পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ছহীহ কিতাবসহ বিশ্বখ্যাত অসংখ্য কিতাবে কাট্টা কাফির জাহান্নামী আবু লাহাবের প্রসঙ্গেই এমন একটি ঘটনা বর্ণিত রয়েছে, যা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীদের মুখে চুন-কালি পড়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করি।
যেমন ছহীহ বুখারী শরীফ উনার ২য় খ-ের ৭৬৪ পৃষ্ঠায় ‘কিতাবুন নিকাহ’ অধ্যায়ে বর্ণিত রয়েছে- হযরত উরওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন, হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম তিনি পূর্বে ছিলেন আবু লাহাবের বাঁদী। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি হয়ে আবু লাহাব হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ করে দেয়। এরপর হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুধ মুবারক পান করান। অতঃপর আবু লাহাব মারা যাবার এক বছর পরে হযরত আব্বাস আলাইহাস সালাম তিনি তাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, সে ভীষণ আযাব-গযবে গ্রেফতার হয়ে আছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেসা করলেন, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে? আবু লাহাব উত্তরে বললো, মরার পর থেকে ভীষণ কষ্টে রয়েছি। তবে বাঁদী হযরত সুয়াইবা আলাইহাস সালাম উনাকে দু’আঙুলের ইশারায় আযাদ করার কারণে তা থেকে কিছু ঠা-া শীতল পানি পান করতে পারছি। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বাঁদীকে আযাদ করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি আবু লাহাবকে কাট্টা কাফির ও জাহান্নামী হওয়া সত্ত্বেও প্রতি সোমবার শরীফ-এ আযাব লাঘব করে দেন। (সুবহানাল্লাহ)
উপরোক্ত ঘটনা থেকে আবু লাহাবের উত্তরসূরি ধর্মব্যবসায়ী ওহাবী সালাফী মওদুদী গংদের ইবরত হাছিল করা উচিত এবং অবিলম্বে তওবা করে ভবিষ্যতে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। নতুবা আবু লাহাবের চেয়েও নিকৃষ্ট পরিণতি ভোগ করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০