somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সালামের নিয়ম-কানুন

১২ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১. কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে যখন সাক্ষাৎ হবে তখন নিজের সম্পর্ক ও সৌহার্দ প্রকাশের জন্য “আসসালামু আলাইকুম” বলবে।

পবিত্র কোরআনে আছেঃ

আরবি

“হে নবী, আমাদের আয়াতের উপর ঈমান রাখে এমন লোকেরা যখন আসে তখন আপনি তাদেরকে “সালামুন আলাইকুম” বলুন”।

(সূরায়ে আন-আনআম)

এ আয়াতে রাসূল (সাঃ) সম্বোধন করে উম্মতকে এ মৌলিক শিক্ষা দান করা হয়েছে যে, এক মুসলমানের সাথে যখন পরস্পর সাক্ষাৎ করবে তখন উভয়েই বন্ধুত্ব ও আনন্দ আবেগ প্রকাশ করবে এবং পরস্পর একে অন্যের জন্য শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দোআ করবে। একজন “আসসালামু আলাইকুম” বলবে তখন অপর ব্যক্তি তার উত্তরে “ওয়া আলাইকুমুস সালাম” বলবে। সালাম পরস্পরিক স্নেহ-মমতা বন্ধুত্ব বৃদ্ধি ও (দৃঢ়) মজবুত করার উপকরণ।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন-

তোমরা বেহেশতে যেতে পারবেনা যে পর্যন্ত তোমরা মুসলমান না হও। আর তোমরা মুসলমান হতে পারবে না যতদিন পর্যন্ত তোমরা অন্য মুসলমানকে ভাল না বাস। আমি তোমাদেরকে সে পদ্ধতি কেন শিক্ষা দেব না, যা অবলম্বন করে তোমরা একে অন্যকে ভালবাস, তাহলো পরস্পর সালাম পৌঁছে দেবে।

(মেশকাত)

২.সর্বদা ইসলামী নিয়মে সালাম করবে। পরস্পর কথোপকথনের কারণে বা চিঠিপত্র লিখনে সর্বদা কুরআন ও হাদীসের শব্দগুলোই ব্যবহার করবে। ইসলামী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সমাজের প্রবর্তিত শব্দ ও পদ্ধতি গ্রহণ করবে না। ইসলামের শিক্ষা দেওয়া এই সম্বোধন পদ্ধতি অত্যন্ত সরল, অর্থবোধক ও পূর্ণ ক্রিয়াশীল ও শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিপূর্ণ।

তুমি যখন নিজের ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের সময় “আসসালামু আলাইকুম” বল, তখন তার অর্থ হলো আল্লাহ আপনার প্রাণ ও সম্পদ নিরাপদ করুন! ঘর সংসার নিরাপদ রাখুন! পরিবার-পরিজনকে শান্তি দান করুন! দীন ও ঈমান এবং পরকালেও নিরাপদ রাখুন। আল্লাহ আপনাকে সেই সকল শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন যা আমার জানা নেই। আপনি আমার পক্ষ থেকে কোন ভয়-ভীতির আশঙ্কা করবেন না। আমার কার্যক্রম দ্বারা অবশ্যই আপনার কোন দুঃখ হবে না। ‘সালাম’ শব্দের আগে ‘আলিফ ও লাম’ এনে আসসালামু আলাইকুম” বলে আপনি সম্বোধিত ব্যক্তির শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের জন্যে দোআ করে নিন।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন-

“আস সালাম” আল্লাহ তাআলার নামসমূহের মধ্য থেকে একটি নাম যাকে আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের জন্য রেখে দিয়েছেন। সুতরাং ‘আসসালাম’ কে জড়িয়ে দাও।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) বলেছেন য রাসূল (সাঃ) বলেছেন আল্লাহ তাআলা যখন হযরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন তখন তাকে ফিরিশতাদেরকে সালাম করো। আর সালামের জবাবে তারা যে দোআ করবে তা শুনবে আর তা মুখস্তও করবে, কেননা ইহাই তোমার ও তোমাদের সন্তান-সন্ততির দোআ হবে। সুতরাং হযরত আদম (আঃ) ফিরিশতাদের নিকট পৌঁছে “আসসালামু আলাইকুম” বললেন এবং ফিরিশতাগণ তার উত্তরে বললেন, “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” অর্থাৎ ওয়া রাহমাতুল্লাহ বেশী বলে উত্তর দিলেন।

