সেই যে কবে হিজলতলীর ঘাটের নৌকাতে করে গিয়েছিলাম;
ভরা বর্ষার আন্দোলিত ধানক্ষেতের আড়াআড়ি পথ ধরে,
জোয়ার ভরা তার্পিন রঙের খালের পানিতে ডুব সাতার আর জলকেলি,
মিহি সূরের জলতরঙ্গে ভেসে আসা দুরের গাঁয়ের রসিয়া বন্ধুর চটুল আকুতি।
ধপাস করে যদিও বা পাকা তাল পরে খালের পারের গাছ থেকে,
মালিকানা সত্ত্ব কিন্তু হয়ে যায় আমেরিকান স্টাইলের অনুকরনে।
দুরের সেই বর্ষাকান্দা কিংবা গজারডাঙর টইটুম্বর তার রসের আচ্ছাদনে,
শাপলা শালুক কিংবা ভেটের চলে নিত্য পশরার মেলা।
উদাস দুপুরে ভুবন চিলের ব্যস্ত সময়ের রোজনামচা;
ধল বক থেকে নিরাপদ দূরে কানি বক দেখে তার হিসাব।
হাওর বাওর নদী নালা খাল সময় স্রোতের পোয়াবারো
উর্বশী তার ধ্যন ভেঙ্গে যেন আড়মোড়া দিয়ে উঠেছে এখন।
জাগ শেষের পাটের আঁটি নিয়ে কিষানের ঠোটে কিসের ঝিলিক?
ব্যস্ত কিষাণী দ্রুপদী ছন্দে এ বাড়ি ও বাড়ি দৌড়ে সারা।
পুবের খালে তারস্বরে হাকে বুট বাদাম আর মুরালির মহাজন
টুকানো আশের খদ্দেরের ভিতর শিহরনের তীব্রতা গগনচুম্বী।
আন্তা কিংবা চাইয়ের ফাঁদে যাদেরই আয়েশি আবাহন
রাতের ভুরিভোজে তৃপ্তির ঢেঁকুর, চিলুমচি-তে কুলির ফোয়ারা।
মনের ভিতর প্রশ্ন বোধক চিহ্নটা কেবলি দীর্ঘশ্বাস হয়ে ডানা ঝাপ্টাচ্ছে অবিরত
এই ফ্রেমের কি সূর তাল লয় তেমনি আছে? যেটি হৃদয়ের কোটরিতে সাঁটা,
নাকি ধুসর ধুলায়, ফ্রেমের ফাটল অনিবার্যতার যূপকাষ্ঠে বলি।।