somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইটি সেক্টর ও বাংলাদেশ (হার্ডওয়্যার শিল্পে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ) : SOME REAL FACTS B:-)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পোস্টেই বলেছিলাম পরবর্তী পর্বে বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার শিল্পের টার্গেট মার্কেট নিয়ে আলোচনা করব। কিন্তু কয়েকদিন ধরে নিয়মিত আইটি সেক্টর নিয়ে লিখতে যেয়ে সত্যি বলতে কি নিজের মনের ভিতর ও কিছু প্রশ্ন এসেছে যার উত্তর আগে খোজাটা ঠিক বলে মনে হল!

কেন আমরা আইটি-র ভিতর শুধু সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছি, হার্ডওয়্যার নিয়ে কেন কাজ করছি না?

নিজের মনে আসা উত্তরঃ আমরা সবসময় মনে করি সফটওয়্যার তৈরিতে তেমন কোন ইনভেস্টের প্রয়োজন নাই, কেবল একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর উপর দক্ষতা থাকলেই চলল। আর না হলে ডাটা এন্ট্রির কাজ ত আছেই। ও হ্যা একটা কম্পিউটার থাকতে হবে। তার মানে একটা শিল্পের বিকাশ যেভাবে হওয়া উচিত অনেকেই সেই পথে আগাচ্ছেন না। ওডেস্ক বা ইল্যান্স এ আমাদের দেশে থেকেই সবচে বেশি Inactive User আছে। তবে হ্যা ব্যতিক্রম আছে! আর ব্যতিক্রম আছে বলেই আমরা কম হলেও কিছু সাফল্য কাহিনী শুনছি।

আসলে কি, একটা দেশ কোন শিল্পে সবচে ভালো করবে তা নিরূপণের জন্য সেই দেশের জনশক্তির সামর্থ্য জানাটা সবচে জরুরী। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারিঃ এ দেশে যত বেশি আইটি স্কিলড মানুষ আছে তার থেকে অনেক বেশি নন-স্কিলড মানুষ আছে। একটা ছোট্ট ব্যাপার সবাই খেয়াল করেনঃ গার্মেন্টস সেক্টরে আমাদের ভাল করার পিছনে সবচে বড় কারণ হল আমাদের সস্তা শ্রম বাজার। আমরা আমাদের বিশাল নন-স্কিলড জনশক্তিকে গার্মেন্টস সেক্টরে খুব ভালভাবে কাজে লাগানোয় এ খাতে আমরা সাফল্য পাচ্ছি। আর মার্চেন্ডাইজাইং, প্রোডাকশন অফিসার সহ অন্যান্য স্কিলড পোস্ট এর জন্য এদেশে খুব ভাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা থাকায় প্রয়োজনীয় স্কিলড পার্সন কে ও আমরা খুব সহজেই খুজে পাচ্ছি।

গার্মেন্টস সেক্টর এর উদাহরণ থেকেই বুঝা যায় আমাদের দেশে কোন শিল্পের প্রকৃত উত্থান ও উন্নয়নের জন্য দেশের সবধরনের জনশক্তিকে কাজে লাগানো দরকার।

এবার বলুন, সফটওয়্যার শিল্পে এই নন-স্কিলড জনশক্তিকে আপনি কিভাবে কাজে লাগাবেন? উত্তরঃ কাজে লাগানো সম্ভব না।


কারণ এই বিশাল নন-স্কিলড জনশক্তিকে আপনি এ ধরনের একটা Complete Technical Sector এ কোন ভাবেই কাজে লাগাতে পারবেন।

এবার আসি হার্ডওয়্যার শিল্পের ব্যাপারে। কেন জানি মনে হয় হার্ডওয়্যার শিল্পের কথা বললেই সবাই ভাবে এজন্য বিশাল ইনভেস্ট এর দরকার হয়। এর পিছনের কারণটা কি?

