এসেছে বৈশাখ, মিলেছে খুশির মেলা বাংলার প্রতিটি মানুষের মনের মণি কোঠায়।
গ্রাম থেকে শুরু করে শহড় পর্যন্ত ছড়ানো প্রতিটি বিপণী বিতানের আমেজ দেখে বুঝাই যায় যে, প্রতি বছরের ন্যয় এবারও বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে পহেলা বৈশাখের আমেজ ছড়িয়ে পরছে। সবাই পান্তা ইলিশ খাওয়ার জন্য নূন্যতম একটি ছোট কি, বড় ইলিশ কেনার পেছনে ছুটছে। কেউ কিনতে পারছে আবার কেউ ফিরে আসছে খালি হাতে। কেউ আবার ঝাটকা ইলিশ দিয়ে ইলিশের স্বাদ মেটানো কথা ভাবছে। এসব কিছু দেখে আমার মনেও একটু আধটু বৈশাখী আমেজ বিরাজ করছে। মনে পরছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।”
কবিতাটি। মাঝে মাঝে একা বসে বসে এসো হে বৈশাখ এসো এসো........গাণটির সাথে সুর মেলানোর চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে মিলিয়েও ফেলছি। মনে পরছে ছোট সময়ের আবদার গুলো যেমন, কাকাদের হাতে ধরে মাটির ব্যংক, মাটির ঘোড়া, মাটির হাড়ি, কেনা। আবার সেগুলোকে সাজিয়ে রাখা। আবার কিছুদিন পরে ভেঙ্গেগেলে ভাঙ্গা খেলনা গুলো নিয়ে আফসোস করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এখন আর সেই আবদারগুলো করা হয়না। হয়না কোন বৈশাখী মেলায় যাওয়া........................। সকলেই বাঙ্গালী হিসেবে, বাঙ্গালী সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পহেলা বৈশাখ উধযাপন করি আর শিশুরাও সাথে সাথে তা উপভোগ করে। কিন্তু কিছু কিছু অপসংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের এই আন্ন্ধঘণ মুহুর্ত গুলোকে বিষিয়ে তুলে। আসুন আমরা অপসংস্কৃতির মিশ্রণ রোধকরে আমাদের ঐতিহ্যকে সামাজিকভাবে উধযাপনের মাধ্যমে ছোটদের কাছে তুলিধরি। সকলকে বৈশাখী পান্থা-ইলিশের শুভেচ্ছা। আসা রাখি বাংলার প্রতিটি মানুষ বৈশাখকে মনভরে উপভোগ করবে।