(বুখারী, মুসলিম)

পবিত্র কুরআনে আছে যে, ফিরিশতাগণ যখন মুমিনের রূহ কবয করতে আসে তখন “সালামুন আলাইকা” বলেন।

আরবি

“আল্লাহ তাআলা পুণ্যবানদেরকে (মুত্তাকীগণকে) এরূপ পুরষ্কার দেন যাদের রূহ পবিত্রবস্থায় ফিরিশতাগণ কবজ করেন, তারা বলবে, “সালামুন আলাইকুম” (তোমাদের উপর শান্তি) তোমরা যে নেক আমল করতে তার বিনিময়ে বেহেশতে প্রবেশ কর।

(আননাহল ৩১-৩২)

এ মুত্তাকী লোকেরা বেহেশতের দরজায় যখন পৌঁছব তখন জান্নাতের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতাগণ তাদেরকে জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন।

আরবি

“আর যারা পবিত্রতা ও আল্লাহ ভীতির উপর জীবন যাপন করে তাদের দলকে অবশ্যই বেহেশতের দিকে রওয়ানা করিয়ে দেয়া হবে। তারা জান্নাতের নিকটবর্তী হলে বেহেশতের দরজা খুলে দেয়া হবে এবং বেহেশতের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতাগণ বলবেন, “সালামুন আলাইকুম” (তোমাদের উপর শান্তি) সুতরাং তোমরা অনন্ত কালের জন্য এখানে প্রবেশ কর”।

(সূরায়ে যুমার ৭৩)

এ সকল লোক যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন ফিরিশতাগণ বেহেশতের প্রতিটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করে তাদেরকে বলবে, “আসসালামু আলাইকুম”।

আরবি

আর ফিরিশতাগণ তাদের জানানোর জন্য প্রত্যেক দরজা দিয়ে আসবেন আর তাদেরকে বলবেন, “সালামুন আলাইকুম”। আপনারা যে ধৈর্য্যধারণ করেছেন তার বিনিময়ে পুরষ্কার পরকালের ঘর কতই না সুন্দর।

বেহেশতবাসীগণ নিজেরাও একে অন্যকে এ শব্দগুলো দ্বারা অভিবাদন জানাবেন-

আরবি

তাদের মুখে এ দোআও হবে, “আয় আল্লাহ! আপনি মহা পবিত্র আর সেখানে অভিবাদন হবে সালাম”।

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেও বেহেশতাবাসীদেরকে সালাম জানানো হবে।

আরবি

“জান্নাতবাসীগণ সেদিন আরাম ও আয়েশে মত্ত থাকবে। তারা ও তাদের বিবিগণ ছায়া ঘন সুসজ্জিত খাটে হেলান দিয়ে থাকবে। তাদের জন্য বেহেশতে সর্বপ্রকার ফল মূল এবং তারা যা চাইবে তাই পাবে। মহান দয়ালু প্রতিপালক আল্লাহর পক্ষ থেকে “সালাম” বলা হবে”।

(সূরায়ে ইয়াসীন ৫৫-৫৮)

মোটকথা এই যে, জান্নাতে মু’মিনদের জন্য চতুর্দিক থেকে শুধু সালামের ধ্বনি প্রত্ধ্বিনিত হবে।

আরবি

“তারা সেখানে অনর্থক বাজে কথা ও গুনাহের কথা শুনবেনা। চতুর্দ্দিক থেকে শুধু ‘সালাম’ হবে”।

(ওয়াকেআহঃ ২৫-২৬)

পবিত্র কুরআন ও হাদীসের এ সকল উজ্জ্বল হেদায়েত ও সাক্ষ্য থাকার পরও মুমিনের পক্ষে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশিত পদ্ধতি ছেড়ে বন্ধুত্ব ও আনন্দ প্রকাশের জন্য অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করা জায়েয নয়।

৩. প্রত্যেক মুসলমানকে সালাম করবে তার সাথে পূর্ব থেকে পরিচয় ও সম্বন্ধ থাকুক বা না থাকুক। সম্পর্ক ও পরিচিতির জন্য এতটুকু কথাই যথেষ্ট যে সে আপনার মুসলমান ভাই আর মুসলমানের জন্য মুসলমানের অন্তরে বন্ধুত্ব একাগ্রতা এবং বিশ্বস্ততার আবেগ থাকাই উচিৎ।

এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলো, ইসলামের মধ্যে উত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, “গরীবদেরকে আহার করানো, প্রত্যেক মুসলমানকে সালাম করা, তার সাথে জানা শোনা থাকুক বা না থাকুক”।

(বুখারী মুসলিম)

৪. আপনি যখন আপনার ঘরে প্রবেশ করবেন তখন পরিবারস্থ লোকদেরকে সালাম করবেন।

পবিত্র কোরআনে আছে-

আরবি

তোমরা যখন তোমাদের ঘরে প্রবেশ করবে তখন প্রথমে ঘরের লোকদের সালাম করবে। কেননা ইহা তোমার ও তোমাদের পরিবারস্ত লোকদের জন্য শুভ ফল ও প্রাচুর্যের উপায়”।

(তিরমিযি)

অনুরূপ তুমি অন্যের ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে সালাম করবে, সালাম করা ব্যতীত ঘরের ভেতর যাবে না।

আরবি

“হে মুমিনগণ! তোমাদের ঘর ব্যতীত অন্যের ঘরে তাদের অধিবাসীদের অনুমতি ছাড়া এবং সালাম করা ব্যতীত প্রবেশ করবে না।

(সূরা আন নূরঃ২৭)

হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর নিকট ফিরিশতাগণ যখন সম্মানিত মেহমান হিসেবে আসলেন তকন তাঁরা এসে সালাম করলেন আর ইব্রাহীম (আঃ) সালামের জবাবে তাদেরকে সালাম করলেন।

৫. ছোট শিশুদেরকেও সালাম করবে। শিশুদেরকে সালাম শিক্ষা দেয়ার উত্তম তরীকাও রাসূল (সাঃ)-এর সুন্নাত। হযরত আনাস (রাঃ) শিশুদের নিকট দিয়ে যাবার সময় সালাম করলেন এবং বললেন, রাসূল (সাঃ) এরূপই করতেন।

(বুখারী মুসলিম)

হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) চিঠিতেও শিশুদেরকে সালাম দিতেন।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

৬. মহিলারা পুরুষদেরকে সালাম করতে পারে, আর পুরুষ ও মহিলাদেরকেও সালাম করতে পারে। হযরত আসমা আনসারীয়া (রাঃ) বলেছেন যে, আমি আমার সাথীদের সাথে বসা ছিলাম, রাসূল (সাঃ) আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এমতাবস্থায় তিনি আমাদেরকে সালাম করলেন।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

হযরত উম্মে হানী (রাঃ) বলেছেন যে, আমি রাসূল (সাঃ)-এর দরাবারে হাযির হলাম, তিনি ঐ সময় গোসল করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম,তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে? আমি বললাম, উম্মেহানী! তিনি বললেন, শুভাগমন!

৭. বেশী বেশী সালাম করার অভ্যাস গড়ে তুলবে এবং সালাম করার ব্যাপারে কখনো কৃপণতা করবে না। পরস্পর বেশী বেশী সালাম করবে। কেননা সালাম করার দ্বারা বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পায়। আর আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রকার বিপদাপদ থেকে রক্ষা করেন।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন-

আমি তোমাদেরকে এমন এক পদ্ধতি শিক্ষা দিচ্ছি যা অবলম্বন করলে তোমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা মজবুত হবে, পরস্পর একে অন্যকে সালাম কর।

(মুসলিম)

রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন যে, “সালামকে খুব বিস্তৃত কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে শান্তিতে রাখবেন”।

হযরত আনাস (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূল (সাঃ)-এর সাহাবীগণ অনেক বেশী সালাম করতেন। অবস্থা এরূপ ছিল যে,তাঁদের কোন সাথী যদি গাছের আড়াল হয়ে যেতেন অতঃপর আবার সামনে আসলে তাঁকে সালাম করতেন।

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে সে যেন তাকে অবশ্যই সালাম করে। আর যদি গাছ অথবা দেয়াল অথবা পাথর আড়াল হয়ে যায় অতঃপর আবার তার সামনে আসে তাহলে তাকে আবার সালাম করতেন।

(রিয়াদুস সালহীন)

হযরত তোফাইল (রাঃ) বলেছেন যে, আমি অধিকাংশ সময় হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)-এর খেদমতে হাযির হতাম এবং তার সাথে বাজারে যেতাম। অতঃপর আমরা উভয়ে যকন বাজারে যেতাম তকন হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) যার নিকট দিয়েই যেতেন তাকেই সালাম করতেন, চাই সে কোন ভাঙ্গা চুড়া কম দামী জিনিস বিক্রেতা হোক বা বড় দোকানদার হোক, সে গরীব ব্যক্তি হউক বা নিঃস্ব কাঙ্গাল ব্যক্তি হোক। আসল কথা যে কোন ব্যক্তিই হোক না কেন তাকে অবশ্যই সালাম করতেন।

একদিন আমি তাঁর খেদমতে হাযির হলে তিনি আমাকে বললেন, চল বাজারে যাই। আমি বললাম হযরত আপনি বাজারে গিয়ে কি করবেন? আপনি না কোন সদায় ক্রয় করার জন্য দাঁড়ান, না কোন জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞসাবাদ করেন, না দাম-দস্তুর করেন, না বাজারের কোন সমাবেশে বসেন, আসুন এখানে বসে কিছু কথা-বার্তা বলি। হযরত বললেন, হে পেটুক! আমি তো শুধু সালাম করার উদ্দেশ্যেই বাজারে যাই, যার সাথেই আমাদের সাক্ষাৎ হবে তাকেই সালাম করব।

(মুয়াত্তা ইমাম মালেক)

৮. সালাম মুসলমান ভাইয়ের অধিকার মনে করবে আর সে অধিকার আদায় করা অন্তরের প্রশস্ততার প্রমাণ দেবে। সালাম দেয়ায় কখনো কৃপণতা করবে না।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে, মুসলমানের উপর এই অধিকার আছে যে, সে যখনই মুসলমান ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখনই তাকে সালাম করবে।

(মুসলিম)

হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) বলেছেন যে সব চাইতে বড় কৃপণ হলো সে, যে সালাম করতে কার্পণ্য করে।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

৯. সর্বদা আগে সালাম করবে, সালামে অগ্রগামী হবে। আল্লাহ না করুন! কারো সাথে কোন সময় যদি মনের অমিল হয়ে যায় এজন্য সালাম করা ও আপোষ মীমাংসায় অগ্রগামী হবে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন-

“সে ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী যে আগে সালাম করে”।

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ কোন মুসলমানের জন্য এটা জায়েয নয় যে, সে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকবে উভয়ের যখন সাক্ষাৎ হয় তখন একজন একদিকে যাবে আর অন্যজন আরেক দিকে, এদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্টতম যে সালাম করায় অগ্রগামী হয়।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) সালাম করার এত গুরুত্ব প্রদান করতেন যে, কোন ব্যক্তিই তাকে আগে সালাম দিতে পারতো না।

১০. মুখে “আসসালামু আলাইকুম” বলে আর একটু উচ্চস্বরে সালাম করবে যেন যাকে সালাম করছ সে শুনতে পায়। অবশ্য কোথায়ও যদি মুখে “আসসালামু আলাইকুম” বলার সাথে সাথে হাত অথবা মাথায় ইশারা করার প্রয়োজন হয় তবে তাতে কোন ক্ষতি নেই। তুমি যাকে সালাম করছ সে তোমার দূরে অবস্থিত, ধারণা করছ যে, তোমার আওয়ায সে পর্যন্ত পৌঁচবে না অথবা কোন বধির যে তোমার আওয়ায শুনতে অক্ষম এমতাবস্থায় ইশারা করবে।

হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেছেন যে, কাউকে যখন সালাম কর তখন তোমরা সালাম তাকে শোনাও। সালাম আল্লাহর পক্ষ থেকে অত্যন্ত পবিত্র ও বরকতময় দোআ।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেছেন যে, একদিন রাসূল (সাঃ) মসজিদে নববীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং সেখানে কিছু মহিলা বসা ছিল তিনি তাদেরকে হাতের ইশারায় সালাম করলেন।

(তিরমিযি)

১১. কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে কারো বৈঠকে অথবা বসার স্থানে পৌঁছলে অথবা কোন সমাবেশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অথবা কোন মজলিসে পৌঁছলে পৌঁছার সময়ও সালাম করবে এবং সেখান থেকে যখন ফিরে আসবে তখনও সালাম করবে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন-

