somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোদি নয় হিন্দুদের কাছেই আহবানটি জানান

১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের হিন্দুদের সাহায্যের জন্য মোদীর সাহায্য কামনার ইস্যুটি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যদিও রানা দাশ গুপ্ত বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।তিনি যদি সাহায্য কামনা করেও থাকেন তবু তার মাঝেও আমি ইতিবাচক একটা দিকও দেখি।আর এই ইতিবাচক দিকটি হলো তিনি কোনো অবস্থাতেই দেশ ছাড়তে আগ্রহী নন এমনকি ভারত আশ্রয় ও নাগরিকত্বের আশ্বাস প্রদানের পরও।এতে আমি তার মাটির প্রতি গভীর আকর্ষনই দেখতে পাই। নিজ মাটির অধিকার প্রতিষ্টার জন্য যদি যুদ্ধ করা যায় তবে অন্য দেশের সাহায্য চাওয়াতে দোষের কি আছে ?এতে সাধারণ নাগরিকের ক্ষীপ্ত হওয়ার কারণ নেই।ক্ষিপ্ত হতে পারে সরকার কেননা এতে সরকারের উপরই হিন্দু নাগরিকদের চরম অনাস্থা প্রকাশ পাচ্ছে।আবার এটা দেশের সকল হিন্দুর সম্মিলিত সিদ্ধান্তও নয় নিতান্তই ব্যক্তিগত আবেগ প্রসূত বক্তব্য বলেই মনে হয়।এটা ঠিক বর্তমান সরকারের কাছে তাদের যে রকম প্রত্যাশা ছিল তা তারা পাননি এমনকি হিন্দুদের সম্পদলোভী স্থানীয় অনেক আওয়ামীলীগ নেতার কারণেও অনেক হিন্দু দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন।রাণা দাশ গুপ্তরা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে সেই দুর্বত্ত নেতা ও ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে তথ্যাদি দিলেও সরকার তার প্রতিকার করছেনা।এরপর ঐক্য পরিষদ কার কাছে যাবে ?রাণা দাশগুপ্ত যদি আমার লেখাটি পড়তেন আমি তাকে বলতাম আহবানটি মোদির কাছে না জানিয়ে হিন্দুদের কাছে করুন।দেশে এখনও কোটির কাছাকাছি হিন্দু রয়ে গেছেন।কোটি সংখ্যাটি ছোট নয়। এই এক কোটি হিন্দুর কাছে রুখে দাঁড়াবার আহবান জানান। হিন্দুদের মনোবলে যে চিড় ধরেছে আগে তা সারানো প্রয়োজন। দেশটা আপনাদের।ভারত যতই আশ্রয় আর নাগরিকত্বের আশ্বাস দিকনা কেন নিজ দেশের মতো সম্মাণ আর মর্যাদা ভিন্ন দেশে পাবেননা।একাত্তরে যে মাটির জন্য আপনারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন সে মাটিকে কেন কিছু দুবৃত্ত দুষ্কৃতিকারীর হাতে তোলে দিয়ে যাবেন ? আপনারা শক্ত হয়ে দাঁড়ান প্রয়োজনে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুন।দেখবেন দেশের বেশীরভাগ মুসলমান আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে গেছে।মুসলমানদের সবাই পরসম্পদলোভী ও দুষ্কৃতিকারী নয়।দেখবেন সরকারও তখন তার সকল শক্তি নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। একাত্তরে হিন্দু মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী দুর্ধর্ষ বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসের সাথে যুদ্ধ করেনি ? সিলেট ময়মনসিংহ অঞ্চলে দাসবাহিনীর বিভিন্ন বীরোচিত অপারেশন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।শহীদ জগজ্জোতি দাসের মতো বীর হিন্দুরই সন্তান।সি আর দত্ত এগারো সেক্টর কমান্ডারের একজন।এটা ঠিক এতে অনেক রক্ত ঝরতে পারে।রক্তে ভয় পেলে মাটির অধিকার প্রতিষ্টা হবে কী করে ?কেউ না কেউকে আত্নত্যাগ করতেই হবে।বরকত সালামদের আত্নত্যাগের বদলে আমরা ভাষার অধিকার পেয়েছিলাম।একাত্তরের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্নদানে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।হয়ে যাক না আরেকটা যুদ্ধ।এযুদ্ধ অন্যায় পররাজ্য দখলের যুদ্ধ নয়।এ যুদ্ধ নিজের মাটির অধিকার রক্ষার যুদ্ধ।ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই।আমাদের প্রতিবেশী একটি গ্রাম আছে মুসলমানপ্রধান। সামান্য কিছু হিন্দু আছে এর মাঝে একটি পরিবার দুর্ধর্ষ প্রকৃতির।মার দাঙ্গায় এরা উন্নত শির।যখন তখন রামদা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।একেবারে নির্ভয় নির্ভীক।গ্রামের বারো আনা জনসংখ্যা মুসলমান হলেও সবাই এই পরিবারটির ভয়ে তটস্থ থাকে।এতবড় একটি গ্রামে এরা সসম্মানে আছে।কেউ এদেরকে ঘাটাতে সাহস করেনা উল্টো নমঃ নমঃ করে।কেন ? এরা সাহসী।সক্ষমরাই টিকে থাকে অক্ষমরা হারিয়ে যায় এটা সৃষ্টির ধারা।ধনূ দেখেই যদি উড়াল দিতে চান তবে চামচিকাও লাত্থি মারবে।সাহস করে দাঁড়িয়ে যান দেখবেন সম্মুখ ফাঁকা।কোথাও কেউ নেই।যতবড় ভূমি খেকো রাক্ষসই হোক তার ভেতরটা নড়বড়ে।আপনি দুর্বল বলেই সে সবল।তাকে সবল করাতে তার কোনো কৃতিত্ব নেই বরং আপনার ব্যর্থতা তার সফলতার সিঁড়ি।আর জঙ্গী ?এরা ভীরু কাপুরুষ।এরা হয়তো দু চারটে লাশ ফেলবে চোরের মতো লোকিয়ে লোকিয়ে।এদের ক্ষমতার দৌড় এতটুকুই।এতে ঘাবড়ে গেলেতো সর্বনাশ।এই যে পুলিশের বিতরন করা লাটি আর বাঁশী নিয়ে মানুষ শপথ নিচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা উঠে আসছে।আমি এর সমালোচনা নয় বরং ঐ আওয়াজটাকে অন্তর দিয়ে কামনা করছি।এ আওয়াজ যেন যান্ত্রিক নাহয়।এযেন হয় প্রাণের আওয়াজ।প্রতিরক্ষার দিপ্ত শপথের আওয়াজ।

যে সাহসী পরিবারটির কথা আগে বলেছি একদিন দেখা গেল কোনো কারণ ছাড়াই এরা একজন একজন করে চলে যাচ্ছে।এর নাম ধ্বস।হিন্দুদের মাঝ থেকে আগে এই ধ্বসকে ঠেকানো প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×