- ভাই আপনে একটা ছাগল...
- কি কছ হারামজাদা?
- ভাই আপনে কি একটা ছাগল দেখছেন?
- সম্পূর্ণ কথাটা আগে বলতে পারিসনি?
- আমিতো কইতেই চাইছিলাম, আপনিই তো মাঝপথে থামাই দিলেন। ভাই দেখছেন?
- আমারে কি তোর ছাগলের রাখাল মনে হয়? আমি মেম্বরের পুলা। ভুইল্লা গেছত এই কথা?
- কেমনে ভুলি এই কথা! গত নির্বাচনের সময় যেভাবে আপনে আমাগু বাড়িতে গিয়ে আমাদের হাত পা ধইরা আপনের বাপের জন্য ভোট চাইছেন এইডা কি এত সহজে ভুইল্লা যাওন যায়?
- নির্বাচনের সময় সবাই এরকম করে। আমিও করছি।এসব কথা মনে রাইখা লাভ নাই, ভুইলা যা।
- ভাই একটা কথা জিগাই?
- কি কথা?
- আপনের নাম বল্টু রাখছে কেডাই?
- থাপ্রাইয়া তোর দাঁত ফালাই দেমু। ফাজিল কোনখান কার।
- ভাই চ্যাতেন কিরে? আমিতো নামডা কেডা রাখছে জিগাইছি।
- আমার নাম বল্টু না বিল্টু। পুংটা পুলাপাইন বিল্টু নামটারে বলাৎকার কইরা বল্টু বানাই দিছে।
- আইচ্ছা ভাই, সালেহা বেগম নাকি গতকাল আপনের গালে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসাইয়া দিছে। ঘটানা কি হাছা?
- কে কই এইসব ফাউল কথা? এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
- ভাই দাগটা কইলাম এখনো গালের উপরে চকচক করতে আছে।
- আরে এইডা তো গতকাল আম্মাই থাপ্পড় দিছিল।
- অ...! আইচ্ছা ভাই আরেকটা কথা জিগাই?
- আর কোন কথা না। চুপচাপ ছাগল খুজতে যা।
- ভাই এইটাই শেষ কথা। আর কিছু জিগামু না।
- তাড়াতাড়ি কইয়া বিদায় হ।
- আপনে বিয়া করতে চাওয়াই আপনের বাপে নাকি আপনেরে গরুর সাথে গোয়ালঘরে একরাইত বাইন্ধা রাখছিল? বিয়া করা তো খারাপ কিছুনা। তাইলে আপনেরে বাইন্ধা রাখল ক্যান?
ভাই আমার এই কথার কোন উত্তর না দিয়া কি যেন খুঁজতে লাগল। আমি জিগাইলাম ভাই কি খুঁজেন? ভাই কোন উত্তর না দিলনা। দেখলাম হাতে একটা লাঠি নিয়া আমার কাছে আইতাছে। অবস্থার দূরবস্থা দেইখা আমি দিলাম দৌড়। সাথে ভাইও আমার পিছে দৌড়াইতে লাগল। দৌড়াইতে দৌড়াইতে ভাই কই ঐ হারামজাদা দাঁড়া। আজ তোর একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে লাগুক।