যারা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থই বুঝেনা তারাই বিরোধীতা করে।
শুধু নির্দিষ্ট একদিন নয় সারা জীবন খুশি প্রকাশ করে অর্থাৎ প্রত্যেকটা কাজ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরনে করা এবং উনার প্রশংসায় রত থাকাই হলো ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করে বলা যেতে পারে, যেহেতু আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়েছি, অবশ্যই আমরা তাতে খুশি। এখন খুশিটা কিভাবে প্রকাশিত হবে? আদেশ – নিষেধ মেনে, উনার প্রতি ছলাত ও সালাম পড়ে, দরুদ পড়ে, উনার প্রশংসা করে , উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করে ইত্যাদি।
আরেকটা উদাহরন দেয়া যেতে পারে। যেমন কারো গর্ভে সন্তান আসলে সে খুশি হয়, ভুমিষ্ট হলে আরো খুশি, সবাইকে মিষ্টি খাওয়ায়, সন্তানের জন্য জামা কাপড় কেনে, সবসময় সন্তানের খোঁজ খবর নেয়, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে, তার বিপদে পেরেশান হয়, প্রয়োজনে জীবন ও দেয়।
তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবীয়্যিন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে কতটুকু খুশী হতে হবে, উনাকে কতটুকু মুহব্বত করতে হবে, উনার বিষয়ে কতটুকু চিন্তা করতে হবে, কত টুকু আদেশ নিষেধ পালন করতে হবে, কতটুকু মুহব্বত করতে হবে?
আর এসব করাই হলো ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে খুশি।
তাই শুধু ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ নয় বরং মাস, বছর, যুগ, শতক, দুনিয়ার জীবন অনন্তকাল ধরেই নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে খুশি প্রকাশ করতে হবে।
ঈদ = খুশি, মীলাদ = আগমন , নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম = সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামান্নবীয়্যিন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম।
সূত্র: View this link