somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুলে যাওয়া ইতিহাসঃ সম্রাট অশোক এবং তাঁর বাপ-দাদার কেচ্ছা।

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথমেই বলে নেই, সম্রাট অশোকের নাম দেখে যারা সাহস করে পড়তে এসেছেন তাঁদের হতাশ হতে হবে। কারণ এই লেখায় অশোক থাকবেন না। থাকবেন মূলত তাঁর পূর্ববর্তি রাজাগণ। এই লেখার কাহিনী মূলতঃ অশোকে এসে শেষ হবে। ধন্যবাদ।
সম্রাট অশোক ছিলেন মৌর্য্য বংশের সবচাইতে উজ্জ্বল শাসক। প্রবল পরাক্রমশালি এই মৌর্য্য বংশের ক্ষমতায় আসার পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে অন্তত দুইটি সাম্রাজ্যের কথা আলোচনা করা আবশ্যক। এর মাঝে প্রথম হল শিশুনাগ সাম্রাজ্য।
শিশুনাগ সাম্রাজ্যের নামকরণ হয় এই সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা শিশুনাগের নামানুসারে। প্রথম জীবনে শিশুনাগ ছিলেন রাজা নাগদশকের একজন মন্ত্রী। পরবর্তিতে নাগদশক তাঁকে কাশির শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন। শিশুনাগ এক পর্যায়ে রাজা নাগদশকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজেকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করলে ভারতের ইতিহাসে উদয় হয় শিশুনাগ সাম্রাজ্যের সূর্য। তামিলনাড়ুর মাদুরাই থেকে আরও দক্ষিণের অঞ্চলসমূহ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাংশ বাদে পুরো মধ্য ভারত ধীরে ধীরে শিশুনাগ সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায়।


ছবিঃ শিশুনাগ সাম্রাজ্য

শিশুনাগের এক ছেলে ভট্টির ছিলেন মগধের শাসনকর্তা। মগধ ঠিক কি করে শিশুনাগ সাম্রাজ্যের করতলে আসে তা সঠিক জানা যায় না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভট্টিরের ছেলে বিম্বিসার (জন্মঃ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৫৮ অব্দ বা তাঁর পূর্বে) উত্তরাধিকার সূত্রে কাশি এবং মগধ উভয়ের শাসনকর্তা হয়ে উঠেন। * বিম্বিসার ক্ষমতায় বসেই কোশলরাজ প্রসেঞ্জিতের বোন বাসবীকে বিয়ে করেন ও এর মাধ্যমে মিত্রতা স্থাপন করেন। ততকালিন ভারতীয় রাজনীতিতে কোশলরাজের দোর্দন্ড প্রতাপ ছিল (সে গল্প আরেকদিন হবে)। মূলত কোশল রাজের ভরসাতেই বিম্বিসার রাজ্যবৃদ্ধির আশায় চম্পার রাজা ব্রহ্মদত্তের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। বৃদ্ধ রাজা ব্রহ্মদত্ত সেই আক্রমণ ঠেকাতে ব্যার্থ হন, চম্পা চলে আসে বিম্বিসারের অধিনে। বিম্বিসার তাঁর ছেলে অজাতশত্রুর হাতে চম্পার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে রাজধানীতে ফিরে আসেন। বিম্বিসারের এই ছেলে প্রাচিন ভারতীয় ইতিহাসের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অংশ অধিকার করে আছেন।


