শীতার্ত মানুষ, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে শিশু, বৃদ্ধ সহ অনেক মানুষ মারা যায়। প্রতিদিন ঘর থেকে বের হলে উপলব্ধি করি প্রবল শীত পরেছে, কত মানুষ কষ্টে আছে। তখন মনে হয় এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো দরকার। তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো দরকার। কিন্তু ব্যস্ত দিনশেষে বাসায় ফিরে কম্বলের ভিতরে ঢুকে গেলে ভুলে যাই সেই উপলব্ধিটা, কিন্তু শীতার্ত ঐ মানুষগুলো কিন্তু তখনো অপেক্ষায় থাকে। আশায় থাকে শহরের মানুষগুলো নিশ্চয় তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে, তার শিশুটিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে। যেই মানুষগুলো ঠিক মত দুই বেলা খাবার যোগার করতে পারে না, শীতবস্ত্র কেনার মত যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের পাশে নিশ্চয় আমরা এসে দাঁড়াবো। ছাউনিহীন, বস্ত্রহীন মানুষ একটুকরো গরম কাপড়ের জন্য ছুটে চলে হন্যে হয়ে। প্রচণ্ড শীতে হাস্যোজ্জ্বল শিশুমুখগুলো থেকে হারিয়ে যায় হাসি। এই যখন অবস্থা এর উল্টো চিত্রও আছে। এই বাংলাদেশেই। শীত উপভোগে ভ্রমণ, পার্বণ কত কত আয়োজন। আমরা তাদের সে আনন্দ উৎসব বন্ধ করতে বলছি না বা তাদের উৎসবের সঙ্গী করতেও বলছি না। শুধু বলতে চাই আপনাদের উৎসব দেখে তাদের যেন কান্না না পায় সেই ব্যবস্থাটা তো করতে পারেন। যারা ভালো আছে তাদের জন্য শীত মানে নতুন কিছু নয় ঋতুর পরিবর্তন মাত্র কিংবা বিনোদন ও উৎসব পার্বণ । কিন্তু বাংলাদেশের যারা ভালো থাকে না তাদের জন্য ঋতুর এই পরিবর্তন শীত হচ্ছে ঠাণ্ডার সাথে যুদ্ধ করা । যাদের কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য যোগাড় করাই মূল বেঁচে থাকা সেখানে শীত থেকে বাঁচার কোন অস্ত্র তাদের নেই । বাংলাদেশের নিঃস্ব এই মানুষগুলোর কষ্ট শুধু দেখলে আর জানলেই হবেনা তাদের পাশে আমরা অবশ্যই দাঁড়াবো কারন আমরা সবাই মানুষ । এই সব নিঃস্ব মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট আমাদের শুধু কাঁদাবে না বরং জাগাবে, চেতনার দুয়ার খুলে দিবে ।
আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা শীতে প্রচন্ড কষ্ট পায় গরম কাপড় বা কম্বলের অভাবে।
২০১০ সালে "সামহোয়ারইন ব্লগারদের উদ্যোগে" ব্যপক ভাবে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়। পোস্ট স্টিকি করার মাধ্যমে সামু কর্তৃপক্ষ তথা জানা আপা এই কার্যক্রম সফল করতে এগিয়ে আসে। ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন ও সহযোগীতায় সেবারের কার্যক্রম সফল ভাবে সম্পন্ন হয় । প্রবাসী ব্লগারদের অংশগ্রহন ছিল চোখে পরার মত। ২০১১ সালে সম্মিলিত ভাবে না হলেও বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ব্লগারগন উদ্দোগী হয়ে আর্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছেন।
২০১০ সালে আমরা লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী একটি গ্রামে এই কার্যক্রম চালাই।
২০১২ সালে লক্ষীপুর জেলার মজুচৌধুরীর হাট নামক জায়গার মেঘনা তীরবর্তী স্থানে এই কার্যক্রম চালানো হয় এখানে প্রায় ১০০টি পরিবার আছে যারা নৌকায় বাস করে এবং মাছ ধরে জিবীকা নির্বাহ করে। গত বছরও পোস্ট স্টিকি করার মাধ্যমে সামু কতৃপক্ষ এ কার্যক্রম এ সাহায্য করেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যঃ Click This Link
তাই এবারো আমরা সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগাররা উদ্যোগ নিয়েছি। এবার শীতে যেসব নিঃস্ব মানুষ ঠাণ্ডায় কষ্ট পাবে তাদের জন্য আমরা সাধ্যমত পাশে থাকবো। কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শীতবস্ত্র বিতরণ। আমরা বস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহ করব এবং তা পৌঁছে দিব শীতার্ত মানুষগুলোর কাছে। আপনার আমার বাতিল হয়ে যাওয়া একটা সোয়েটার বা জ্যাকেট, একটা নষ্ট হয়ে যাওয়া কম্বল বা চাদরই হতে পারে তাদের কাছে মহামূল্যবান বস্তু, শীতের হিমের সাথে লড়াই করার অস্ত্র। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রতিদিনের বাড়তি খরচ থেকে ১টি করে টাকা দিলেও এই শীতার্ত মানুষগুলো আর বস্ত্রহীন থাকে না। তাই আপনাদের সকলের অংশগ্রহন একান্তভাবে কামনা করছি।
যোগাযোগ করুনঃ
বাংলার হাসানঃ ০১৯১২৪৭১৪৩৩ (ধানমন্ডি)
আজমান আন্দালীবঃ ০১৭২৭২৬২১৯৫ (সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি,সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া)
হুপফুলফরইভারঃ ০১৭১৭৬৫০২৪০ (উত্তরা, খিলক্ষেত)
জামিনদারঃ ০১৭৩২৬৩৯৩৭৩ (নোয়াখালি)
মৈত্রীঃ ০১৯১৭৩১৫৮৪২ (মোঃপুর,ধানমন্ডি, কলাবাগান, লালমাটিয়া)
ছোট মির্জাঃ ০১৬১১৩০০০০৩ (ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ)
সুপান্থ সুরাহীঃ ০১৯১৩৮৪৩৩৫৬ (ময়মনসিংহ)
পাভেল হকঃ ০১৭৩০৩৩৩৭৬৯ (টঙ্গী, গাজিপুর, উত্তরা)
গরম কফিঃ ০১৭৫৫৫৭৯১৭৯ (চট্টগ্রাম)
মোঃ সালাহউদ্দিন ফয়সালঃ ০১৯১১৭৩১৩৮৪ (চাঁদপুর)
আব্দুল্লাহ নাটোরঃ ০১৭৪০-৯৪৬৮৮৮ (নাটোর)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



