ব্যাম্বু আজাদ লোকটা হালকাপাতলা অশ্লীল প্রকৃতির। পতেতো প্রবলেম আসে।
ব্যাম্বু আজাদ যখন শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে উত্তীর্ণ হলেন, ও একটি ভালো ঘন ঝোপের মালিকানাপ্রাপ্ত হলেন, সেই ঝোপে কুকুর চড়াইতে উদ্যোগী হলেন।
কিন্তু সারমেয়টি আবার সতী প্রকৃতির ছিল। ব্যাম্বু আজাদের দুরন্তপনা মোটেও বরদাস্ত করিলো না ও তার আলুকে আলুবখরার চাটনি বানিয়ে দিলো।
এই ভাবে আজাদ ভাইসাব ব্যাম্বুটি খাইলেন ও ব্যাম্বু আজাদ নামে দেশে পরিচিত হইলেন। ব্যাম্বু খাওয়ার পরে আজন্ম কুকুরদের ঘৃণা করতে থাকলেন ও কোনো এক অজ্ঞাতকারণবশত: আজাদের বদলে য়াজাদ লিখতে লাগিলেন নিজের নামটি।
কদিন আগে এক দোস্তের মুখে শুনলাম ভাইসাব নিজের একটা ভ্রমণকাহিনী বের করেছেন ছাপাকল থেকে। দোস্তকে জোগাড় করিয়া দিতে বলিলাম। দু' পাঁচ পাতা পড়ে হাত থেকে বইটা নামিয়ে রাখতে হলো। কুয়ালা লামপুরের কোথায় মেয়ে দেখেছেন, অমনি ফর্মে ফিরে গেছেন, তার শরীরে কাপড়ের চেয়ে গোশতের পরিমাণ যে বেশি সেইটা রসিয়ে রসিয়ে লিখেছেন।
পায়ের কাছে ছোট্টো মেয়েটা খেলা করছিল। এক অজানা আশংকায় বুকটা কেঁপে উঠলো। বুকে জড়িয়ে ধরে ভাবতে থাকলাম যতো দিন ব্যাম্বু আজাদের মতো পুরুষেরা থাকবে, ততো দিন রাহেলারা কবরের মধ্যেও ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠবে, নারী তুমি পুরুষ পেয়েছো - মানুষ পাওনি।