আমাদের ভেন্যু স্ট্যাডিয়াম-গুলোতে এখন সংস্কার কাজ চলছে। আশা করা যায়, নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে। আমরা যে বিশ্বকাপের আয়োজক, এটাতো কয়েক বছর আগেই জেনেছি, বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র সাড়ে চার মাস আগে এখনো কাজ ফেলে রাখা উচিত হয়নি।
এই রকম বড় আয়োজনে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আকর্ষণ অনেক বেশি থাকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে আমাদের দেশের উপর। খুব জমকালো একটি অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা করছে সবাই। আমাদের দেশের এই রকম অনুষ্ঠানগুলোর মান খুব ভালো নয়। সর্বশেষ এস.এ গেমস-এ মোটামুটি মানের একটা আয়োজন হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের অন্যান্য দেশগুলোর আয়োজনের সাথে তুলনা করলে অনেক পিছিয়ে আছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠানগুলোতে কিছু দৃষ্টিকটু অংশ থাকে যা সমালোচনা সত্তেও বার বার প্রদর্শিত হয়। কিছুক্ষণ আগে ১৯তম কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধন হলো ভারতে। আমার মতে, ওরা এতে যেই অনুষ্ঠানটা আয়োজন করলো, তা অলিম্পিক মানের অনেক কাছাকাছি। আমাদের এখান থেকে কিছু শেখা উচিত। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের বড় সুযোগ আছে আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পর্যটন সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার। যারা এই অনুষ্ঠানটির আয়োজনের সাথে জড়িত আছে, তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বাংলাদেশ কে সর্বোচ্চ মানে তুলে ধরার জন্য। আমাদের মান-সম্মান যেন ক্ষুণ্ন না হয়। দেশের সব প্রতিভাবানদের সাথে নিয়ে কাজ করুন। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করুন। আমাদের অনুষ্ঠানের মান যেন ভারতের কমনওয়েলথ গেমসের মান থেকেও উচ্চ হয়। আর অবশ্যই যেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে।
পত্রিকাগুলোতে এই বিষয়টা নিয়ে নিয়মিত খবর ছাপালে আমরা আমাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে পারি।
অপেক্ষা করছি একটি সুন্দর, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্বকাপ আয়োজনের.......
সংযুক্ত হোন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ - বাংলাদেশ এর ফেসবুক পাতা'র সাথে
দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস ২০১০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দৃশ্য সংযুক্ত