০ টাকা।ভিডিও কলের খরচ পরবে ভয়েস কলের দুই থেকে আড়াই গুন - চার বছর প্রতিক্ষার পর ১৪ অক্টোবর টেলিটকের থ্রি-জি’র উদ্বোধন-
ঠেলিটক আরও বলছে, তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি (থ্রি-জি) চালু হলে ঐ সীমে মোবাইল হ্যান্ডসেটে বা মোডেমে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে অন্তত দশগুণ বা প্রায় ১ এমবিপিএস যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ৫-২০ এমবিপিএস পর্যন্ত চলে গেছে।এখন যে কাজ করতে দশ মিনিট লাগে তখন সেটি হবে এক মিনিটে। আর মোবাইল ফোনেই দেখা যাবে টেলিভিশন। প্রতি মিনিটে খরচ হবে দুই টাকা।আর যিনি মোবাইলে ফোন করেছেন চাইলে তার ভিডি/ছবিও দেখা যাবে, জানা যাবে তার অবস্থান।একে বলা হচ্ছে ভিডিও কল।ঠেলিটকের থ্রি-জির সব সার্ভিসেই ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা থাকবে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশেই চলবে থ্রি-জির সব কার্যক্রম।এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ঘরে বসেই সম্পদের নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যাবে।শহরের সব সড়কের গাড়ির গতিবিধি দেখে অনাকাঙ্খিত জ্যাম নিয়ন্ত্রণও করতে পারবে পুলিশ।গত চার বছর ঠেলিটককে থ্রীজি করার অপেক্ষায় দেশে থ্রিজি দেয়া হয়নি।চীন থেকে ২.৫% সুদে ১৫০০কোটি টাকা ঋন নিয়ে শর্ত হিসাবে চীন থেকেই ডিভাস এনে গড়ে তোলা হয়েছে ঠেলিটক থ্রীজি যা আগামী ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী টেলিটকের থ্রি-জি প্রযুক্তির উদ্বোধন করবেন।জেলাতথ্যবাতায়ন সহ আরও ১০০টা ডিজিটাল উদ্বোধনের মত ঠেলিটকথ্রীজি উদ্বোধনে গত বৃহস্পতিবার সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুজিবুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, আগামী সপ্তাহেই তারা পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করবেন। ইতিমধ্যে রাজধানীতে প্রায় একশ’ বিটিএস (base transceiver station—BTS) বসানো হয়েছে যদিও একটি মোবাইল নেটওয়ার্ককে সমগ্র বাংলাদেশ কভার করতে প্রায় ১৪ হাজার বিটিএস লাগে।আর ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরের সপ্তাহেই সাধারণ গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরের ৪ লাখ গ্রাহক এই থ্রি-জি সুবিধা পাবেন।এ বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রামে চালু আরও ১০-২০ টি বিটিএস করা হবে থ্রি-জি।থ্রি-জি’তে কোন কল ড্রাপ থাকবে না উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান বলেন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই সব ব্যবহার উপযোগী হবে।
থ্রি-জি মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতিতে ইন্টারনেট পরিবহন সম্ভব বলে মোবাইল ফোনেই টিভি দেখা, জিপিএসের মাধ্যমে পথ নির্দেশনা পাওয়া, উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহারসহ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেয়া সম্ভব। প্রাথমিকভাবে টেলিটক যে কলের যে হার নির্ধারণ করেছে তাতে ভয়েস কলের (শুধু কথা বলা) রেট এখন যা আছে থ্রি-জি’তেও তাই থাকবে। অন্যান্য সুবিধার জন্য যে বিল ঠিক করা হচ্ছে তা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলংকার চেয়ে কম হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুজিবুর রহমান।
বর্তমানে ভারতে মোবাইলে টেলিভিশন দেখতে মিনিটে দুই রুপি খরচ করতে হয়। বাংলাদেশেও তাই দুই টাকার কম রাখা হবে টেলিভিশন দেখতে। তবে অপাতত বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোই দেখা যাবে মোবাইল ফোনে। বাইরের চ্যানেলগুলো এখনও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এখানে ১০ সেকেন্ড পালস থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিটিআরসি যেভাবে বলবে তারা সেভাবেই করবেন।
টেলিটকের একটি সূত্র জানায়, ভিডিও কলের রেটও দেড় টাকা থেকে দুই টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হচ্ছে।আর ভিডিও কনফারেন্সের রেটও হবে ভিডিও কলের চেয়ে কয়েক পয়সা বেশী। ইন্টারনেটের বিল কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে টেলিটকের এমডি বলেন, বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটররা ইন্টারনেটের জন্য বাজারে যে ধরনের প্যাকেজ চালু রেখেছে তার চেয়ে কম হবে টেলিটকের ইন্টারনেট প্যাকেজ।