“তোমরা যখন কোন মজলিসে পৌঁছ তখন সালাম কর আর যখন সেখান থেকে বিদায় নেবে তখনও সালাম করবে।

আর স্মরণ রেখো যে, প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম থেকে বেশী সওয়াবের অধিকারী। (যাবার সময় সালামের বেশী গুরুত্ব দেবে আর বিদায় হবার সময় সালাম করবে না এবং বিদায় বেলার সালামের কোন গুরুত্বই দেবে না।)

(তিরমিযি)

১২. মজলিসে গেলে পূর্ণ মজলিসকে সালাম করবে বিশেষভাবে কারো নাম নিয়ে সালাম করবে না। একদিন হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) মসজিদে ছিলেন, এক ভিক্ষুক এসে তার নাম ধরে সালাম করলো। তিনি বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন, “রাসূল (সাঃ) প্রচরের হক আদায় করে দিয়েছেন” অতঃপর তিনি ঘরে চলে গেলেন। লোকেরা তার একথা বলার উদ্দেশ্য কি তা জানার জন্য অপেক্ষায় বসে রইল। তিনি যখন আসলেন তখন হযরত তারেক (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, জনাব আমরা আপনার কথার উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনি তখন তিনি বললেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “কিয়ামতের নিকটবর্ত্তী সময়ে লোকেরা মজলিসে লোকদেরকে বিশেষভাবে সালাম করা আরম্ভ করবে”।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

১৩.কোন সম্মানিত অথবা প্রিয় বন্ধুকে অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা সালাম করার সুযোগ হলে অথবা কারো চিঠিতে সালাম লিখার সুবিধা হলে এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে এবং সালাম পাঠাবে।

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূল (সাঃ) আমাকে বলেছেনঃ আয়েশা, জিবরীল (আঃ) তোমাকে সালাম করেছেন, আমি বললাম, “ওয়া আলইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু”।

(বুখারী, মুসলিম)

১৪. তুমি যদি এমন কোন স্থানে গিয়ে পৌঁছো যেখানে কিছু লোক ঘুমিয়ে আছে তা হলে এমন আওয়াযে সালাম করবে যে, লোকেরা শুনবে এবং নিদ্রিত লোকদের ঘুমের ব্যাঘাত হবে না। হযরত মেদাদা (রাঃ) বলেন, যে, আমরা রাসূল (সাঃ) এর জন্য কিছু দুধ রেখে দিতাম তিনি যখন রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আসতেন তখন তিনি এমনভাবে সালাম করতেন যে, নিদ্রিত ব্যক্তিরা যেন না জাগে এবং জাগ্রত ব্যক্তিরা যেন শুনে। অতঃপর রাসূল (সাঃ) আসলেন এবং পূর্বের নিয়মানুযায়ী সালাম করলেন।

(মুসলিম)

১৫. সালামের জবাব অত্যন্ত সন্তুষ্ট চিত্তে ও হাসিমুখে দেবে কেননা এটা মুসলমান ভাইয়ের অধিকার, এ অধিকার আদায় করায় কখনো কার্পণ্য দেখাবে না।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন-

মুসলমানের উপর মুসলমানের পাঁচটি অধিকার রয়েছে-

সালামের জবাব দেয়া
অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
কফিনের সাথে যাওয়া
দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির জবাব দেওয়া।

রাসূল (সাঃ) রাস্তায় বসতে নিষেধ করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের তো রাস্তায় বসা ছাড়া উপায় নেই! তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমাদের বসা যদি খুব জরুরী হয় তাহলে বসো, তবে রাস্তার হক অবশ্যই আদায় করবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ), রাস্তার আবার হক কি? তিনি বললেন, দুষ্টি নিচে রাখা, কাউকে দুঃখ না দেয়া, সালামের জবাব দেয়া, ভাল কাজ শিক্ষা দেয়া আর খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে।

(মুত্তাফিকুন আলাইহে)

১৬. সালামের জবাবে “ওয়াআলাইকুমুস সালাম” কেই যথেষ্ট মনে করবে না বরং “ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু” এ শব্দগুলোও বৃদ্ধি করবে।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-

আরবি

“আর যখন তোমাদের কেউ শুভেচ্ছা জানায় তখন তোমরা তার থেকে উত্তম শুভেচ্ছা জানাবে অথবা তারই পুনরাবৃত্তি করবে”।

