সে অথবা তারা এসে ঘুরে গিয়েছিল,
প্রস্তর যুগের কিছু ব্যথা সঙ্গী করে বলেছে-
এ তোমার শেওলা- যার গালিচায় কূচক্রী হামাগুড়ি বারে বারে ।
কিন্তু নিযুত লোনায় যা হয়েছে আজ কঠিন,
সময় পাপ যে উল্টো নয়, তাই হয়তো ধন্য- নিয়ম ভাঙ্গা নিবন্ধিত ঘুড়ি ।
সুবিন্যস্ত উদ্যান এলোমেলোয় বিঁধেছে,
সে অথবা যাদের তরে স্বপ্ন বিলোয়ে নিঃস্ব,
সেকেন্ডের কাটাও কেঁদে ওঠে ,তুমি যদি চাও সে থেকে !
তাদের চাওয়া চাষ করে অন্যের চোখে কাজল,
সে দৃষ্টিতে পৃথিবী হয় দূরত্বের শেষ পথে-
যেন চায় যে- দেখা হবে জীবন দায়ে- হয়তো ওপারে,
জেনেছেও তারা সেখানটা নিমগ্ন- সূত ছেঁড়া সম্পর্কে ।
এক পশলা বৃষ্টির দেখা পেলেও কী হবে বিস্তর মরু সমগ্রে !
লুটিয়ে পড়ে- পাওয়া সেই সবুজ-রঙিন উদ্যানের সকল সকাল,
কোন একসময় তাদের গায়ে মেখে পাখিরা সুর তুলে যেন মরে যেত,
আজ সেখানে কোন নীড় নেই, যার তরে বুনে যাওয়া যেত শতাব্দী সুখ ।
নীরবের বুকে লাল-নীল ঝরে, প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় উত্তপ্ত বেশী অবিশ্বাস,
দীর্ঘকালে এখনো তাই সে অথবা তারা রূপে সান্নিধ্য মেলে না কঠিনে চাওয়াতেও ।
এ তো অপরাধ নয়, ক্ষণে ক্ষণে কাঁটাতারে যে হয়েছে ওদের দূরের শেষ রাত্রি,
সর্বহারা বেহালা-বাদ্যে সকল সুর যখন ক্লেদ মেখেও তুলেছে স্পর্শে মধুর ঝঙ্কার-
সেখানে ওরা সরবে বলেছে মূল্যহীন নয়তো আমরা- তার তরে কেন তবে ?
-চেয়ে দেখ সময়ের হাস্যে এসেছে কতশত রূপ-ছন্দে ঝিকিমিকি-ঝলমল;
চলো তবে গায়ে মেখে হই তাদের বাদ্য, সেভাবে সকলে নিজেকে বিলিয়েছে সুরে সুরে,
কেউ হয়না তো নিজের কান্না- মিলিয়ে গেছে তারা, আমি তা দেখি- সেখানে শুধু হাসি, কূলহারা নৃত্য পগলপারা ।
তাদের কী সুখ স্পর্শ !- মিশে মিশে একাকারে, তারা যেন হয়েছে নিজেকে হারিয়ে সুখ আবিষ্ট,
শুধু এই কপোল চেয়ে থাকে কী যেন নেই, কী যেন নেই বলে- বিরহী আত্মাকে লুকানো সমুদ্রে ডুবিয়ে,
সে ভাবে- ওরা তো আমার, আমি তা বলিনি; কিন্তু ওরা তো স্বকীয় নয়, ওরা তো হয়েছে সুখদাসী ।
আমাকে বিদায়ে যে সূতো ছিঁড়েছে, সে ফিরবে না; কোন গহীনে আঁচড়ে পড়ে তার উদ্যানে হয়েছে মাতাল ,
ভুলে করেছি এতো সব কল্পনা, বাকসে সাজানো আল্পনায় হবে না আমার অমৃত নৃত্য, সেখানে সেই সুর নেই ।
তাই নিঃশব্দ বাঁধাই করা বুককে পুঁজি করে সুর্যকে পথ ভেবে ধীর লয়ে হেঁটে চলেছি,
সূর্য ডুব দেবে ঐখানের সমুদ্রে, পথে আবারও চক্ষু হারাবে, পরের তরে আবারও যদি সে সূর্য জাগে-
তবে হয়তো এই চক্ষুও ক্ষণিক সূর্যের মালিক হবে, আবারও পথ পাবে সেই সমুদ্র নয়নের চাহনিতে,
এভাবে চলবে... চলতে... চলতে... সমুদ্র এবং সূর্যকে অপরাধী সাক্ষী রেখে চিরস্থায়ী পাবে নিজস্ব ।