(১)
আহ্ তোমার কথা বলতে বলতে রাস্তার মোড়ে তোমার সাথে দেখা – অদ্ভুত এই যোগাযোগ
নাকে বনফুলের অচেনা গন্ধের পরমানু এসে ছোঁয়
মায়া আর ম্যাজিকের আদিম অরণ্যে হরিণীর বিদ্যুত ঝলকে আমি এক দিকভ্রান্ত নিষাদ
রিক্সাওয়ালার হাতে পাঁচের বদলে পাঁচশত তুলে দিয়ে বলি এই শহরের প্রতিটি গলিঘুপ্চিতে আমাকে নিয়ে চল – আজ আমার হরিন শিকার
বুনো কুকুরের মত পরমানু গণ্ধ শুঁকে তোকে আজ খুঁজে বার করবই আমি
(২)
তুমি এ্যাত ঘুড়ে ঘুড়ে পাখী আর নদী দেখো কেনো –
তোমাদের দেশে কি পাখী আর নদীরা কথা কয় –
সেই ভাষা তুমি বুঝতে যাও, বুঝতে চাও
তাহাদের ভাষা বোঝে ঝিঁঝিঁ আর ঝিমঝিমে রোদ
তবে তুমি রোদ আর ঝিঁঝিঁ পোকা হও
পাখীদের নদীদের গোপন গহন সঙ্গীত করে পান
আকন্ঠ মাতাল ঝিঁঝিঁগুলি কেমন মশগুল দেখো
আর কেমন ঝলকায় নদীর কায়ায় মাতাল রোদেরা
(৩)
তীব্র তিক্ষ্ম শীতে কাঠবিড়ালিরা সব লুকিয়ে পড়েছে গাছের কোটরে-কন্দরে
পার্কে এখন আসেনা আর কেউ – উচ্ছিষ্ট পিট্জা নিয়ে আর নেই কোন হল্লা
অথবা চিড়িক করে ডোওনাটের টুকরো নিয়ে এক দৌড়ে গাছের মগডালে চড়া নেই
কাঠবিড়ালগুলি ফিরবে সোনারোদ মেখে ন্যাড়া ন্যাড়া গাছগুলি যখন পল্লবিত হবে পুনরায়
আগামী বসন্তে শিশুরা খেলবে ঘাসে, ছুটবে কাঠবিড়ালীর পিছু পিছু...
ততদিন পর্য্যন্ত দীর্ঘ শীতনিদ্রা, বিদেহী ঘুম – মৃত্যুর তুহিন অন্তরে একমুষ্ঠি অসীম জীবন
(৪)
হাতে রাখো হাত চোখে রাখো চোখ
মিলনে হোক সমাপ্তি
বিরহের গান
অশ্রুমোচন
নিরাশ্বাস
পানি প্রত্যাহার
মরুকরণ
সবুজ সমারোহে ভরে উঠুক শুষ্ক উঠোন।
(৫)
তুষারে ছেঁয়ে আছে সবুজ গলফ্ মাঠ – এখন স্কেট করবে ছেলেরা
তুষারের বল ছোরাছুরি আর বেদম হৈচৈ করবে লাল সবুজ উলে বোনা শিশুরা
ঠান্ডায় ওদের গালগুলি দালিমের মত লাল
অনেক উচুঁতে উড়ছে আকাশে বলাকা – ওরা বুঝি পরিজায়ি পাখীর ঝাঁক
ফাঁকি দিয়ে যত কাষ্টমস আর ট্রাভেল এজেন্ট চলেছে উষ্ণ ক্যারিবিয়া অথবা হনুলুলু
আমরাও একঝাঁক সূর্য্য বুভুক্ষু পরিজায়ী মানব
এই তুহিন তুষারের দিনে আকাশ বিহারী চকর
আমাদের চোখেও এখন কর্কটক্রান্তির তপ্ত বালির স্বপ্ন মৃদুমন্দ ওম দেয়
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪৫