অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী লেখালেখিতে ছিলেন। তাঁর বেশ কিছু প্রকাশনা ও রয়েছে কিন্তু কোনো ব্লগে লিখেননি সুতরাং তাঁর নামের সাথে ব্লগার ট্যাগটি জুড়ে দেয়া যাচ্ছেনা। আবার ইদানীং মুক্তচিন্তার সাথে অশোভন অসভ্যতা বিকৃত রুচি ফ্যাশন ইত্যাদি নেতিবাচক বিশেষণ যুক্ত করে দিয়ে যে এর একটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভুল ইমেজ দেয়া হচ্ছে রেজাউল করিম সিদ্দিকী তাতেও পড়েননা। তিনি মুক্তমনা মুক্তবুদ্ধির লোক হয়তো ছিলেন কিন্তু তিনি তাঁর মুক্তচিন্তাকে ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক পর্যায় পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাননি। শুধু তাই নয় তিনি নামায রোযাও করতেন। মসজিদ মাদ্রাসায় সাধ্যমত দান খয়রাতও করেছেন এরপরও তাঁকে মরতে হয়েছে।নাস্তিক মুর্তাদরা বাংলাদেশে যেভাবে মরে ঠিক সেভাবেই। তাঁর প্রাণ নেয়ার জন্য আজরাঈলকে কষ্ট করে আকাশ থেকে ভূমিতে নেমে আসতে হয়নি যমদূতের হয়ে তার বাংলাদেশী প্রতিনিধিরাই অধ্যাপকের প্রাণটি সংহার করে নিয়েছে। কিন্তু কেন ? সহজ সরল এই অধ্যাপক মানুষটির অপরাধ কী ? তিনিতো অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ রাজীব হায়দার শোভন অভিজিৎ রায় ওয়াশিকুর রহমান বাবু অনন্ত বিজয় দাশ নীলাদ্রী নীল বা নাজিমুদ্দিন সামাদের মতো ধর্মের শব ব্যবচ্ছেদের মতো গর্হিত(?) কোনো কাজে অংশ গ্রহণ করেননি? তাহলে কেন তাকেও সেই মুক্তমনা লেখকদের কায়দায় হত্যা করা হলো ? এর জবাব মিলেছে সাম্প্রতিক একটি খবরে। যে জঙ্গীগ্রুপটি সবগুলি হত্যাকান্ডের পর পরই দায় স্বীকার করে বার্তা দেয় তারাই খোলাসা করেছে শুধু নাস্তিক ব্লগার হওয়ার কারণে নয় যারা আল্লাহ আর তার নবীকে অবমাননা করবে বা যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদেরকে সাহায্য করবে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের অন্তরায় হবে অনৈসলামিক ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত থাকবে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দান করবে এই ধরণের আটটি ক্রাইটেরিয়ার উল্লেখ করে বলা হয়েছে এদের প্রত্যেকেই তাদের পরবর্তি টার্গেট। এই বার্তা উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে রাখা সুশীল বা ‘রেশনেও আছি রমণেও আছি (কবি নৃপেন্দ্র লাল দাশের একটি কবিতার বইয়ের নাম)টাইপের মুসলমানদের জন্যও একটি খারাপ সিগন্যাল।এখন প্রশ্ন হতে পারে অধ্যাপক রেজাউল করিম কোন ক্রাইটেরিয়াতে পড়েন। এ ক’দিনের পত্র পত্রিকা পড়ে অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী সম্বন্ধে যতটুকু জানতে পেরেছি তা থেকে অনুমান করতে পারি অনৈস্লামিক কাজে অংশ গ্রহণের কারণেই তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তাঁর এক নম্বর অপরাধ তিনি ইসলামে নিষিদ্ধ গান বাজনায় নিমগ্ন ছিলেন।তিনি নিজে সেতার বাজাতেন শুধু তাইনা তিনি তাঁর গ্রামে একটি গানের স্কুলও চালু করেছিলেন। প্রথম আলো একটি রিপোর্ট ছেপেছে যার শিরোনাম “তাঁর গানের স্কুলকে তারা মেনে নিতে পারেনি।এ রিপোর্ট থেকে জানা যায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাদ্রাসার শিক্ষক সহ অনেকের তরফ থেকেই তাঁকে গানের স্কুল বন্ধ করে দেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে।এর কারণ সঙ্গীতচর্চা ইসলামের মৌলধারার পরিপন্থী। তাহলে দেখে নেয়া যাক গান বাজনা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে। এখানে “আল জান্নাত’ নামক ইসলামী পত্রিকার অনলাইন ভার্সন থেকে মাওঃ আব্দুস সাত্তারের ‘গান ও বাদ্যযন্ত্র ; ইসলাম কী বলে’ শীর্ষক নির্বাচিত বিশেষ প্রবন্ধ থেকে কিছু অংশ তোলে ধরা হলো। “হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, হুজুর সা. ইরশাদ করেন, গান মানুষের অন্তুরে মুনাফেকির জন্ম দেয় যেমন পানি শস্য উৎপাদন করে। [বায়হাকী, মিশকাত : ৪১১] ‘সাহাবি ও তাবেয়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী বহু গুনাহর সমষ্টি হল গান ও বাদ্যযন্ত্র। যথা : ক. নিফাক এর উৎস, খ. ব্যভিচারের প্রেরণা জাগ্রতকারী, গ. মস্তিষ্কের উপর আবরণ, ঘ. কুরআনের প্রতি অনিহা সৃষ্টিকারী, ঙ. আখিরাতের চিন্তা নির্মূলকারী, চ. গুনাহের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টিকারী ও ছ. জিহাদী চেতনা বিনষ্টকারী। [ইগাছাতুল লাহফান ১/১৮৭] “হযরত আবু হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. ইরশাদ করেন- শেষ যামানায় এই উম্মতের কিছু সংখ্যক লোকদের ‘মাছখ’ (আকৃতি পরিবর্তন) করে বানর ও শুকরের আকৃতি করে দেয়া হবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ওরা কি একথার সাক্ষি দিবেনা যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মোহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল? রাসূল সা. উত্তরে বলেন, কেন নয়? বরং ওরা তো রোযা ও রাখবে, নামাজ ও পড়বে এবং হজ্জ ও করবে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করেন, এতদসত্বেও ওদের অবস্থা এমন কেন হবে
রাসুল সা. বলেন: ওরা বাদ্যযন্ত্র-তবলা এবং নাচ-গান করবে, শুধু তাই নয় বরং ওরা গায়ীকা নারীদের পর্যন্ত আপন করে নিবে। অতঃপর মদ্যপান করবে, মাতাল অবস্থায় রাত্রিযাপন করবে, আর এমন অবস্থায় যখন ভোর হবে, তখন তাদের চেহারা বিকৃত করে বানর এবং শুকরের আকৃতি বানিয়ে দেয়া হবে। [আউনুল মা’বুদ শারহে আবিদাউদ, রেশম অধ্যায়] “হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল সা. এরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহু রাববুল আলামীন হারাম করে দিয়েছেন আমার উম্মতের উপর মদপান করা, জুয়া খেলা, বাশিঁ বাজানো, তবলা ও বাদ্যযন্ত্র। আমার জন্য বৃদ্ধি করে দিয়েছেন বিতিরের নামাজ। [মুসনদে আহমদ ২/১৬৫] ‘হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল সা. এরশাদ করেন- আমি প্রেরিত হয়েছি বাদ্যযন্ত্রকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য। অতঃপর রাসুল সা. বলেন, গায়ক গায়িকার জীবিকা (গানের মাধ্যমে) হারাম এবং ব্যাভিচারের জীবিকা হারাম। যে শরীর হারাম দ্বারা গঠিত তাকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। [কানজুল উম্মাল ১৫তম খন্ড পৃষ্ঠা ২২৬] “
ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদ, ইমাম শাফী, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমদ রহ. প্রমুখ ইমামগণ মত দিয়েছেন যে, কেউ যদি কারো বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলে তাহলে সে দায়ী হবে না (যেহেতু গান বাজনা নিষেধ) এবং কারো জন্য বাদ্যযন্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েজ নয় । [উমদাতুল কারী]
৭৭ জন বিজ্ঞ আলেম গান হারাম হওয়া সম্বন্ধে একমত হয়েছেন । [ফতোয়ায়ে আজিজিয়া]
