somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি - ১

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জুম শটে এক রাশ ধূলা জমে উঠবে ফ্রেমে।
পরের ফ্রেমেই চলে আসবে – রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের এর ঝাড়ুদার।
জুম আউট করে খালি রাস্তা – আইল্যান্ড ছুয়ে ক্যামেরা ডান দিকে প্যান করে একটি বাড়ির গেটের সামনে এসে স্থির হবে।
গেটের বাম পাশে শ্বেত পাথরে লেখা – বাড়ী নং ২৬৯ / রোড নং ৪।
তারপর ধীরে শর্ট অ্যাঙ্গেলে পিছনের সাদা দেয়ালে বেয়ে দোতলার জানালা।
জানালার পর্দা হাওয়ায় উড়ে গেলে দেখা যাবে ভেতরে বিছানায় শুয়ে আছে কেউ। বেড সাইড টেবিলে রাখা একটে ল্যান্ড টেলিফোন। পাশে দুটি মোবাইল। এর মধ্যে একটি নকিয়া-৭০। ক্লোজ শটে ফ্রেমে এখন শুধু ঐ মোবাইলটি।
দু’সেকেন্ড গত হতেই মোবাইলটি বেজে উঠবে।
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ বাজার পরে ঘুমন্ত মানুষটি হাত বাড়িয়ে মোবাইলটি ধরে জড়ানো কন্ঠে বলবে – হ্যালো।
( ফ্রেম দুভাগ হয়ে বাম পাশে ভেসে উঠবে কলারের মুখ জ্যাকি। আর ডানে সদ্য জেগে ওঠা শুভ।)
- কিরে এখনও ঘুমাচ্ছিস নাকি ?

- হুম্মম। ক্যানো, এই সাড়ে সাত সকালে কোথায় আবার যুদ্ধ বাধলো রে?

- - না রে ব্যাটা। যুদ্ধ বাধবে ক্যান; ছুটির দিনে ভাবছিলাম কাছে ধারে কোথাও ফ্যামিলি নিয়ে একটা ট্রিপ মারার কথা। A family Day Out আর কি ।

- রোজার দিনে বাইরে যাব ! খাওয়া দাওয়া না হলে আউটিং জমে নাকি ?

- You have a point – তবে খাওয়া দাওয়ার বাড়তি ঝামেলা নাই ; আজ শনিবারে রাস্তায় জ্যামও কম থাকবে - তাই প্রায় বিনা প্রস্তুতিতেই একটা আউটিং এর একটা আটেম্পট নেয়া যেতে পারে।

- যাচ্ছি কোথায়?

- রাজেন্দ্রপুর।

- আর কার কার ঘুম ভাঙ্গিয়েছিস?

- আর এক জনের – মুন্না। ওর কে যেন পরিচিত আছে ঐ এলাকায়। তাই ইফতারের ব্যবস্থার দায়িত্ব ঐ ওস্তাদের।

- বেশ তো। তিন ফ্যামিলি। গাড়ি তোরটা আরা আমারটা।

- হুম্মম। গাড়ির চাকা ঘুরে যাবে ঠিক ন’টায়।

জ্যাকি’র অর্ধ ফ্রেম মিলিয়ে যেয়ে সিঙ্গেল ফ্রেমে শুভ থাকবে।

কাট – কাট করে তিনটি ফ্যামিলির ফ্রেম আসবে।

সুপার ইম্পোজ করে ফুটে উঠবে একটি দেয়াল ঘড়ি। - ন’টা বাজে।

ট্রাঞ্জিশন হয়ে ফ্রেমে আসবে চলমান গাড়ির চাকা।

এরিয়াল শটে ফ্রেমে আসবে এয়ারপোর্ট রোডে ছুটে চলা দুটি গাড়ি।
অডিওতে তখন বাজছে –
রুপম এর একটি মিষ্টি গান – ‘কতদূর আর যাওয়ার আছে - কত পথ রয়েছে বাকি ‘

প্রথমটি সাদা ফিল্ডার ২০০৪। শুভ চালাচ্ছে। মুন্না’রাও এ গাড়িতে।

পরেরটি স্প্রিন্টার ভিন্টেজ ১৯৯৮। জ্যাকি আছে ড্রাইভিং সীটে।

ক্যামেরা ডানে মোচড় মেরে আকাশের দিকে ঘোরাতেই দেখা যাবে একটি এমিরেটস এয়ার ক্র্যাফট্‌ সদ্য টেক অফ করে তির্যক হয়ে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে।

প্লেন মিলিয়ে যেতেই ক্যামেরা নীচু হয়ে ফ্রেম ফিরে আসবে রাস্তায়।

(এরিয়াল শটে) বেশ কটি চলমান গাড়ির ছাদ ছুয়ে ছুয়ে ফ্রেম দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকবে – রাস্তা – বাজার – মাঠ ক্ষেত – বাড়ি ঘর – রেল গেট – ট্রেন – রাস্তা – গাছপালা।
তারপর ক্যামেরা গাড়ির ভিতরে এসে একে একে সবাই কে দেখাবে। তারপর ব্যাক ভিউ মিররে ছুটে চলা...পথ ঘাট। চলমান রাস্তায় একটি মাইল ফলকে ফ্রেম স্থির হবে। রাজেন্দ্রপুর ০ কিমি।

তারপর ফ্রেম ডিসল্ভ হয়ে সুপার ইম্পোজ হবে রিজোর্টের প্রবেশ দ্বার।

এরপর একটি এস্টাব্লিশিং শট।
লং শটে ফ্রেমে দেখানো হবে পুরো রিজোর্টটি কে। প্রথমে এক্সটেরিয়র – পরে ইন্টেরিয়র।

গাড়ি গুলো পার্কিং এ। তিনটি ফ্যামিলির সদস্যরা যে যার মত প্রকৃতির সাথে একাত্ম হতে ব্যস্ত।
ফ্রেমে আসবে তিনটি পরিবারে সদস্যদের আনন্দঘন মূহূর্ত। শহরের ব্যস্ততা আর কোলাহল ছেড়ে – জীবিকার খাঁচার সীমানা পেরিয়ে – এক দন্ড অকৃত্রিম বিনোদন – একান্ত অবসর।
ব্যাক গ্রাউন্ডে এখন শোনা যাবে Boney M এর -

Hooray! Hooray! It's A Holi-Holiday
what a world of fun for everyone, holi-holiday
Hooray! Hooray! It's A Holi-Holiday
sing a summer song, skip along, holi-holiday
it's a holi-holiday


চলবে...

ছবিসূত্রঃ Click This Link
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×