এক.
কোন কিছুতেই আর থিতু হওয়া হইবো না হয়তো। ঘরে ঢুকলেই মনে হয় আর কোথাও গিয়া রাতটা কাটাইয়া আসা যাইতো...আবার বাইরে অন্ধকারে হাটতে হাটতে মনে হয়, বাড়ি ফিরা যাওনের কথা। অন্ততঃ বিছানাটারেতো আপন বইলা জানি। ঐখানে কাওরে তোয়াক্কা কইরা চলতে হয় না। বাসায় ঢুইকা নিজের ঘরের দরজা আটকাইলেই মনে হয় এই স্থানটা একান্ত আমার। কেউ আইসা উকি দেওনের নাই। খবরদারীর জন্য আগ বাড়াইয়া কেউ দাঁড়ায় না এই ঘরের দরোজায়। রিপিটেডলি একই গান চলতে পারে এই ঘরে। বিরক্ত হইয়া কারো থামাইয়া দেওনের সম্ভাবনা নাই। আমার সমস্ত আইলসামী নিয়া কেবল এই ঘরেই আমি অনায়াশে কাটাইতে পারি। এই ঘরে উদ্যোগীরা নিষিদ্ধ। এই ঘরে উচ্চাশাদের মানা...
দুই.
আমার ঘর গুছাইতে আমার মা'ও ভয় পায়। অথচ ছোটবেলায় এই মায়ের ডরে কতো অযুহাতই না বানাইতাম। নিষেধ থাকা সব কাজেই যেহেতু ছিলাম সমান ভাবে তাই অযুহাতগুলিরে সৃজনশীল এবং বাস্তবানুগ করতে হইতো। আর এখন আমার ঘরের ধুলা ছাড়া আর কোন কিছুই অবস্থান পরিবর্তন করে না। যে যেইখানে যেমনে জীবন শুরু করছে ঐখানেই তারে থাকতে হয়, যাতে হাত বাড়াইলেই তারে পাওয়া যায় অভ্যাসমতোন। আমি এখন প্রিয় জিনিষ-প্রিয়জন হারাইয়া ফেলনের আশঙ্কারে লালন করি প্রতিনিয়তঃ।
তিন.
নিজের ঘরে, নিজের মধ্যে থাকতে থাকতে উপলব্ধি তৈরী হয়, যতো কমসংখ্যক মানুষের মুখ দেখি দিনে ততো ভালো, মানুষের মুখ-প্রশ্ন আর অনুসন্ধিৎসা বিব্রতকর হয়। ফেইসবুক-ব্লগের প্রচ্ছায়ায় থাকা মানুষগুলিরে দেখার রিস্কেও যাইতে কেরম অসহায় লাগে কয়েক সময়।
কোন কিছুতেই যেহেতু আর থিতু থাকতে পারি না, সেহেতু হয়তো এই অবস্থারো পরিবর্তন ঘটবো। আমি হয়তো আবার কিছুদিন কাটামু বাইরে পরিচিত গন্ডিতে...আবার ঘরে একলা। পৌণপুনিকতা আর ভালো লাগে না মানুষ জীবনে...