ক
ওলাওঠা দেবীর আগমন প্রতি বৎসরই হয়।ভেদবমি আর কলেরাতে গ্রামের পর গ্রাম শুন্য করে তবেই সে ক্ষান্ত দেয়।
খ
এই সময়টাতে অন্যান্য শুভ-শুভ দেব দেবীর যেমন পূজা-অর্চনা বাড়ানো হয় তেমনি করে কিছু পশু-পাখির বলি দিতে হয়। এরপর বলি দেয়া পশু-পাখির রক্ত কপালে তিলক আকারে সবার মাথায় লেপন করে দিতে হয়।ওলাওটা দেবী আবার পশু-পাখির রক্ত পছন্দ করেনা।তাই যে ব্যাক্তির গায়ে রক্ত-তিলক থাকে তার ভেদবমি-কলেরার সম্ভাবনা কম থাকে।
গ
এই সময়টাতে আরো দুটি কাজ করা হয় এর প্রথমটি হচ্ছে একটি ছাগলের গলা অল্প কেটে দিয়ে দৌড়িয়ে গ্রাম কি গ্রাম ছাড়িয়ে জংগলের দিকে তড়ানোর ব্যাবস্থা করা হয়।যদি গলা কাটা ছাগলটি গ্রাম ছাড়িয়ে গিয়ে মারা পড়ে তাহলে ওলাওটা দেবীর প্রস্থান ঘটার সম্ভাবনা থাকে।আবার যদি জংগলে গিয়েও আবার গ্রামেই ফিরে এসে মৃত্যুবরন করে তাহলে ভেদবমি-কলেরার আরো প্রকট আকার ধারন করে।
ঘ
দ্বিতীয় টি হচ্ছে ওলাওঠা দেবীকে নৌকাতে করে খেঁয়া পাড় করে কোন চরে রেখে আসা।ওলাওঠা দেবী আবার পানি পছন্দ করেনা।শীতল দেবী যেরকম পানির উপর একাই চলাফেরা করতে পারে ওলাওঠা দেবী আবার কারো সাহায্য ছাড়া খেঁয়া পেরোতে পারেনা।তাই বলিস্ট সাহসী কোন মাঝি দ্বারা উনাকে খেঁয়া পার করে দিয়ে আসতে হয়।সুর্য ডোবার পর কোন ঘোমটা পড়া যুবতী যদি একাকী কোন খেঁয়া নৌকাই উঠতে চায় তাহলে ধরে নিতে হবে ঐটায় ওলাওঠা দেবী।
উপরোক্ত গল্পটি হুমায়ুন আহমেদের কোন এক উপন্যাস থেকে নেয়া।
ক --যদি ডেংগু রোগ হয় তাহলে সেটা কিন্তু প্রতি বছরই আসতেছে এবং সেটা গত-গত বছরের চাইতে আরো বিপুল সমারোহে আসে আর অনেক অনেক তাজা প্রান নিয়ে চলে যায়।
খ --কে যদি ব্যাখ্যা করি ডেংগু প্রতিকার হিসেবে তাহলে CYD-TDV, Dengvaxia দেয়া বা এই ধরনের ভ্যাক্সিন বা আরো যদি ভাল কিছু থেকে থাকে তার ব্যাবস্থা নেয়া।
গ --কে যদি ধরি উত্তর এর এডিস লাভা দক্ষিণে বা দক্ষিণে র টাই উত্তরে ঝামেলা পাকাচ্ছে এই টাইপের কিছু। তাহলে এডিস কেন জংগলে গিয়ে মরলনা? ঘুরেফিরে জংগল থেকে আবার উত্তর দক্ষিণে এসে কেন মরল তাহলে মনে হয় বেশ মানিয়ে যায়।
ঘ ---কে যদি এত এত এরোসল কোম্পানি বা কয়েল ব্যাবসায়ীদের মাঠে মরার ব্যাবস্থা তাহলে কি ভুল হয়?
কোন জায়গায় যেন পড়লাম আমাদের অথরিটি নাকি ফেসবুক/টুইটার বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া এবং সর্বোপরি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরের পর একটিভ হয় রেদার দ্যান প্রোএক্টিভ।
তাহলে কি ধরে নিতে পারি উপরোক্ত মিডিয়া আমাদের দেশের অথরিটিদের চাইতে ২ দিন এগিয়ে?
কেননা প্রতিটি ঘটনার ২-৩ দিন পর অন্তর অন্তর পাওয়ার অথরিটির এক্টিভিটি তো এটাই পরিস্কার করে।নাকি বাংলা সিনেমার শেষের দৃশ্যের মত।সব মাইর পিট শেষে-----"হ্যান্ডস আপ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেনা না"।
রাত ১১ টার সময় বাসায় ফেরার রোডে কোন এক ভি আই পির অভিযাত্রার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ১ ঘন্টা আগে থেকেই প্রোএক্টিভ হয়ে সব সাধারণ গাড়ি আটকিয়ে এতই ওভার এক্টিভিটি দেখায় তাহলে কোন একটা ঘটনা বড় হওয়ার পরেই এত বিশাল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী /এত বিশাল-বিশাল অথরিটি বাহিনী একটিভ হয় তাহলে সামান্য সংখ্যক ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোক কিভাবে জলদস্যুর সমঝোতা, ক্রিটিক্যাল ক্রিমিনাল, সাম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের এত এত প্রোএক্টিভ এক্টিভিটি দেখিয়ে দেয়?
নাকি আমাদের অথরিটি হচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল এর পাশে বসে থাকা ভিক্ষুকটির ওই গল্পের মত?
পায়ের বড় অংশের ক্ষতটাকে না শুকিয়ে যেভাবে আছে ঐভাবে রাখার মত!
ক্ষত শুকিয়ে গেলেতো ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিতে হবে ভাই!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