অর্থাৎ সালামের জবাবে কার্পণ্য করো না। সালামের শব্দে কিছু বৃদ্ধি করে তার থেকে উত্তম দোআ করো অথবা ঐ শব্দগুলোর পুনরাকৃত্তি করো।

হযরত ইমরান বিন হুছাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (সাঃ) তাশরীফ রাখলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে “আসসালামু আলাইকুম বলল, তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন দশ নেকী পেলো। আবার এক ব্যক্তি এসে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলল, তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, বিশ নেকী পেলো। তারপর তৃতীয় এক ব্যক্তি এসে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু” বলল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ত্রিশ নেকী পেলো।

(তিরমিযি)

হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেনঃ একবার আমি হযরত আবু বকর (রাঃ) এর পেছনে সোয়ারীর উপর বসা ছিলাম। আমরা যাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম আবু বকর (রাঃ) তাদেরকে বলেন, “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” তখন লোকেরা জবাব দিল ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমামুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু? এরপর আবু বকর (রাঃ) বললেন, আজ তো লোকের ফজীলতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেল।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

১৭. কারে সাথে যখন সাক্ষাত হবে তখন আগে “আসসালামু আলইকুম” বলবে, হঠাৎ আলোচনা আরম্ভ করবে না যে আলোচনাই করতে হয়, সালামের পর করবে।

১৮. যে অবস্থায় সালাম দেয়া নিষেধ।

(ক) যখন লোকেরা কোরআন ও হাদীস পড়তে-পড়াতে অথবা শুনতে ব্যস্ত থাকে।

(খ) যখন কেউ আযান অথবা তাকবীর বলতে থাকে।

(গ) যখন কোন মজলিসে কোন দীনি বিষয়ের ওপর আলোচনা চলতে থাকে অথবা কেউ কাউকে কোন দীনি আহকাম বুঝাতে থাকে।

(ঘ) যকন শিক্ষক পড়াতে ব্যস্ত থাকেন।

যে অবস্থায় সালাম দেয়া যাবে না।

(চ) যখন কোন ব্যক্তি পাপাচার এবং শরীয়ত বিরোধী খেল তামাসা ও আনন্দ-ফূর্তিতে লিপ্ত থেকে দীনের অবজ্ঞা করতে থাকে।

(ছ) যখন কেউ গাল-মন্দ, অনর্থক ঠকবাজি, সত্য-মিথ্যা খারাপ কথা ও অশ্লীল ঠাট্টা-কৌতুক করে দীনের বদনাম করতে থাকে।

(জ) যকন কেউ দীন ও শরীয়ত বিরোধী চিন্তাধারা ও দর্শনের প্রচার করতে থাকে এবং লোকদেরকে দ্বীন থেকে বিদ্রোহী এবং বেদআত ও বেদ অবলম্বন করার জন্য উত্তেজিত করতে থাকে।

(ঝ) যখন কেউ দীনি আকীদা বিশ্বাস এবং নিদর্শনের সম্মান না করে, শরীয়তের মূলনীতি ও বিধি-বিধানের বিদ্রুপ করে এবং নিজের অভ্যন্তরীণ ভ্রষ্টতা ও দ্বিমুখী নীতির প্রমাণ দিতে থাকে।

১৯. ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে সালাম করায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে না। পবিত্র কুরআন সাক্ষী, ইহুদীগণ নিজেদেরকে বেদীন,সত্যের শত্রুতা, অত্যাচার, মিথ্যাবাদিতা ও ধোকাবাজি এবং প্রবৃত্তির দুশ্চরিত্রে নিকৃষ্টতম জাতি। তাদেরকে অসংখ্য পুরস্কার বর্ষণ করেছেন কিন্তু তারা সর্বদা অকৃতজ্ঞতা, কুকর্মের প্রমাণ দিয়েছে। এরা সেই জাতি যারা আল্লাহর প্রেরিত সম্মানিত, নবীগণকেও হত্যা করেছে। এ কাণে মুমিনদেরকে ঐ আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত যার মধ্যে ইহুদীদের সম্মান ও মর্যাদার সম্ভাবনা আছে। বরং তাদের সাথে এরূপ আচরণ করা উচিৎ যাতে তারা বার বার এ কথা অনুভব করতে পারে যে, সত্যের নিকৃষ্টতম বিরোধিতার প্রতিফল সর্বদা হীনতাই হয়ে থাকে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে আগে সালাম দেবে না, বরং রাস্তায় যখন তোমাদের সাথে তাদের সাক্ষাত হয় তখন তাদেরকে রাস্তার এক পাশে সংকুচিত হয়ে যেতে বাধ্য কর।

