somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেওয়ানবাগী, চরমোনাই এবং মাইজভান্ডারী পীরের পোষ্টমর্টেম ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন ধরে অনেক খোজা খুজির পর পিরের থিছিসটা শেষ করলাম । আশা করি বুঝতে পারবেন ।

“হাক্কানী পীর” বনাম “ভন্ড পীর”

দেওয়ানবাগী, চরমোনাই এবং মাইজভান্ডারী পীরের পোষ্টমর্টেমঃ

আমাদের এই উপমহাদেশে বহুকাল ধরে ইসলামের লেবাস ধরে পীর-মুরিদীর ব্যাবসা চলে আসছে। কেউবা নিজেকে দাবি করছে হক্কানী পীর আবার কেউবা নিজেকে মুক্তির কান্ডারী হিসেবেও জাহির করছে! মূলত এরা সবাই ধর্মের লেবাস ধরে শতাব্দীর পর শতাব্দী নিজেদের বিনা পূঁজির ব্যাবসা টিকিয়ে রাখছে যেখানে এদের অনেকেই মোশরেক, আবার একমাত্র হক্কানী তেলের ডিলারধারী হয়েও চরম ফাসেক। আসুন দেখে নেই এই ধর্ম ব্যাবসায়ী পীরদের আকীদা কি?

দেওয়ানবাগী মোশরেকের আকিদাঃ-

১. “দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দক্ষিন দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, “হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।”
[সূত্রঃ রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেনঃ দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]

২. “একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার
তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরু হয়ে আছে। আমি আরো লক্ষ্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন
না? আমি বললাম, জী, দেব। তিনি বললেন, তাহলে দিন
না। এভাবে বারবার তিনবার বলায় আমি এক একটা করে পাতা পরিষ্কার করে দেই। এরপর আমার তন্দ্রা ভেঙে যায়।”
[সূত্রঃ রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন- দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত]

৩. “দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ও তার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়। অতঃপর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে এক মিছিল বের করে।
মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের, যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেনঃ “মোহাম্মাদী ইসলামের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো।”
[সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯]

৪. “অন্তর্দৃষ্টি খোলা এক আশেক দেখতে ছিলেন এই অনুষ্ঠান রাহমাতুলি্লল আলামীন তাশরীফ নিয়েছেন। এবং রাব্বুল আলামীন দয়া করে তাশরীফ নিয়েছেন। রাব্বুল আলামীন এসে একটা নির্দেশ করেছেন যে, এ বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে যত আশেকে রাসূল অংশগ্রহণ করেছেন রাব্বুল আলামীন ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত আশেকে রাসূলদের তালিকা তৈরী করতে। এই তালিকা অনুযায়ী তারা বেহেস্তে চলে যাবে। এটা কি আমাদের জন্য বুলন্দ নসীব নয় কি ? যারা গত বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য কি এটা চরম পাওয়া নয়?”
[সুত্র: মাসিক আত্মার বাণী, নভেম্বর : ১৯৯৯]

৫. দেওয়ানবাগীর একজন খাদেম (নাম
মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী) এক আশেকে রাসুল
সম্মেলনে বলেন- "আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কার কাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন ''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) তার সাথে আছি এবং সর্বক্ষণ থাকি। আর কাবা ঘরও তার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্ দেওয়ানবাগী প্রচার
করতেছেন।”

এখন আপনারাই বলেন, এই পেটমোটা দাজ্জাল মিথ্যুক লোকটা একটা মানুষ নাকি একটা শয়তান????????

