মারামারি, হত্যা, বোমা হামলা, আত্মঘাতী হামলা এর পিছনে যদি কোন মুসলিমের সম্পর্ক খুজে পাঁওয়া যায় তাহলে সেটা ইসলামের দোষ। ইসলামের বিরোধীরা চোখ বুজে ইসলামের দিকে আঙ্গুল তোলে বলে ইসলাম মানেই সন্ত্রাসের ধর্ম, বর্বরতার ধর্ম।
কোন সংখ্যালঘুকে হত্যা করা হলে সেটা হয়ে যায় সংবাদ শিরোনাম। সংখ্যালঘু মেয়ে ধর্ষিত হলে বলা হয় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে সংখ্যালঘুরা। সংখ্যালঘুদের কোন সমস্যা হলেই সেটা নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। একই কাজ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠদের(মুসলিম) বেলায় ঘটে তখন কারোরই কিছু চোখে পড়েনা। কেন এই দু'চোখা স্বভাব?
অন্যায়ভাবে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ কোনটাই সমর্থন যোগ্য নই। যদি কোন মুসলিম এমন কিছু করে তাহলে সেটা সেই ব্যাক্তির দোষ, ইসলামের না। ইসলামের কোথাও বলা নেই যে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা কর। বরং বলা হয়েছে, "যদি কোন ব্যাক্তি অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করল তাহলে সে যেন সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যদি কোন ব্যাক্তিকে বাঁচাই তাহলে সে যেন পুরো মানবজাতিকে বাঁচাল"। এখানে মুসলিম অমুসলিম কিছুই বলা হয়নি। ধর্ম যার যার। প্রত্যেকে তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। কেউ কারো ধর্মে বাধা প্রদান করবেনা। মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন "তোমরা ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা"। এখন যদি কেউ এই কথা না মানে তাহলে সেটার দায়িত্ব কেন ইসলাম নেবে?
২০ বছর আগেও কারো অপঘাতে মৃত্যু হলে সেটাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে বিবেচিত করা হত। আর এখন বলা হয় জঙ্গি! সময়ের সাথে সাথে শব্দটা পাল্টে গেছে, তার সাথে জোড়ে দেওয়া হয়েছে ইসলাম। ভারতেও মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে। মায়ানমারেও মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে। তাহলে কি আমরা বলব হিন্দু ধর্ম সন্ত্রাসের ধর্ম? আমরা কি বলব বোদ্ধ ধর্ম সন্ত্রাসের ধর্ম? কখনোই না। এগুলো কিছু উগ্রবাদী কট্টরপন্থী লোকের কাজ। কিছু লোকের জন্য সব লোককে দায়ী করা নিতান্তই অযুক্তিক। কিছুদিন আগে আমরা একটা ভিডিও ফুটেজে দেখেছি কিভাবে হিন্দুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভারতে অনেক জঙ্গি সংঘটন রয়েছে তাদেরকে নিয়ে কোন আওয়াজ নেই। মুসলিমের কোন ভূল পেলেই শুরু হয়ে যাই তুলকালাম।
হিন্দু সংঘটন বাজরাং ডাল
ধর্ম দিয়ে নয় আমরা মানুষকে বিচার করব মনুষত্য দিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