somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপন বিজ্ঞাপন

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখার শুরুর টাইটেল দেখে ভাবতে পারেন আমি ভয়ংকর রকম বিজ্ঞাপন ভক্ত । আপনি যখন ঈদের অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপনের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ তখন আমি বিজ্ঞাপনের সাফাই গাইতে বসলাম। না, ঘাবড়াবেন না। আমিও বিজ্ঞাপন ভক্ত নই। কিন্তু ভাবুনতো একবার বিজ্ঞাপন বিহীন জীবন। আপনি কি নিশ্চিন্ত যে আপনি উপভোগ করবেন আপনার সেই জীবন। অনেক সময় বলা সহজ কিন্তু বাস্তবতা যখন সামনে আসে তখন এর তিতা স্বাদটা পাওয়া যায়। তবে এটা ঠিক বিজ্ঞাপন প্রচারের একটা সীমা থাকা উচিত। একই জিনিসের ঘন ঘন প্রচার আর কত সহ্য হয়। মাঝে মাঝে ভাবি যদি স্কিপ করার সুযোগ থাকত। আমার যেই বিজ্ঞাপন দরকার সেটাই দেখব বাকিগুলো বাদ দিয়ে যাব।

এত গেল টিভির কথা। প্রিন্টিং মিডিয়াতে ও একই কাহিনী। আজকাল সংবাদপত্রে প্রথম পাতার বিশাল অংশ জুড়ে থাকে বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন বিহীন পাতা খুঁজে পাওয়াই কষ্টকর ।এবার আসুন অনলাইনের জগতে। ফ্রী কিছু use করবেন তো বিজ্ঞাপনের অত্যাচার আপনাকে সহ্য করতেই হবে। ইমেল থেকে শুরু করে হালের ফেসবুক সবখানেই আছে বিজ্ঞাপনের সুদৃঢ় পদচারণা। তবে এই অত্যাচার অনেকাংশে সহনীয় টিভির তুলনায়।

মাঝে মাঝে ভাবি এই বিজ্ঞাপন কি আসলেই আমার কাজে দেয়? আর প্রভাবই বা কতটা আমার উপর। আসলে প্রভাবটা বোধয় ভিন্ন ভিন্ন জনে জনে। দেশের বাইরে থাকার কারণে, দেশের টিভির বা পত্রিকার বিজ্ঞাপন তেমন কোনো প্রভাব আমার উপর পরে না। শুধু মনে হয় অত্যাচার অনুষ্ঠানের মাঝে। হয়ত দেশে থাকলে অনুভতি অন্যরকম হত। কিছু কিছু বিজ্ঞাপন হয়ত দাগ কাটত । তবে যাই হোক অনলাইন বিজ্ঞাপনের একটা প্রভাব আমার মাঝে আছে। বিশেষ করে ফেসবুকে।

এই তো সেদিন গুগলে গিফট পাঠানোর ওয়েব সাইট খুজছিলাম। আমার সার্চ এর কারণেই হোক বা আমার মনের কথা জেনেই হোক ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন কিছু ভালো ভালো সাজেশন দিচ্ছিল। তখন প্রথম আমার উপলব্ধি হলো বিজ্ঞাপন যে সব সময় খারাপ না। মাঝে মাঝে কাজেরও । কখনো কখনো ভালো ভালো অফারের বিজ্ঞাপন চোখ পরে যায়। ফেসবুকে বাম পাশের লেয়ারে বিজ্ঞাপন ছাড়া আরেকটা উপায় হলো প্রডাক্টের পেইজ তৈরী করার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া। যদি মনে হয় এই কোম্পানির পণ্য কিনে হব ধন্য তখন জাস্ট লাইক মেরে দেই। নতুন প্রডাক্ট আসলেই আমার হোম পেইজে চলে আসে। সেদিন এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। সেও ঈদে শার্ট কিনেছে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন থেকে।

আমাদের দেশে ধীরে ধীরে এই ফেসবুক বিজ্ঞাপনটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনেকগুলো কোম্পানি এই বিজ্ঞাপন জগতে পা রেখেছে তাদের পন্যের প্রচারণার জন্য। বাংলাদেশে বিশাল একটা ফেসবুক জনগোষ্ঠী আছে, যারা টিভি বা পত্রিকা না পরুক ফেসবুকে ঢু মারবেই। আমার মতে আরো অনেক কোম্পানির উচিত এই মার্কেটে পা ফেলা।

এত গেল একটা দিক। আরেকটা দিক হলো অনেক সৃষ্টিশীল তরুণও এই বিজ্ঞাপন বানানোর জগতে কেরিয়ার শুরু করতে পারে। যেহেতু জগতটা নতুন তাই সুযোগও অনেক। সেদিন আমার এক বন্ধুর টিভি ইন্টারভিউ দেখছিলাম ফেসবুক এড এর উপর।। লিঙ্ক টা এখানে শেয়ার করলাম।


খুবই ইন্টারেস্টিং কিছু তথ্য জানলাম। হয়ত যদি কেউ বেশি কিছু জানতে চান তবে তার সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। হতে পারেন আপনি কোনো কোম্পানির কর্ণধার বা স্বপ্নদেখা তরুণ। আপনি হয়ত এলিয়েন আউটসোর্সিং এই লিঙ্কটাতে গিয়ে দেখতে পারেন । আমার বন্ধুর যোগাযোগের ঠিকানা পেয়ে যাবেন |

নতুন আরেকটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমের কথা কানে আসছে তা হলো মোবাইল ফোন এ মেসেজ বিজ্ঞাপন| দেশে যদিও এখনো শুরু হয়নি | হয়ত অচিরেই বিভিন্ন কোম্পানির মেসেজ বর্ষণ শুরু হবে| । আমার ভয় এ যেন আবার বিরক্তের কারণ না হয়ে দাড়ায়|বিজ্ঞাপন অবশ্যই দরকার কিন্তু তা যাতে বিরক্তের কারন হয়ে না দাড়ায়। চাই আপন বিজ্ঞাপন।



সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১১
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×