গান সমস্ত মানুষকে কবিরা গোনায় লিপ্ত করে [বাহরোর রায়েক ]
যাবতীয় প্রকার গান-বাজনা হারাম এমনকি কাঠের ওপর আংগুল দিয়ে আঘাত করে গান গাওয়াও হারাম। [হেদায়া] গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান-বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন” অবশ্য গানের স্বপক্ষেও অনেক দৃষ্টান্ত হাজির করা হয়। হাজার হাজার মানুষ সঙ্গীত শিল্পের সাথে জড়িত আর এতে অনুরক্তের সংখ্যাতো নির্ণয়াতীত।গান ভাল পায়না সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা অতি নগন্য।সুতরাং এই বিপুল মানুষের ভালো লাগাকে বৈধতা দিতে স্বপক্ষে যুক্তি খাঁড়া করতেই হয় নাহয় এক পথ ধরতে হবে।হয় সংগীত নিয়ে থাকতে হবে নাহয় ধর্ম ছাড়তে হবে।কিন্তু যারা অধ্যাপক রেজাউল করিমের হত্যাকারী তারা কোন যুক্তির ধার ধারেনা।তাদেরকে উদ্দিপ্ত করতে মাও আব্দুস সাত্তারের লেখায় উধৃত উপরুল্লেখিত হাদিস আর ধর্ম বেত্তাদের সিদ্ধান্তগুলিই যথেষ্ট।অবশ্য গানের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন শিল্পী গীতিকার বা সুরকার এ পর্যন্ত এদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।মাঝে মাঝে দরীদ্র বাউল শিল্পীদেরকে হেনস্থা করার খবর শুনা যায় তাদের গানের অনুষ্টানে হামলা করা হয় তাদেরকে মারধর করা হয় তাদের লম্বা চুল কেটে দেয়া হয়।ঘাতকদের হাত মূলের দিকে।যাদের অনুপ্রেরণায় এসব অনৈসলামিক কর্মকান্ড বিস্তৃত হচ্ছে তাদেরকেই এরা এখন টার্গেট করছে।সঙ্গীতানুরাগী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমই প্রথম নিহত ব্যক্তি নন এর আগে এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিউল ইসলাম একই ভাবে নিহত হন তিনিও সংগীতের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি লালন গবেষক ছিলেন এবং ব্যক্তিগত ভাবেও লালন দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন।এই উগ্র ধর্মান্ধদের কাছে অধ্যাপক রেজাউল করিমের আরেকটি কাজকেও গর্হিত মনে হতে পারে তা হলো আপন সংস্কৃতির প্রতি তাঁর প্রগাঢ় অনুরাগ। ইংরেজীর শিক্ষক হলেও তিনি চাইতেন তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা ইংরেজী শিক্ষার সাথে সাথে যেন নিজেদের সংস্কৃতিটাকেও ধরে রাখে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্টান উদযাপনের রিহার্সেলের জন্য তাঁর অফিস কক্ষকেই তিনি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন।‘কোমল গান্ধার’ নামের একটি কাগজ বের করতেন যার লেখক ছিল তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা।এককথায় হাতে কলমে তিনি শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি চর্চায় ঋদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।এটা ধর্মান্ধদের কাছে ভালো লাগার কথা নয় কারণ এইসব উগ্র বাদীরা জানে মানুষের মগজ ধোলাইয়ের কাজে প্রধান অন্তরায় হলো সমাজের ভেতর প্রবাহমান হাজার হাজার বছর ধরে চলা কৃষ্টিও সংস্কৃতি।সংস্কৃতিবিহীন একজন মানুষকে যত সহজে যে কোন উগ্র মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করা যায় একজন সংস্কৃতিবান মানুষকে ততটা সহজে বিচ্যুৎ করা যায়না। সংস্কৃতিবিহীন একজন মানুষ কখনো পুর্নাঙ্গ মানুষ হতে পারেনা।অসংস্কৃতিক একজন মানুষ আর একটি আরণ্যক প্রাণীর ব্যবধানটি শুধু দেহগত এমনকি সংস্কৃতি বিবর্জিত একজন মানুষ মানুষ-খেকো বাঘ থেকেও ভয়ংকর হিংস্র ও রক্তলুলোপ হয়ে উঠতে পারে।