বিশ্ববাজারে গত ১৪ মাসে জ্বালানি তেলের দাম ৬৩ ভাগ কমলেও এর প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের কারণে যে উচ্চমূল্য নির্ধারণ হয়েছিল তাতেই বিক্রি হচ্ছে অকটেন পেট্রল ডিজেল কেরোসিন এবং ফার্সেন অয়েল। অথচ ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ৫ দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে।আইইএ’র রিপোর্টে দেখা যায়, গত বছরের জুনে ব্যারেল তেলের দাম ছিল ১০৭-১০৮ ডলার। বুধবার তা ৪৩ ডলারে নেমে এসেছে।চলতি অর্থবছরে এর মধ্যেই বিপিসির মুনাফা ২ হাজার ২শ’ কোটি টাকার বেশি ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বিপিসি চার হাজার কোটি টাকা। তেলের দাম বাড়ার চিত্র : ২০১১ সালের মে থেকে ২০১৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৫ দফা বাড়ানো হয়। এ সময়ে ডিজেলের দাম ২৪ থেকে ৬৮ টাকা করা হয়। এ হিসেবে দাম বেড়েছে ১৮৪ শতাংশ। এ সময় ৫ দফায় পেট্রল ও অকটেন লিটারপ্রতি ২২ টাকা বেড়েছে। এছাড়া ২০১১ সালে ফার্নেস অয়েল লিটারপ্রতি ৩৬ টাকা বাড়িয়ে ২৪ থেকে ৬০ টাকা। বাংলাদেশেও তেলের দাম সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সর্বশেষ বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দাম সমন্বয়ের কোনো উদ্যোগ নেই। বিশ্ববাজারে ফার্নেস অয়েলের দাম কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানোর জন্য হন্য হয়ে ছোটাছুটি করছে বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন)। সূত্র : দৈনিক যগান্তর।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