(আল আদাবুল মুফরাদ)

অর্থাৎ এরূপ গাম্ভীর্য ও জাঁকজমকের সাথে চল যে, তারা নিজেরা রাস্তায় একদিকে সংকুচিত হয়ে তোমাদের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়।

২০. তবে কোন মজলিসে যখন মুসলমান ও মুশরিক উভয় একত্রিত হয় তখন সেখানে সালাম করবে, রাসূল (সাঃ) একবার এরূপ মজলিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যার মধ্যে মুসলমান ও মুশরিক উপস্থিত ছিল তকন তিনি তাদেরকে সালাম করেছেন।

২১. কোন অমুসলিমকে যদি সালাম করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে তখন “আসসালামু আলাইকুম” না বলে বরং আদাব আরয, তাসলীমাত ইত্যাদি প্রকারের শব্দ ব্যবহার করবে। আর হাত ও মাথা দ্বারাও এরূপ কোন ইশারাও করবে না যা ইসলামী আকীদাহ ও ইসলামী স্বভাব বিরোধী হয়।

রাসূল (সাঃ) রুমের বাদশাহ হিরাক্লিয়াসের নিকট যে চিঠি লিখেছিলেন তার ভাষা ছিল এমনআরবি

অর্থাৎ যে হেদায়েতের অনুসরণ করে তার উপর সালাম।

২২. সালামের পর বন্ধুত্ব ও আনন্দ প্রকাশার্থে মুসাফাহাও করবে। রাসূল (সাঃ) নিজেও তা করতেন এবং তাঁর সাহাবীগণও পারস্পরিক সাক্ষাতে মুসাফাহা করতেন। তিনি সাহাবীগণকে মুসাফাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্নভাবে আলোকপাত করেছেন।

হযরত কাতাদাহ (রাঃ) হযরত আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে কি মুসাফাহার প্রচলন ছিল? হযরত আনাসে (রাঃ) জবাব দিলেন জ্বী, হ্যাঁ ছিল।

হযরত সালামাহ বিন দাবদান (রহ) বলেছেন যে, আমি হযরত মালেক বিন আনাস (রহ) কে দেখেছি যে, তিনি লোকদের সাথে মুসাফাহা করেছেন। আমাকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? আমি বললাম, বনী লাইসের গোলাম! তিনি আমার মাথায় তিনবার হাত ফিরালেন আর বলেন, আল্লাহ তোমাকে নেক ও প্রাচুর্য দান করুন।

একবার ইয়ামেনের কিছু লোক আসলো, রাসূল (সাঃ) সাহাবীগণকে বললেন, “তোমাদের নিকট ইয়ামেনের লোকেরা এসেছে আর আগত ব্যক্তিদের মধ্যে এরা মুসাফাহার বেশী হকদার।

(আবু দাউদ)

হযরত হুযাইফাহ বিন ইয়ামনে (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, দু’জন মুসলমান যখন সাক্ষাৎ করে এবং সালামের পর মুসাফাহা করার জন্য পরস্পরের হাত নিজের হাতের মধ্যে নেয় তখন উভয়ের গুনাহ এমন ঝরে যায় যেমন গাছ থেকে শুকনা পাতা ঝরে পড়ে।

(তিবরানী)

হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ পরিপূর্ণ সালাম এই যে মুসাপফাহার জন্য হাতও মিলাবে।

২৫. বন্ধু প্রিয়জন অথবা মহান কোন ব্যক্তি সফর থেকে ফিরলে মুআনাকা করবে।হযরত যায়েদ বিন হারেসা (রাঃ) যখন মদীনায় এসে রাসূল (সাঃ)-এর নিকট পৌঁছে দরজা খটখট করলেন, তখন তিনি তার চাদর টানতে টানতে দরজা খুলে তার সাথে মুআনাকাহ করলেন এবং কপালে চুমু দিলেন।

(তিরমিযি)

হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) যখন পরস্পর সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি মুসাফাহা করতেন আর কেউ সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করলে মুআনাকাহ করতেন।

(তিবরানী)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×