ছবিঃ শিল্পির তুলিতে অজাতশত্রু
পিতা বিম্বিসারকে কারারুদ্ধ করে মগধের রাজ সিংহাসনে বসেন অজাতশত্রু। অজাতশত্রুর অভূতপূর্ব যুদ্ধপারদর্শীতায় শিশুনাগ বংশের সীমা পৌঁছে যায় সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত। তিনি তাঁর মামা কোশলরাজ প্রসেঞ্জিতের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজিত ও বন্দি হন। প্রসেঞ্জিত ভাগনেকে ক্ষমা করে দিয়ে রাজ্য ফিরিয়ে দেন এবং সেই সাথে নিজ কন্যা বাজিরাকেও অজাতশত্রুর হাতে অর্পন করেন। এর ফলে কার্যত মগধ ও কোশল খুবই ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়। এই দুই সম্রাট মিলে পরাক্রান্ত শাক্য সাম্রাজ্যের দক্ষিণমুখী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কোশলরাজের সঙ্গে শাক্যদের এই যুদ্ধ প্রসেঞ্জিতের ছেলে বিরুধক সম্পূর্ন শাক্য বংশকে ধ্বংস করার পরই শেষ হয়। সে গল্পও অন্য কোনদিন হবে।
যাইহোক, অজাতশত্রু রাজ্য জয় করতে করতে সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত পৌঁছে যান। নদীর ওপারেই সাইরাস প্রতিষ্ঠিত প্রবল পরাক্রমশালি পারস্য সাম্রাজ্য। ততকালিন পারস্য সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম দারিয়ুস বিশ্বজয়ে বের হয়ে পশ্চিমে মিশর থেকে শুরু করে পূর্বে গান্ধার পর্যন্ত বিস্তৃত সমস্ত ভূভাগ নিজের করতলে নিয়ে আসেন। প্রথম দারিয়ুসের বিজয়পতাকা সিন্ধু নদের তীরে এসে উপনীত হলে রাজা অজাতশত্রুর সাথে তাঁর সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। দারিয়ুস সেনাপতি সাইল্যাক্সের নেতৃত্বে এক সুবিশাল সেনাবাহিনীও গঠন করেন অজাতশত্রুর মোকাবেলা করার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজাতশত্রুর সামরিক শক্তি বিবেচনা করে দারিয়ুস সিদ্ধান্ত নেন এই যুদ্ধে তাঁর জেতার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ এবং জিতলেও যে ক্ষতি তাঁর হবে তা তাঁর সাম্রাজ্যকে বিপদে ফেলে দেবে। তিনি বিবেচনা করেন, অজাতশত্রুকে আক্রমণ করার চাইতে গ্রীস আক্রমণ করা অনেক সহজ। তাই তিনি সিন্ধু নদের তীরে জমাকৃত সৈন্য ধীরে ধীরে ইউরোপের দিকে সরিয়ে আনেন। যদি এই যুদ্ধ হোত এবং দারিয়ুস জয়ী হতেন তবে সমগ্র উত্তর এবং মধ্য ভারত পারস্য সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যেত। আর যদি অজাতশত্রু জয়ী হতেন তবে এক বাঙালি রাজার সাম্রাজ্য বিস্তৃত হোত ভূমধ্যসাগরের উপকুল পর্যন্ত।


ছবিঃ ততকালীন পারস্য সাম্রাজ্য
