অচল ঘড়ি বাজবে যখন ভেবে নিও তোমার দ্বারে তা ছিলো আমার শেষ হৃদ স্পন্দন,
ঘূর্ণায়মান নিষ্ঠুর পৃথিবীটা তে যখন একই ঘটনা আবার ঘটবে তুমি দেখে নিও কষ্ট কেমন।।
স্ব-ইচ্ছার পাখিটা মুখ থুবড়ে যখন ফুটপাতে কাঁদবে ওই মুখের হাসিটা কতক মলিন হবে
আর কার্ণিশ বেয়ে গজিয়ে উঠা নতুন লতা টা কে নিজ হাতে ছিড়ে ফেলবো,
তখন হাসির শব্দ আমার গুঞ্জে উঠবে চারিপাশে, আমি হাসবো আর হাসবো।।
মন টা কে নাগাল দিতে সুদূর পাড়ে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম,
ভাবলাম কোকিল পাখির মতো স্বার্থপরতায় ভরপুর নীড় ছেড়ে কনক্রিটের দেয়ালে গা ঘেঁষাঘেঁষির খেলায় মত্ত হবো না।।
কিন্তু শহরের জীর্ণকায়ায় আষ্টেপৃষ্ঠে আছে মিথ্যে পল্লবের শেকল.... আছে অদৃশ্যমান মায়াঘোর।।
অন্ধকারের মায়াজালে আটকে গিয়ে
এখন শুধু শূন্যতায় বিচরণ
অবহেলার আদলে
না পাওয়ার আস্বাদন
তুমি ছাড়া মুহূর্তগুলো যেন নির্মম নিষ্ঠুর
তুমি ছাড়া বেচে থাকা যেন
রাত্রি প্রহর নির্ঘুম ।।
কথার সাথে কথা মিলেনা দিন চারেক
হঠাৎ করে দস্যিডাঙা উকি দেয় আবার
খানিক বাদে পালের হাওয়া মনটা জুড়ায়।।
আমার কথা কি পড়লো মনে???
একরাশ মন খারাপের খপ্পরে পরে
ফাল্গুন এর সাজটা আর সাজলোই না।।
অভিঘাতে পর পর দুঃস্বপ্ন সেই পরিচিত
চেহারাবন্দি ঘোর!!
আর কাটেনা
কেনই কাটবে!!!??
পরাণে যে পরাণ মিলে নাই
পরাণের কি দোষ???
অদ্ভুত বড় অদ্ভুত
দুই একটা ইচ্ছে
তাও পালায়
বহুদূর ।।
কাছের মানুষ
শুনতে কি পাও?
ফিসফিসানির গান,
নুপুর পায়ে
আলতো হাতে
ঠিক তোমাকেই
আহ্ববান ।।
পদচিহ্ন , আটকে গেছি আমি
হারিয়ে হারিয়েছি পথ
গভীর অরন্যে...
ক্লান্ত হয়ে খুজেছি
নিরব রাতে ভেবেছি
চাদের আলোয় দেখেছি
অধরা আভাস ।।
তিন মাত্রার কল্পনা
অন্ধকারের যন্ত্রনা
হন্যে হয়ে পাগলপ্রায় আমি
ভালবাসতে ভুলে গেছি।।
কি খুজি আমি??
সন্ধ্যার নক্ষত্ররা পাহারা দেয় আকাশ
কোন পথে হাটলে একটু ছোবে বাতাস??
কৌতুহলি বিমর্ষতা
ঘিরে রয় চারিপাশ ।।
এই ভয়ার্ত চোখে
আমি আর দুঃস্বপ্ন দেখতে চাই না।।
চাই না আমার অভিমানের পাল্লা টা আর ভারী করতে,
চাইনা নিঃস্ব-রিক্ত হতে বার বার।।
জমে বরফ হয়ে যাক
ভালোবাসার ওই মুহূর্তকাল
অনন্তশয়ন থাকুক আমার চোখে...
আমার নিদ্রারত ভাবনায় ভালোবাসার প্রহর হোক অমলিন।।
তোমার অবহেলাভরে সেই চাহনি
আর বিস্বাদ লাগা ক্ষন,
আমায় দিয়েছে অনাগ্রহের যন্ত্রণা
তাই তোমাতে আমায় হয়েছে বিভাজন।।
গল্পটা ফুরিয়ে গেছে
বাকিটা সাজাতে সাজাতে
ধান ক্ষেতের আল বেয়ে
একলা মধ্যাহ্নে দূরে কোথাউ পাখির বাসায় বাতাস দুলে যায়...
ওই গল্পটা আর পূর্ণতা পায় না।
শুধু ভাবতেই থাকি
ভাবতেই থাকি
কেন এমন হলো?
চারিদিকে গাড় ধোয়া
হঠাৎ করে আগুনের গন্ধ
মনে হচ্ছে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে সব কিছু, যাক না।।
নির্লাজ স্বপ্ন দিব্যি রইলো তোর
আসবি না এই দ্বারে
ঘুরিয়া ফিরিয়া কেন
কষ্ট দিস এই কাতর কলিজাটারে??
ভুলিয়া ভুলতে হইলে
মনে পড়িয়া যায় তোরে
এ কি অসম্ভব যন্ত্রণা
তুই বুঝবি কি করে!??
আর কত দূর যাবে?
অচিরেই পথ ফুরাবে
আমি ছাড়া ক্লান্ত পথে আমাকে একদিন মনে করবে।।
আমি হয়তো ব্যাস্ত দুপুরে
আড়াল থেকে একটু তাকিয়ে
আফসোসের নিঃশ্বাস ফেলে
চলে যাবো অনেক দূরে।।
স্বার্থপরতার ইশতেহারে আজ আমিও নাম লিখালে,
কষ্ট পেওনা এই ভেবে
তোমায় আমি ভুলে গেলে।।