এর হাজার হাজার প্রমান আমরা দেখতে পাই ইরাক এবং সিরিয়ায়।সেখানে আমরা দেখেছি মানুষকে পিঞ্জরে ঢুকিয়ে তাতে আগুণ ধরিয়ে দিয়ে গাড়ি করে সেই বিভৎসতাকে রাস্তায় রাস্তায় প্রদর্শন করতে রেডিওতে গান শুনার অপরাধে দশ এগারো বছরের ফুটফুটে শিশুকে ব্রাশফায়ার করে ঝাঁঝরা করে দিতে যৌনদাসী হতে সম্মত না হওয়াতে শয়ে শয়ে অসহায় নারীকে শিরচ্ছেদে হত্যা করতে। শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে শত শত হতভাগ্যের মুন্ডুকে ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে।এদের এই বিভৎসতার বর্ণনা দেয়ার মতো যথেষ্ট শব্দ সম্ভবতঃ পৃথিবীর কোনো ভাষার শব্দ সম্ভারেই মওজুত নেই।এই বর্বর মানুষগুলির কোনো সংস্কৃতি নেই আর সংস্কৃতি নেই বলে এদের মগজ নেই বিবেক নেই মানবিক বোধ নেই।যে বস্তুটির পরিমানগত হেরফেরের কারণে পশু থেকে মানুষ তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্টে বিকাশলাভ করেছে সেই মগজ বস্তুটির বিরুদ্ধেই এদের যত রাগ আর ক্ষোভ।কারণ এই মগজ থাকলেই মানুষ চিন্তা করবে চিন্তা করলে মনে প্রশ্নের জন্ম নেবে আর প্রশ্ন থেকেই অজানার দুয়ারে করাঘাত করবে সত্যকে জেনে যাবে। কিন্তু এই ধর্মব্যবসায়ীরাতো প্রশ্ন চায়না যুক্তিতে বিশ্বাস করেনা।এরা চায় নিঃশর্ত বিশ্বাস।এদের লোক ঠকানো দর্শন হলো ‘বিশ্বাসে মিলে বস্তু তর্কে বহুদুর।এই ভুয়ো দর্শণে মানুষকে যুক্তি তর্ক থেকে বিরত রাখার প্রয়াস থাকলেও যুক্তিতে যে এদের সীমাহীন ভয় তাও মূর্ত হয়ে ফুটে উঠেছে ।আর এই ভয় থেকেই এরা হত্যার মতো চরম পথটিই বেছে নেয়।আমাদের দেশের যে সকল তরুণ এই মতবাদে আসক্ত হয়েছে তারা আমাদেরই ভাই বা সন্তান কিন্তু এখন এরা আমাদের কেউ না।এরা এখন এক অলীক অদৃশ্য শক্তির চুম্বকার্ষণে বোধ শক্তি বিহীন।এদের চোখে এক অতিলৌকিক জগতের হাতছানী তাই এই বস্তু জগত তাদের কাছে ভ্রম এবং কল্পনা।এই জগতের যা কিছু ভালো সুন্দর এবং কল্যাণকর তাই এদের কাছে নরকের নিদর্শন। সংস্কৃতির প্রতিটি ভাঁজে এরা বেশ্যার নগ্ন শরীর দেখতে পায়। এদের অকার্যকর মগজের ভেতর এই উন্মাদনা জাগাতে নিয়োজিত রয়েছে দেশের হাজার হাজার মসজিদ মাদ্রাসা ইসলামী কিন্ডারগার্টেন ও কোচিং সেন্টার।মসজিদের খুৎবায় মাদ্রাসার পাঠে তবলীগের দাওয়াতে মৌসুমী ওয়াজ মাহফিল থেকে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে উগ্র ইসলামিজমের উত্তেজক ইয়াবা।প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢালাও অভিযোগ, উন্নত বিশ্বের সাথে নিজেদের হাস্যকর তূলনা ইত্যাদি এইসব জঙ্গী প্রজনন বন্ধ নয় বরং তাতে উম দেয়ার কাজ করছে বলেই মনে হয়।অধ্যাপক আবুল বারাকাত এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন “কিছু দিনের মাঝেই বাংলাদেশের গ্রামগুলি জঙ্গীদের দখলে চলে যাবে।আবুল বারাকাত কোনো বায়বীয় রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জঙ্গী অর্থায়নের উপর গবেষণা করছেন যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত নিয়েই তিনি এ ম্ত দিয়েছেন ।বাস্তবেও কিন্তু তাই হতে চলেছে। যদি ১৯৬৫-৬৬ সালের ইন্দোনেশিয়ার মতো বাংলাদেশে সে রকম ভয়াবহ এক অন্ধকার নেমে আসে তবে তাতে ইন্ধন দেয়ার জন্য বিএনপিকে যেমন কলংকের দায়ভার নিতে হবে তেমনি একে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগকেও সমান দায়ভার বহন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