দুই গরীব বন্ধু অভাবের খোশ গল্প নিয়ে মেতেছে..................
১ম বন্ধুঃ বন্ধু খুব অভাবে আছি, দুই চোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যাবো।
দুনিয়াদারী আর ভালো লাগেনা। এতো অভাব নিয়ে মানুষ কিভাবে থিতু থাকতে পারে বল?
২য় বন্ধুঃ কিসের এতো অভাব? তুমি দিনে কয়বার খাও?
১ম বন্ধুঃ তিনবার। কিন্তু খাওয়াটা কি সব, তাহলে তো মানুষ খেয়েই সুখী থাকতো কেউ কারো পেছনে আঙ্গুল দিতে আসতো না।
২য় বন্ধুঃ তাহলে তুমি আঙ্গুল দেবার জন্য কষ্টে আছো? এক কাজ কর আমার পেছনে আঙ্গুল দাও। তাতে যদি তোমার কষ্ট কিছু লাঘব হয় তাহলেই আমি ধন্য।
১ম বন্ধুঃ বন্ধু আমার সাথে মশকরা করছ করো। তাতে মনে করার কিছু থাকবেনা। কিন্তু প্রতিদিন বউয়ের ঝাড়ি খাইতে ভালো লাগেনা। আজ এই নাই, কাল ওইটা নাই, আরও কত কি?
২য় বন্ধুঃ বন্ধু মানুষ মানেই অভাব। অবাভ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। দেখো যে লোক পাঁচতলায় থাকে তারও অভাব আছে। সে চাই আমার পাঁচতলাটা কখন দশতলা বানাবো।
১ম বন্ধুঃ আমার এরকম আশা নাই। দুইবেলা খাবো, কাজ করবো, কারো ক্ষতি করতে যাবো না।
২য় বন্ধুঃ আজ এইটা বলছ বন্ধু যখন দুইবেলা খাবার শেষ হবে তখন মনে হবে আজ তো পুঁটি মাছ দিয়ে খাওয়া হল কাল যদি রুই মাছ ব্যবস্থা করা যেত? এইভাবে বাড়তেই থাকবে।
আমাদের আমির সাহেবের কথা ধর তাঁর কিসের অভাব।
১ম বন্ধুঃ তাঁর তো কোন অভাব দেখিনা।
২য় বন্ধুঃ বন্ধু তুমি দেখতে জানো না। তাঁর একটা ছেলে সে আবার হয়েছে বিশাল আকারের নেশা খোর। বাড়িতে এসে বাপের সাথে যা তা ব্যবহার করে। এইটা কি তাঁর সুখ?
বন্ধু অবাভ সবার আছে। এর মধ্যে বেঁচে থাকতে হবে। পথ চলতে হবে। আর গরীবের অভাব একটু বেশি সেটা যদি তুমি মনে করো তাহলে তুমি টিকতে পারবানা। যে অবাভ অভাব করেছে তাকে আসলে অভাব কি সেটা বুঝাও তাহলে আর কষ্ট থাকবে না।
আজ আসি বন্ধু, কাজ না করলে কাল যে পেটে খাওয়া যাবে না।