কাউকে ছোট করছি না। কিন্তু সত্যি হল আমাদের হার্ডওয়্যার শিল্পের প্রাথমিক উদ্যোক্তাদের ভিতর দেশীয় শিল্পায়ন নিয়ে তেমন মাথাব্যাথা ছিল না। তাদেরকে দোষ দিব না। প্রাথমিক পর্যায়ে এ ধরনের একটা হাইটেক সেক্টরে সরাসরি দেশীয় শিল্পায়ন আসলেই বেশ রিস্কি। কিন্তু হতাশ হই যখন দেখি এখন যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও এ খাতে শিল্প বিনিয়োগে কেউ এগিয়ে আসেনি।

আমার প্রশ্নঃ এই খাতে বিনিয়োগ কি আসলেই কি খুব বেশি? যদি একটু ঠান্ডা ভাবে চিন্তা করি দেখতে পাব আসলে খুব বড় বিনিয়োগের দরকার নাই। দরকার Target Market তৈরি করা।

এই সেক্টরে এমনো অনেক খাত আছে যেখানে সর্বোচ্চ ১০-২০ কোটি টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে Manufacturing/Processing Plant তৈরি করা সম্ভব। আমার নিজের কথাই বলি, আমাদের যে সমস্ত Finance Company অর্থায়ন করেছে তাদেরকে বলি, "এইসব খুচরা লোন না দিয়া একটা বড় লোন দেন, দ্যাখেন কি করি।" উত্তর, "এত টাকার জন্য বড় Mortgage দরকার।"

হুম এইটাই হচ্ছে বাংলাদেশের একটা বড় প্রোব্লেম। হলমার্করে গরু কেনার জন্য ২৬০০ কোটি টাকা লোন দিতে পারেন। বিসমিল্লা গ্রুপরে গামছা বানানোর জন্য ৪৬৫ কোটি টাকা লোন দিতে পারেন। তারা টাকা মাইরা দিলে কান্নাকাটি করতে পারেন আর পারেন না একটা ইমার্জিং সেক্টর রে প্রমোট করতে।

বাংলাদেশ ব্যাংক EEF Fund নামে একটা ফান্ড দিয়ে থাকে IT এবং কৃষি খাতে। তাও সেটা এখন শুধু কৃষি খাতে দিচ্ছে।

যাই হোক ব্যক্তিগত কথা বাদ দেই। এই কম্পিউটার সেক্টরেই এমন অনেক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান আছে যারা খুব সহজেই এই শিল্পায়ন এ এগিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তাদের ভিতর দুই ধরনের মানসিকতার লোক পাইঃ

১. যারা বলেঃ কি দরকার? ইমপোর্ট কইরা আনি। ভালোই ত আছি। খামোখা ঝামেলা!
২. না না এসবে যাব না। তাহলে যাদের ডিলারশীপ নিয়েছি তারা Mind করবেন।

ভাইডি আমার একটু গা ঝাড়া দেন। দৃষ্টিভঙ্গিটারে পরিবর্তন করেন।

ও হ্যা অনেকেই বলেন আমাদের নিজেদের বিনিয়োগের কি দরকার। আমাদের দেশ দেইখা এপল, ইন্টেল আসব তাদের প্লান্ট খুলতে।

--হ্যা আসবে। আসলেই তারা এ ধরনের এক সস্তা জনশক্তির দেশে প্ল্যান্ট তৈরি করতে চায়।

তার জন্য, আগে নিজে কিছু করে দেখান। প্রমাণ করেন আমরাও নিজস্ব উদ্যোগে কিছু হলেও পারি।

তারপর দ্যাখেন Paul Otellini (CEO of Intel) আপনারে ফোন দিব, "হ্যালো মিস্টার আবুল আমি জানি তুমি বাংলাদেশে একটা IT Plant দিয়েছ। আমরা ও তোমাদের দেশে আসতে চাই। আস Joint Venture এ যাই।"

আর হ্যা বিদেশিদের ইনভেস্ট চাইলে দেশের গভীর সমুদ্রবন্দর প্রোজেক্টটা চালু করেন যাতে মাদার ভেসেল গুলা আসতে পারে। আর রাস্তা ঘাট গুলা একটু ঠিক করেন।

কি পারবেন করতে? যদি পারেন এটুকুই বলি ঠকবেন না!

আমার আইটি নিয়ে সব লেখাই ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×