ঈশত আলোতে আর ঝিঝি পোকার ডাকের মাঝে ও তজবীর আওয়াজ টা সমস্বরে হতে থাকত :টিঠ টিঠ, টিঠ টিট,টিঠ টিঠ,টিঠ টিঠ।
তখন ও বুঝতে পারতামনা আম্মা কেন ঘন্টার পর ঘন্টা ঐ মসল্লা'র (জায়নামাজ) উপর বসে থাকত, পরম করুণাময় আল্লাহ্ র বান্দেগী শেষে অসীম দয়াময়ের কাছে দুই হস্তের করজোড়ে মোনাজাত টা এক চতুর্থাংশ বুঝতে পারতাম।সেই মোনাজাতের নয় দশমাংশ ঈযে আমাদের নিয়ে থাকত তা অল্প অল্প বুঝতে পারতাম।
তখন ও পর্যন্ত ভাবতাম আমাদের আবার কি হবে শুধু শুধু কান্না কাটি, ভাল লাগতোনা,পুরো ঘর জুড়ে কেমন যেন একটা বিষাদময় প্রকৃতি, মাঝে মাঝে মনে হতো শত শতবর্ষ আগের কোন এক অর্বাচীন প্রাসাদে আমি,আম্মা,বড় আপা, আর ছোট আপা ওই প্লাস্টার উঠে যাওয়া ফ্যাকাসে বর্ণিল দেয়াল পানে তীর্থের কাকের মত বসে আছি এক ফোটা অমৃতের আশায়।
আমার কন্যা সন্তানের জন্মের পর আস্তে আস্তে বুঝতে পারি আম্মার তজবীর ঐ প্রতিটি টিঠ টিঠ, টিঠ টিঠ,টিঠ টিঠ, টিঠ টিঠ,আওয়াজে তার উপর আল্লাহ্ র প্রতি এক টায় চাওয়া ছিলো 'তার সন্তান সন্ততি যেন ভালো থাকে'।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