বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি এমবাসিগুলোতেও বিএনপি-জামায়াত মনোনীত কর্মকর্তার অস্তিত্ব খুজে পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক প্রেস বৃফিংয়ে তিনি বলেন, বিদেশি এমবাসিগুলোতে এখনো বিএনপি-জামায়াত জোটের মনোনীত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে কাজ করছেন। তাই তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
বৃফিংয়ে আবদুল জলিল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের পদত্যাগই বতর্মান সঙ্কটের একমাত্র সমাধান। তিনি তার দখল করা বাড়তি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট তার পদ রক্ষার জন্য প্রধান বিচারপতিকেও ব্যবহার করেছেন। তিনি বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। পদত্যাগ না করলে দেশবাসী এবার কঠোর অবরোধ পালন করবে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসন নির্দলীয়করণের নামে প্রধান উপদেষ্টা আইওয়াশ করছেন মাত্র। বিএনপি-জামায়াত জোটের চিহ্নিত লোকজনকেই তিনি এক জায়গা থেকে সরিয়ে আরেক জায়গায় বসাচ্ছেন। তিনি অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন সচিবকে বদলির দাবি জানান।
১৪ দল সমন্বয়ক বলেন, গত সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল অনেক অপকর্মের হোতা। আমরা শুরু থেকেই তার বরখাস্ত দাবি করে আসছি। অথচ প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা এ পক্ষপাতদুষ্ট অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ নিয়ে ইলেকশন শেডিউল ঘোষণা করেছেন। তিনি উদ্যোগ নিয়েই প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে জনগুরুত্বসম্পন্ন মামলার শুনানি স্থগিত ঘোষণা করিয়েছেন। আবদুল জলিল এ স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেন কি না জানতে চাইলে আবদুল জলিল বলেন, এটা আইনজীবীদের বিষয়।
আবদুল জলিল বলেন, ১ কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটার রেখে, ভোটার তালিকা সংশোধন না করে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্তই হলো একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা নিরপেক্ষ কমিশনার নিয়োগের দাবি জানালেও প্রেসিডেন্ট বিএনপির দলীয় লোক বসিয়েছেন কমিশনে। তিনি সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে নিজেই সমস্যা তৈরি করছেন।
তথ্য সূত্র: দৈনিক যায়যায়দিন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


