somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চা শ্রমিকদের টাকা মেরে কোটিপতি

২০ শে এপ্রিল, ২০০৬ ভোর ৪:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উপরোক্ত ব্যাক্তিই সেই রক্তচোষা ড্রাকুলা


দেশের মেহনতি চা শ্রমিকদের ঘাম জড়িয়ে কষ্টে উপার্জন করা টাকা মেরে এক সাধারন চা শ্রমিক সন্তান থেকে কোটিপতি হওয়া চা শ্রমিক ইউনিয়নের বিতর্কিত সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বোনার্জি প্রেফতার হওয়ার পর থেকেইে বেরিয়ে আসছে তার দুনর্ীতির বিরোদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করেছেন প্রাসাদ তুল্য তার নিজ বাসভবন। রাতা রাতি দেশ-বিদেশে ঘরে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার জায়গা-জমি, বাড়ি-গাড়ী ও ব্যাংক ব্যলেন্স। তার সকল দুনর্ীতি ও অপসারনের দাবীতে শহরে এবং বিভিন্ন বাগানে বিােভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত রয়েছে।
নিজ স্বার্থে যে ভাবে ট্রেড ইয়নিয়ন গড়ে তুলেন রাজেন্দ্র বোনার্জি
1948 সালে প্রতিষ্টিত হয়েছে শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি দেখা শুনার জন্য চা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন। প্রতিষ্টার পর তারা বেশ তথপর ছিল চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে। কিন্তু এর কিছুদিন পর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের স্বার্থে আন্দোলন, ধর্মঘট কিংবা দর কষাকষি তারা করেছে এমন কোন নজির নেই এ ইউনিয়নের। 1970 সাল থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পদে থাকা বর্তমান বিতর্কিত সভাপতি রাজেন্দ্র বোনার্জি পুরো ইউনিয়নকে নিজের পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন। তার বড় মেয়ের জামাই বিজয় বোনার্জি এ ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক। রাজেন্দ্রের মেয়ে ফাল্গুনী বুনার্জি ওমেন কমিটির চেয়ারপার্সনের কাজ করেন। চা শ্রমিকদের রক্ত পানি করা টাকায় শ্রীমঙ্গলে প্রাসাদতুল্য বাড়ী বানিয়েছেন রাজেন্দ্র। প্রায় 1 কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে রামনগর গ্রামে তার এ বাড়ি তৈরিতে। কিন্তু রাজেন্দ্রের বাড়ির জন্য এখন সবাই এ গ্রামটিকে রাজেন্দ্র নগর বলে রসিকতা করে। পাশাপাশি তিনি বিদেশে ও গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকা মুল্যের বাড়ি গাড়ী । একজন হত দরিদ্র চা শ্রমিকের সন্তান হয়ে রাজেন্দ্র বুনার্জি রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়াটাই সাধারন শ্রমিকদের মধ্যে সন্দেহের বিকাশ ঘটে।
শ্রমিকদের যে ভাবে বিদেশে তুলে ধরেন রাজেন্দ্র
চা শ্রমিকদের মধ্যে নানা ধর্মের মানুষ রয়েছে। বেশির ভাগই হিন্দু। আরোও আছে বিহারী মুসলমান, খ্রীষ্টান মিশনারী, উরাং, মাঝি, সাওতাল, গারো, টিপরা, হাজং, উরিষ্যা, তেলেগু, দেশোয়ালী প্রভূতি। বিভিন্ন উৎসব যেমন- দুর্গাপুজা, দোলপুজা, কিংবা করম পুজার আগে শ্রমিকদের ভালো জামা কাপড় দেয়া হয়। নতুন পোশাক পরা শ্রমিকদের উৎসব ভিডিওতে ধারন করা হয়। সেই ভিডিও দাতা গোষ্টিকে দেখিয়ে টাকা সংগ্রহ করেন রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জি। ফুলছড়া চা বাগানের গরীব চা শ্রমিকের সন্তান রাজেন্দ্র এভাবেই গড়ে তুলেন বিশাল অর্থের ভান্ডার।
শ্রমিক ফান্ডের টাকা যে ভাবে ব্যয় করেন রাজেন্দ্র
চা শ্রমিকদের ফান্ড থেকে ক্রয়কৃত যানবাহন- মোবাইল ইউনিয়ন নেতারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন। শ্রমিকদের অর্থে জীপ, গাড়ী, মটরসাইকেল কেনা হযেছে। যেটা কখনই শ্রমিকদের কাজে ব্যবহার করা হয়নি।এমনকি কোন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দুরবর্তি কোন হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য ও নয়। 20 টি মোবাইল ফোন আছে ইউনিয়নের। মোবাইল গুলো বুনার্জি পরিবারের সদস্যদের ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হয়। চা শ্রকিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের নামে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিওর কাছ থেকে প্রাপ্ত মোটা অংকের অনুদান
আত্নসাৎ করেছেন রাজেন্দ্র বুনার্জি। এমন অভিযোগ সাধারন শ্রমিকদের মধ্যে প্রচন্ড।
গণতন্ত্রের নামে ট্রেড ইউনিয়নে একনায়কতন্ত্র
গণতন্ত্রের নামে ট্রেড ইউনিয়নে একনায়কতন্ত্র ও পরিবার তন্ত্র কায়েম করেছেন রাজেন্দ্র। নানা সেমিনার, সম্মেলন কর্মশালায় অংশ নেবার জন্যে তার পরিবারের সব সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপ গিয়েছেন প্রমোদ ভ্রমানের মতোই। তাও একাধিক বার।
চা বাগানে কোন সরকারী শিা প্রতিষ্টান নেই। কিন্তু রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জি আজ পর্যন্ত শ্রমিকদের শিার স্বার্থে সরকারী শিা প্রতিষ্টানের জন্য আজ পর্যন্ত কোন পদপে গ্রহন করেননি।
সহকর্মিদের দিয়েছেন বাড়ি
চা শ্রমিক ইউনিয়নে কর্মরত তার অনুসারিদের হাউজিং ফটের মতো তৈরি করে দিচ্ছেন বাড়ি। বিনিময়ে প্রতি মাসের বেতনের টাকা থেকে কিস্তি মাফিক হারে এক অংশ করে রেখে দেন বাড়ির মুল্য বাবদ। যাতে তার অনুসারীরা তার দুনর্ীতির বিরোদ্ধে মুখ না খুলে। রাজেন্দ্র বুনার্জি এভাবেই সকল কমর্ীকে তৈরি করে রাখেন তার অনুসারী হিসাবে। পাশাপশি রাজেন্দ্র শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর গ্রামে ল ল টাকা মুল্যের জমি-জামার মালিক হয়েছেন। এ দিকে রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জি প্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার বিচারের দাবীতে বিভিন্ন বাগানে ও শহরে বিােভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত রয়েছে।



সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×