.
বিয়ের বাজারে সুন্দরি কন্যা আর বর্তমান বাজারে "পিঁয়াজ"...দুইটাই আজ বেজায় দামী জিনিস। এই দামী
জিনিসটাকে একটু হিসেব করে এক কেজি দিয়ে সপ্তাহ পাড় করতে বললেই বউ রাগে খৈ এর মত উত্তপ্ত হয়ে
বলে দেয়,'বিয়ের পর থেকেই হিসেব করে চলছি।আর হিসেব
করে চলতে পারবো না আমি। তোমার সংসার তুমিই করো...আমি বাপের বাড়ি গেলাম!'
"নৌ-মন্ত্রী নিজ দপ্তর বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে
রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারলে রাকিবের বউ রাকিবকে এরকম কড়া কথা বলে বাপের বাড়ি যেতেই পারে। এসব "খুচড়া জিনিস" নিয়ে কারো মাথা না ঘামাতে বিনীত অনুরোধ করছি।
.
তবে বউ এর মাধ্যমিকে পড়ুয়া এক ভাই সম্প্রতি "স্কুলকমিটিতে" সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ায় রাকিব কালবিলম্ব
না করে বউকে ঘরে আনতে সন্ধ্যাতেই রওনা হয় শ্বশুড় বাড়ি অভিমুখে...কি জানি পাছে ভাইকে নিয়ে বউ না জানি কি লঙ্কাকাণ্ড বাধায় আবার!
.
শ্বশুড় বাড়ি গিয়ে দেখে বারান্দায় শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী মজা করে মোবাইলে "লুডুস্টার" খেলছে!
কাঁচুমাচু হয়ে রাকিব বলে,'দেখেন আম্মা,প্রতিবছর "এনসিটিবি প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে হাজারো ভুল থাকে",তবুও কোন সরকারই সেদিকে তেমন একটা নজর দেয় না,সেখানে আপনাদের মেয়ে
আমার একটু আকটু ভুল সহ্যই করতে পারে না, এটা কি ঠিক?'
"দেশে দৈনিক সিজার করার হারের থেকেও দেখি তোমাদের দৈনিক ঝগড়ার হার বেশি। সমস্যা কি বাবা?"
মোবাইল টা পাশে রেখে বিরক্ত হয়ে শ্বাশুড়ী আম্মা বলে রাকিবকে।
"তবে বিশ্বাস করেন আব্বা,অপরাজিতা সিমের নেট
স্পিডের চেয়ে কিন্তু আমাদের দুজনের ভালোবাসার স্পিড বেশি।" একটু ভাব নিয়ে বলে রাকিব।
"যাইহোক, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর আবশ্যকতা থাকলেও তোমাদের সংসার জীবনে যাতে কোন তৃতীয় বাহিনীর
অনুপ্রবেশ না ঘটে সেই দিকে খেয়াল রেখো বাবা। যাও খাওয়া দাওয়া করে ওকে (বউ) নিয়ে যাও। বুঝই তো...মেয়েটা আদরের। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যেমন মিয়ানমারের স্বার্থ বেশি রেখেই চুক্তি হয়েছে,আমার মেয়ের বেলাতেও ওর চাওয়াটা কে
একটু বেশি দেইখো। তাহলেই দেখবে সংসার কি সুন্দর চলছে....।"
.
যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষে রাতে সিএনজি চালক দের ফুটানি মার্কা ধর্মঘটে বাধ্য হয়ে রিক্সায় করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বউকে রাকিব ফিসফিসিয়ে বলে,"শুনো বউ, তুমি বিশ্বাস করো আর না করো, দেশে বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণের থেকেও কিন্তু আমি তোমায় বেশি ভালোবাসি! রাগ করো না,প্লিজ.....