গ্রাহকদের থ্রি-জি’র জন্য আলাদা সীম দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত টু-জি সীম পরিবর্তন করে থ্রি-জি সীম সরবরাহ করা হবে। এই সীমে একই সাথে টু-জি ও থ্রি-জি সেবা পাবেন গ্রাহকরা। টেলিটকের বর্তমান গ্রাহকরা গ্রাভিটি ক্লাবে যোগ দিয়ে বিনা পয়সায় থ্রি-জি সীম পেতে পারেন।আর যারা নতুন কিনবেন তারা এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা দিলেই কিনতে পারবেন। তবে ৪ লাখের বেশী সীম দেয়া হবে না।
টেলিটকের একটি সূত্র জানিয়েছে, থ্রি-জি সেবা গ্রহণ উপযোগী বিশেষায়িত মোবাইল ফোনের সেটের জন্য এরই মধ্যে সিম্ফোনি টেলিটকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিশেষ প্যাকেজের জন্য টেলিটককে ৮০ ডলারে সেট দিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে তারা। টেলিটক এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু না বললেও সেটের মূল্য ৫০ ডলারের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য বলেছে। মুজিবুর রহমান বলেন, ৫ হাজার টাকার মধ্যে থ্রি-জি সেট যাতে গ্রাহকরা পান সে ব্যবস্থা তারা করছেন। দুই-এক দিনের মধ্যে টেলিটকের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে বাজারে থাকা কত টাকা মূল্যের কোন সেটে থ্রি-জি সুবিধা পাওয়া যাবে।
নকিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে অন্তত ১৫ লাখ নোকিয়ার হ্যান্ডসেট রয়েছে যা দিয়ে থ্রি-জি সেবা পাওয়া সম্ভব। এছাড়া থ্রি-জি সেবা পাওয়া সম্ভব অন্য ব্যান্ডের মোবাইল সেটও বাজারে রয়েছে। তবে এসব সেটের মূল্য খানিকটা চড়া বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ডিটেইল জানতেঃ মৃত্যু আগ মুহুর্ত পর্যন্ত জাতীর পশ্চাদে বাঁশ দিয়ে আইক্কা রেখে চলেগেলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহাম্মেদ
যেখানে সমগ্র বাংলাদেশ কভার করতে কোন মোবাইল অপারেটরের প্রায় ১৪ হাজার বিটিএস লাগে সেখানে আমাদের টেলিটক ২০০৯ সালে চীন থেকে ১৫০০ কোটি টাকা ২.৫% সুদে ঋন নিয়ে - ক্যাশ না, চীন থেকে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট ইমপোর্টারের মাধ্যমে ডিভাইস আমদানীর শর্তে - চার বছরে ঢাকা শহরের ১০০ বিটিএস আপগ্রেড করে ৩জি চালু করছে আগামী ১৪ অক্টরব- প্রধানমন্ত্রীর হাতে।এবছর শেষে চট্টগ্রামে আরও ২৫টি বিটিএস আপগ্রেড করা হবে।দেশের ৯ কোটি মোবাইল ইউজারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ লাখ গ্রাহক এই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুজোগ পাবে।শুধু এটুকুর জন্য দেশে থ্রীজি ৪ বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল ...
উপরের এই কয়টি লাইনের মর্মার্থ ও জাতীয় বহুমাত্রিক ক্ষতির পরিমান সামান্যও যদি তরুনেরা বুঝতে পারতো, তাহলে ১৪ অক্টবর, টেলিটকের জীবিত চেয়ারম্যন ও বিটিআরসির মৃত চেয়ারম্যানকে পশ্চাদে বাঁশ দিয়ে বিজয় স্বরনীতে ১০১ ফুট উচ্চতয় গেড়ে রাখতো - আফগানিস্তানে তালেবানরা এক সময় এক রাশিয়া পহ্নী নেতাকে মেরে এভাবে চৌরাস্তায় বাঁশের মাথায় প্রদর্শনের জন্য কয়েকদিন রেখেদিয়েছিল।
Jalil Sumon বলেছেন, রাশিয়াপন্থি সেই নেতা আর বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান কি এক হলো?
# দুই জন অবশ্যই এক না, তবে দেশ ও জাতীর ক্ষতির পরিমান বিবেচনায় রাশিয়াপহ্নী ঐ নেতাকে তালেবানরা যদি সাজা দিতে অপেক্ষাকৃত নিচের লেভেলের বেহেস্তে রাখলেও আমাদের এদের বাঁশ দিয়ে শুটকি না লাগা পর্যন্ত প্রদর্শন করলে ন্যায়বিচারের কাছাকাছি যাওয়া যেতে পারে।
Jalil Sumon বলেছেন, আমার আফগান বন্ধুরা ঐ রাশিয়াপন্থি নেতার পক্ষেই কথা বলে। তালিবানদের পক্ষে কথা বলতে কাউকে শুনি নাই। আর তালিবানরা একটা মানুষকে বিচার করেছে... সেটা কেমন বিচার তা পৃথিবীর সবাই জানে।
# ন্যয়বিচার সহসাই হয়, সেও ভুল জায়গায়।যে বিচার এদেশে বহুগুলো পেন্ডিং সে বিচার হয় অন্য কোথাও- হায় বাংলাদেশ, হায় পৃথিবী!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪০