মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমত ও ফযল করম হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন সেজন্য তারা যেন ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম যা তারা (দুনিয়া আখিরাতের জন্য) সঞ্চয় করে থাকে।” সুবহনাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
যেহেতু মহান আল্লাহ পাক বান্দা-বান্দীকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে বলেছেন সেহেতু পালন করা বান্দা-বান্দীর জন্য ফরয ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে। আর উহা পালন করা অশেষ নিয়ামতের কারণ এবং সমস্ত আমলের চেয়ে উত্তমও বটে। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু ৯৭ ভাগ মুসলমানদের এ দেশে এই ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনে কোনো গুরুত্ব নেই; বরং তা নিয়ে এলোমেলো কথা-বার্তা বলে থাকে।
উল্লেখ্য, মানুষ যা কিছুই শিখে না কেন প্রত্যেকটি জানার পিছনে উৎস হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পুস্তকাদি। কিন্তু এই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও পুস্তাকাদির মধ্যে এসব বিষয়ে কোনো ওয়াক্বিয়া বা বিশেষ প্রবন্ধ নেই। যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা তথা মুসলিম-মুসলিমা ভাই-বোনেরা সেই রহমত-বরকত নিয়ামত ও সাকীনা হতে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তথা দুনিয়ার বুকে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করার কারণে মহান আল্লাহ পাক ও হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা হতে শুরু করে আসমান, যমীন, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ গাছপালা ইত্যাদি সকলেই খুশি প্রকাশ করেছেন। তাহলে আমরা যারা উম্মত রয়েছি আমাদের কতটুকু খুশি প্রকাশ করার দরকার, তা একটু বোধগম্যে আনলে বুঝা যায়।
কাজেই আমরা ধর্মপ্রাণ ভাই-বোনেরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি- সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গুরুত্ব, সম্মান মর্যাদা-মর্তবা উল্লেখপূর্বক প্রত্যেকটি শিক্ষাবোর্ডের বই-পুস্তকে এই বিষয়ে লিখা হোক এবং সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক
সূত্র :