চরমোনাই এর শিরকি কুফুরী আকীদাহ -

১. চরমোনাই পীর সাহেব লিখেছেনঃ “হযরত থানবী লিখিয়াছেন, জনৈক দরবেশসাহেবের মৃত্যুর পর এক কাফন চোর কবর খুড়িয়া (দরবেশের) কাফন খুলিতে লাগিল। দরবেশ সাহেব চোরের হাত ধরিয়া বসিলেন। তা দেখে চোর ভয়ের চোটে চিৎকার মারিয়া বেহুঁশ হইয়া মরিয়া গেল। দরবেশ স্বপ্নযোগে তার এক খলীফাকে আদেশ করিলেন
চোরকে তার পার্শ্বে দাফন করিতে। খলীফা এতে আপত্তি করিলে দরবেশ বলিলেনঃ কাফন চোরের হাত আমার হাতের
সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি
কেমনে পুলছেরাত পার হইয়া যাইব?”
(ভেদে মারেফতঃ ২৭-২৮ পৃঃ)
নোট – ভুয়া কাহিনী বলে মানুষদেরকে মুরীদ হয়ে পীরের হাতে পায়ে পড়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। যে দরবেশের হাতে লাগলে দরবেশ যদি একজন চোরকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে পীরের হাতে ধরে মুরীদ হলে কত বড় উপকার পরকালে?

২. তিনি আরো লিখেছেনঃ
কেয়ামতের সেই মহাবিপদের সময় হক্কানী পীর সাহেবগণ আপন মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবেন। এবং হুজুরে আকরাম (সাঃ) তাহাদিগকে হাউজে কাউছারের পানি পান করাইবেন।” (আশেক মাশুক পৃঃ ৬৬)
নোট – কুরান ও সহীহ হাদীসের কোথাও নাই পীরেরা মুরীদগণকে হযরত নবী করীম (সঃ) এর কাছে পৌঁছাইয়া দিবে। মিথ্যা ধোকা দিয়ে মানুষদেরকে মুরিদ বানিয়ে হাদিয়া তোহফা খাওয়ার ফন্দি। ব্যবসা বাণিজ্য না করেই আজকে পীরের গোষ্ঠী কোটি কোটি টাকার মালিক।

৩. চরমোনাই পীর সাহেব আরো লিখেছেনঃ
“ এরূপভাবে পরকালেও তাঁহাদের (ওলীদের) ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। হাশরের মাঠে একজন আওলিয়ায়ে কেরামের উছিলায় হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ছাল্লামের হাজার গুনাহগার উম্মতকে আল্লাহ্ পাক মাফ করিয়া দিবেন।”
(আশেক মাশুক পৃঃ ৮১)
নোট – নবী-রাসুলরাই ইয়া নফসী ইয়া নফসী করবে নিজেদের চিন্তায় – আর ভুয়া কথা বলে আওলিয়ার উসীলায় হাজার হাজার লোক মাফ করে দিবেন। মাফ করার মালিক আল্লাহ, এখানে বলছে নবী (সাঃ) – এই লোকটার মাথা ঠিক আছে কিনা সন্দেহ। একেতো জাল কথা বলে পীরপূজায় লাগাতে চায়, আর নবী মাফ করার মালিক এই শিরকি কথা বলে বেড়ায়?

৪. কথিত হাক্কানী পীর চরমোনাই সাহেব মুরীদ বাড়ানোর জন্যে বলেন, “বান্দা অসংখ্য গুণাহ করার ফলে আল্লাহ্ পাক তাহাকে কবুল করিতে চাননা। পীর সাহেব আল্লাহ্ পাকের দরবারে অুননয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দুআ করিবেন, যাহাতে তিনি তাহাকে কবুল করিয়া নেন।” (ভেদে মারেফতঃ ৩৪ পৃঃ)
নোট – ডাইরেক্ট কুরান, হাদীস ও ইজমা বিরোধী কথা। কেউ ১০০টা খুন করেও যদি তোওবা করে তাকেও আল্লাহ তাআ’লা ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ সুরা যুমারে বলছেন, যারা অনেক বেশী যুলুম (পাপ) করে ফেলেছো তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেনা, এমনও বলেছেন – তোমরা আমাকে ডাকো আমি ডাকে সাড়া দেবো – আর এই পীর সাহেব নামের লোকটা বিনা দলীলে বলে – আল্লাহ নাকি তোওবা কবুল করতে চান না? তাদের মতো ধর্মব্যবসায়ীরা দুয়া করলে আল্লাহ নাকি তোওবা কবুল করবে। এর পরেও অন্ধ পীর ভক্তদের চোখের পর্দা সড়েনা?