দারিয়ুসের প্রথম অভিযান গ্রীক পৌঁছতেই পারে নি। দ্বিতীয় অভিযানে প্রেরিত সৈন্য ম্যারাথন প্রান্তরে গ্রীকদের হাতে পরাজিত হয়। দারিয়ুসের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে জারজিস এক বিশাল সেনাবহর নিয়ে গ্রীস আক্রমণ করেন। এই বাহিনীর জন্য ভারতের পাঞ্জাব এবং গান্ধার অঞ্চল থেকে হাতি সংগ্রহ করে গ্রীস নিয়ে যাওয়া হয়। লিওনিডাসের নেতৃত্বে স্পার্টানগন থার্মোপলির যুদ্ধে এই বিশাল সেনাবাহিনীকে বাধা দেয় এবং সমূহ ক্ষতি সাধন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জারজিস জয়ী হন ও এগিয়ে যান (জনপ্রিয় হলিউডি মুভি 300 এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত)। সালামিসের যুদ্ধে এই পারস্য বাহিনী গ্রীকদের হাতে সম্পূর্ন পরাজিত হয়।
অজাতশত্রুর ছেলে উদায়িভদ্র ছিলেন জারজিসের সমসাময়িক সম্রাট। উদায়িভদ্র শিশুনাগ সাম্রাজ্যের রাজধানী পাটালিপুত্রে স্থানান্তর করেন। ক্রমে পাটালিপুত্র পুরো প্রাচিন ভারতের বৃহত্তম শহরে পরিণত হয়। মেগাস্থিনিসের মতে পাটালিপুত্র দৈর্ঘ্যে কমপক্ষে ১৬ মেইল এবং প্রস্থে ৩ মেইল ছিল। উদায়িভদ্র পিতা অজাতশত্রুর মতোই প্রবল ক্ষমতাশালি রাজা ছিলেন। এরপর যথাক্রমে অনিরুদ্ধ (খ্রিঃপূঃ ৫০৩-৪৯৭), নাগদশক ( খ্রিঃপূঃ ৪৯৭-৭১), দ্বিতীয় শিশুনাগ (খ্রিঃপূঃ ৪৭১-৫৩), এবং কালাশোক (খ্রিঃপূঃ ৪৫৩-৪০৩) রাজত্ব করেন। এদের সবাই ছিলেন অযোগ্য শাসক। উদায়িভদ্রের মৃত্যুর পর থেকেই শিশুনাগ সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। পুরো রাজ্যে বিদ্রোহ ও বিশৃংখলা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত কালাশোক কাকবর্ণিকে হত্যা করে সিঙ্ঘাসনে বসেন নন্দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা মহাপদ্মনন্দ।
এই নন্দ বংশ হল আমাদের পরবর্তি আলোচিত সাম্রাজ্য।
যে মহাপদ্মনন্দ শিশুনাগ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়ে পাটালিপুত্রের ক্ষমতায় আসেন তাঁর জন্মপরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুরাণ মতে তিনি শিশুনাগ রাজা মহানন্দির সন্তান, কোন শুদ্রানির গর্ভজাত। জৈন গ্রন্থ মতে পাটালিপুত্রবাসি নাপিত দিব্যকীর্তি তাঁর পিতা। শেষ শিশূনাগ সম্রাট কালাশোকের স্ত্রী এই নাপিতের প্রেমে পড়েন এবং মহাপদ্মনন্দের জন্ম দেন। শেষ পর্যন্ত এই বিশ্বাসঘাতক স্ত্রী সম্রাট কালাশোককে হত্যা করেন এবং প্রেমিক নাপিতকে সিঙ্ঘাসনে বসান। সঙ্গত কারণেই এই কাহিনী বিশ্বাস করা শক্ত। বৌদ্ধ গ্রন্থগুলো অনুযায়ী মহাপদ্মনন্দের আসল নাম উগ্রসেন। প্রথম জীবনে সে ছিল দস্যু সরদার। একসময় শক্তি সংগ্রহ করে কালাশোককে আক্রমণ করেন এবং তাকে পরাজিত ও হত্যা করেন।