৫. চরমোনাই পীরের লেখা ‘ভেদে মারেফত’ বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ শামসুদ্দীন তাব্রীজী নামের এক লোক ছিলেন। লোকেরা তাকে পীর সাহেব কেবলা বলত। একদা হযরত পীর সাহেব কিবলা রোম শহরের দিকে রওয়ানা হইলেন। পথিমধ্যে ঝুপড়ির ভেতর এক অন্ধ বৃদ্ধকে লাশ সামনে নিয়া কাদঁতে
দেখিলেন। হুজুর বৃদ্ধকে প্রশ্ন করিলে বৃদ্ধ উত্তর করিলেন, “হুজুর এই পৃথিবীতে আমার খোঁজ খবর করিবার আর কেউ নাই, একটি পুত্র ছিল সে আমার যথেষ্ট খেদমত করিত, তাহার ইন্তেকালের পর সে একটি নাতি রাখিয়া যায়। সেই ১২ বছরের নাতি একটা গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত, তার লাশ আমার সম্মুখে দেখিতেছেন। এখন উপায় না দেখিয়া কাঁদিতেছি”।. হুজুর বলিলেন এ ঘটনা কি সত্য? বৃদ্ধ উত্তর করিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হুজুর বলিলেন"হে ছেলে আমার হুকুমে দাঁড়াও"।
তো ছেলে উঠে দাঁড়াল এবং দাদুকে জড়াইয়া ধরিল, বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করিল “তুমি কিরূপে জিন্দা হইলে”। ছেলে জবাব দিল, “আল্লাহর
অলি আমাকে জিন্দা করেছেন”।. (নাউজুবিল্ লাহ) তারপর ঐ অঞ্চলের বাদশাহ হুজুরের এই খবর পেয়ে উনাকে তলব করিলেন। উনাকে পরে জিজ্ঞেস করিলেন"আপনি কি বলিয়া ছেলেটিকে জিন্দা করিয়াছেন"। হুজুর বলিলেন আমি বলেছি “হে ছেলে আমার আদেশে জিন্দা হইয়া যাও”। অতঃপর বাদশাহ বলিলেন,
“যদি আপনি বলিতেন আল্লাহর আদেশে”।.
হুজুর বলিলেন “মাবুদ! মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞেস করিব। তাহার আন্দাজ নাই (নাউজুবিল্লাহ)।
এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে, বাকী ছিল এই নাতিটি যে গাভী পালন করিয়া কোনরুপ জিন্দেগী গোজরান করিত, তাহাকেও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি”। (নাউজুবিল্লাহ)।
এরপর বাদশাহ বলিলেন আপনি শরীয়াত মানেন কিনা? হুজুর বলিলেন “নিশ্চয়ই! শরীয়াত না মানিলে রাসূল (সাঃ) এর শাফায়াত পাইব না”।. বাদশাহ বলিলেন, “আপনি শির্ক করিয়াছেন, সেই অপরাধে আপনার শরীরের সমস্ত চামড়া তুলে নেয়া হবে”।. এই কথা শুনিয়া আল্লাহর কুতুব নিজের হাতের অঙ্গুলি দ্বারা নিজের পায়ের তলা থেকে আরম্ভ করে পুরো শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নিলেন, তা বাদশাহর কাছে ফেলিয়া জঙ্গলে চলিয়া গেলেন। পরদিন ভোরবেলা যখন সূর্য উঠিল তার চর্মহীন গায়ে তাপ লাগিল তাই তিনি সূর্যকে লক্ষ করিয়া বলিলেন “হে সূর্য, আমি শরীয়াত মানিয়াছি, আমাকে কষ্ট দিওনা”।. তখন ওই দেশের জন্য সূর্য অন্ধকার হইয়া গেল। দেশের মধ্যে শোরগোল পড়িয়া গেল। এই অবস্থা দেখিয়া বাদশাহ হুজুরকে খুঁজিতে লাগিলেন। জঙ্গলে গিয়া হুজুরের কাছে বলিলেনঃ শরীয়াত জারি করিতে গিয়া আমরা কি অন্যায় করিলাম, যাহার জন্য আমাদের উপর এমন মুসিবত আনিয়া দিলেন। তখন হুজুর সূর্য কে লক্ষ করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমাকে বলিয়াছি আমাকে কষ্ট দিওনা, কিন্তু দেশবাসীকে কষ্ট দাও কেন? ইহা বলা মাত্র সূর্য্য আলোকিত হইয়া গেল। আল্লাহ্ পাক তাহার ওলীর শরীর ভাল করিয়া দিলেন।

মাইজভান্ডারী এর ভণ্ডামিঃ-

এই যে আহলে সুন্নাত বা সুন্নি নামে বর্তমানে বেশ ব্যপক প্রচারনা করছে- তারা মূলত মাইজ ভান্ডারী। এদের আকিদা গুলি নিচে দেওয়া হলঃ-

১. মাইজভান্ডার দরবার শরীফের দেয়ালে লিখা আছে ---
“আমি স্রষ্টার গুনে গুনাম্বিত, তাই প্রকৃতির মত নিরব
(গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী)
নোট – নিজেকে আল্লাহর সাথে তুলনা করেছে এই শোয়তান, বড় শিরিক যার কারণে মানুষ কাফের মুর্তাদ হয়ে যায়।

২. যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে আমি তাকে উন্মুক্ত সাহায্য দান করিব।
(আহমদুল্লাহ মাইজভান্ডারী)

৩. ১৯২৬ সালে গাউছুল আজম (!) হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) মাইজ ভান্ডারীর প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি এর নেতা- ১৯৯১ সনে ১১ এপ্রিল তার প্রকাশিত একটা বই আছে যার নাম ‘বাইয়াতে সামথিং’ সেখানে স্পষ্ট লিখেছেনঃ
“কেউ যদি জান্নাত পেতে চায় তাকে মুসলমান না হলেও চলবে, তাকে ভাল মানুষ হতে হবে”।

নোট – এই শয়তান বলছে – মুসলমান না হলেও চলবে, আর আল্লাহ বলেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করোনা। কার কথা নেবেন, আল্লাহর নাকি এই শয়তান মাযার পূজারী ভন্ডের।

পীরদের দলীল একটাইঃ “যার পীর নাই তার পীর শয়তান।”
এই রকম আটরশি, ফরিদপুরের জাকের পার্টি, কুতুববাগি, হেন তেনরা এমন সব বক্তব্য এবং কথা বলেন এবং তাদের মুরিদদের মাঝে প্রচার করে তা তসলিমার প্রচারিত ও লিখিত মিথ্যা কথা হতে কম কি????

নোট ঃ পির তো সারাদিন মাজারেই বসে থাকে । যেখানে একজন দিনমুজুরের এক দিন কাজ না করলে তার খাবার জুটে না সেখানে পিরের সংসার চলে কিভাবে ? পির বা পিরের মুরিদের কি বউ বাচ্চা নেই ? নাকি তারা চিরো কুমার ? পির আর তার সাথিদের ইনকাম সোর্স্ টা কি তাহলে ?
চলতি সময়ে ধর্ম নিয়ে রমরমা ব্যাবসা চলছে । চলতেই থাকবে কারণ ধর্মের মুল ভিত্তি faith / bishwah . ব্যাবসার মুল ভিত্তি ও faith ।

৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×