ছবিঃ মহাপদ্মনন্দ

জন্ম ও সিংহ আসন আরোহন যেভাবেই হোক, মহাপদ্মনন্দ সারা দেশে শক্তহাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনেন। তিনি বিদ্রোহী সামন্তরাজাদের বশীভূত করতেও সমর্থ হন। তিনি পাঞ্চাল, বেনারস, কলিঙ্গ, মৈথিলি ও সৌরসেনদের পরাজিত করেন। মহাপদ্মনন্দের পর একে একে তাঁর আট ছেলে সিঙ্ঘাসনে বসেন। নন্দ সাম্রাজ্য বিখ্যাত ছিল মূলতঃ তাঁদের ঐশ্বর্যের জন্য। বিশেষত সুমালী নন্দের রাজত্বকালে এত সম্পদ রাজকোষে জমে গিয়েছিল যে তিনি ধননন্দ নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাঁদের এই সম্পদই কাল হয়েছিল। এই ধননন্দের রাজত্বকালেই সম্রাট আলেক্সান্ডার ভারত আক্রমন করেন।


সম্রাট প্রথম দারিয়ুস ও জারজিসের নির্মিত পথ ধরে সম্রাট আলেক্সান্ডার ৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দার্দেনেলিশ প্রণালী পার হয়ে এশিয়া মাইনরে পৌঁছে যান। এই অঞ্চলগুলো ছিল পারস্য সাম্রাজ্যের দখলভুক্ত। পারস্য সম্রাট তৃতীয় দারিয়ুস আলেক্সান্ডারের মোকাবেলা করার জন্য শক্ত বাহিনী গঠন করেন। কিন্তু ততদিনে প্রতাপশালি পারস্য সাম্রাজ্যের সূর্য অস্তগামি। প্রথমদিকে কিছুটা সাফল্য পেলেও শেষ পর্যন্ত ইসাসের যুদ্ধে আলেক্সান্ডারের হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। সম্রাট তৃতীয় দারিয়ুসের সাথে পাঞ্জাব নরপতি পুরুর খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তৃতীয় দারিয়ুস তাই পুরুর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন। পুরু তৃতীয় দারিয়ুসের সাহায্যার্থে সৈন্য প্রস্তুতও করেন। কিন্তু সেই বাহিনী পারস্য পাঠানোর পূর্বেই তৃতীয় দারিয়ুসের পতন হয় এবং সম্রাট আলেক্সান্ডার সসৈন্য ভারতের দ্বারে চলে আসেন। ক্ষুদ্র রাজ্য তক্ষশীলার রাজা অম্ভি তাঁর নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর রাজা পুরুর মুখোমুখি হন এবং এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে পুরুকে পরাজিত করেন। যুদ্ধে পুরুর বীরত্বে অভিভূত হয়ে আলেক্সান্ডার পুরুকে পুনরায় রাজ্য ফিরিয়েও দেন। অত:পর আরেকজান্ডার রাভি নদীর উপকূলবর্তী রাজ্যসমূহ দখল করেন এবং বিপাশা নদী পর্যন্ত অগ্রসর হন। এসময় আলেক্সান্ডার চতুর্দিকে নিজের গুপ্তচর প্রেরণ করেন। গুপ্তচরদের নেতা ফিজিয়াস জানান যে সিন্ধু মরুভূমি পার হয়ে বারোদিন হাঁটলে পাওয়া যাবে গঙ্গা নদী। সেই নদীর অপর সীমান্ত পাহাড়া দিচ্ছে নন্দরাজ (রাজা ধননন্দ) এবং ‘গঙ্গারিডাই’ নামে এক জাতি/গোষ্ঠি। তাঁদের সামরিক শক্তি অন্তত দুই লক্ষ পদাতিক, ২০ হাজার অশ্বারোহী, ৪ হাজার হাতি এবং দুই হাজার রথি সৈন্য। গঙ্গারিডাই মানে গঙ্গার তীরবর্তি অর্থাৎ নিঃসন্দেহে বাঙালি জাতিকে নির্দেশ করে। কার্যত বাংলাও নন্দ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবুও গ্রীক ইতিহাসবিদদের আলাদা করে গঙ্গারিডাইদের উল্লেখ করতে দেখা যায়।


ছবিঃ রাজা ধননন্দ
যাইহোক, এই বিশাল নন্দবাহিনীর কথা শুনে আলেক্সান্ডার স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। রাজা পুরুকে ডাকা হল তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। পুরুও ফিজিয়াসের তথ্য সমর্থন করেন। আলেক্সান্ডারের সেনাবাহিনী রাজা ধননন্দের সামরিক শক্তি সম্পর্কে জেনে ভয়ে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। শেষ পর্যন্ত আলেক্সান্ডার ভগ্নমনোরথে স্বদেশের দিকে রওনা হন এবং পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রবল প্রতাপশালি এই নন্দসাম্রাজ্যের পতন হয় মৌর্য্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা, সম্রাট অশোকের পিতামহ, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের হাতে। আলেক্সান্ডার দেশমুখে রওনা হওয়ার সময় পাঞ্জাবে তিনি প্রতিনিধি হিসেবে রেখে যান ইউমেডিস নামে এক জনকে। আলেক্সান্ডারের প্রস্থানের পরপরই ইউমেডিস গুপ্তহত্যার মাধ্যমে রাজা পুরুকে সরিয়ে দেয়। ঠিক এই সময়ে নিজ সেনা বাহিনী নিয়ে শতদ্রু নদীর তীরে হাজির হন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য। ভারতিস্থ পুরো গ্রীক বাহিনী চন্দ্রগুপ্তের মোকাবেলা করে পরাজিত হয়। পাঞ্জাব ও সিন্ধু চলে আসে চন্দ্রগুপ্তের করতলে। গ্রীক-এশিয়ার নতুন অধিশ্বর সেলুকাসও চন্দ্রগুপ্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ন হন ও পরাজিত হয়ে পশ্চিমে কাবুল পর্যন্ত পুরোটা চন্দ্রগুপ্তের হাতে সমর্পন করে ফিরে যান। সেলুকাস তাঁর এক মেয়ের বিয়েও দেন চন্দ্রগুপ্তের সাথে। সে সময় বিজয়ী শত্রুকে কণ্যা সম্প্রদান বশ্যতার চিহ্ণ বলে ধরা হোত।
তবে সে যাই হোক। আজকের গল্প এখানেই শেষ। হাজার বছরের এই গল্পের ঝাঁপি হয়তো আবার অন্য কোনদিন খোলা যাবে। আজকের জন্য এই পর্যন্তই।
* শিশুনাগের পুত্র বিম্বিসার এবং অশোকের পিতা বিন্দুসার ভিন্ন ব্যক্তি।
রেফারেন্স সমূহঃ
গৌড় কাহিনী- শ্রী শৈলেন্দ কুমার ঘোষ
Bihar Through Ages- R. R. Diwakar
Early History of India- Vincent A. Smith
Ancient India- R. K. Mookherjee
Ashoka- Vincent A. Smith
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩২
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×